Just In
(ছবি) ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ ও কমানোর ঘরোয়া টোটকা
এখন জাঁকিয়ে বসেছে বর্ষা। এই সময়ে প্রতিবছরই বহু মানুষ ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হন। বর্ষার জলে ভিজে, রোদে পুড়ে নানা রকম সংক্রমণ হয় শরীরে। এই সময়ে ডেঙ্গু জ্বরেও বহু মানুষ আক্রান্ত হন প্রতিবছর।
তবে ডেঙ্গু জ্বর ও ভাইরাল জ্বর এক নয়। দুটির ভাইরাস আলাদা চরিত্রের। ভাইরাল জ্বর হলে গা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, চামড়া জ্বালা ইত্যাদি হয়। নিচের স্লাইডে দেখে নিন কীভাবে বুঝবেন ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত আপনি এবং কোন কোন ঘরোয়া টোটকায় ভাইরাল জ্বরকে বশ মানানো যাবে।
জ্বরের লক্ষণ
ভাইরাল জ্বরের অনেক লক্ষণ রয়েছে। তবে সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো হল : জ্বরের সঙ্গে ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, গা ব্যথা, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, তল পেট কামড়ানো ইত্যাদি।
কীভাবে এটি শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
ভাইরাল জ্বরের ভাইরাস কোশকে আক্রমণ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীরের উপরের দিকের অংশের কোশকে বেশি করে সংক্রমিত হয়। একইসঙ্গে তা নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রমণ করে শরীরকে দুর্বল করে তোলে।
ভাইরাল জ্বরকে হালকাভাবে নেবেন না
ভাইরাল জ্বরকে কখনই হালকাভাবে নেবেন না। যদি রোগী কোনও কিছু খেতে না পারে তাহলে অবহেলা করবেন না। অ্যান্টিবায়োটিকও অনেক সময়ে বেশি জ্বরে কাজ করে না। তাই সতর্ক থাকবেন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
উপরের উল্লিখিত লক্ষণগুলি না কমলে দেরি না করে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এইসময়ে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে এবং টানা পাঁচদিন জ্বর থাকতে পারে।
জ্বর কীভাবে ছড়ায়
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাতাসে ভেসে থাকা ভাইরাস প্রশ্বাসের সঙ্গে আমাদের শরীরে যায়। এর পাশাপাশি দূষিত জল ও খাবার খেয়েও জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়।
তৎক্ষণাৎ কী করবেন
জ্বর হয়েছে বুঝলে বেশি পরিমাণে জল খেতে থাকবেন। কারণ এই সময়ে শরীর ডি-হাইড্রেটেড হয়ে যায়। এছাড়া অনেক বিশ্রাম নেবেন ও হালকা সহজপাচ্য খাবার খাবেন।
অন্যদের কীভাবে বাঁচাবেন
ভাইরাল জ্বর হলে আপনার ব্যবহার করা চায়ের কাপ, চামচ, থালা বাড়ির অন্য সদস্যদের ব্যবহার করতে দেবেন না। সবসময়ে মুখ ঢেকে হাঁচি দেবেন বা কাশির সময়ে মুখে কাপড় দিয়ে নেবেন।