Just In
বর্ধিত শিরা উপষমের ১২-টি ঘরোয়া পদ্ধতি
আপনি কি ফুলে যাওয়া বর্ধিত শিরার যণ্ত্রণায় ভোগেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে তার চিকিৎসা বা ব্যাথার উপষম এখুনি করা উচিত।অকারণে আর যণ্ত্রণা সহ্য করবেন কেন বা বর্ধিত শিরা সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা কেন ডেকে আনবেন?অনেকের মতে দু'পা একে অপরের ওপর রাখলে শিরা ফুলে ওঠে না।কিন্ত যদি বংশানুক্রমে তা আপনার থাকে,তাহলে এতেও শিরা ফুলে উঠতে পারে।বোল্ডস্কাই আজ কিছু ঘরোয়ার পদ্ধতি আপনাদের বাতলাতে চলেছে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য...
এই বর্ধিত শিরাগুলি খুবই অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে ওঠা শিরা যা চামড়ার ওপরের দিকেই দেখা যায়।বেশির ভাগ লোকের এই শিরাগুলো দেখা যায় পায়ের গুলিতে বা থাই-র অংশে।এই কুশ্রী শিরাগুলি খুবই সাধারণ এবং হামেশাই দেখার যায়। ভারতবর্ষের শতকরা ১০ শতাংশ লোক এতে ভোগেন।
প্রধানত দেখা যায় মহিলাদের মধ্যে। এর কিছু ঘরোয়া সমাধান দেওয়া হল যাতে এর হাত থেকে ও এর আনুষাঙ্গীক সমস্যা থেকে অনেকাংশে রেহাই পাওয়া যায়।বর্ধিত শিরার কিছু কিছু লক্ষণ হল ফুলে ওঠা পা,অস্থিরতা,পায়ে ফোসকা,চুলকানি,পায়ে শিরটান,পা ভারী লাগা ও ক্লান্তি ভাব।
এখানে রইল বর্ধিত শিরা উপষমের কিছু ঘরোয়া উপায়, পড়ে দেখুন...
খাদ্য তালিকায় মাছ
আপনার খাবারে কম ফ্যাট ফ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত মাছের পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দিন।এতে আপনার শিরার যণ্ত্রণা কমবে।
খাবারে চেরি
ব্ল্যাকবেরি ও অন্যা্ন্য চেরি সারাদিন খেতে থাকুন।চেরি পায়ের যণ্ত্রণা উপষমে সাহায্য করে।
দরকাটি উপাদান
সবচেয়ে ভাল হয় যদি আদা,পেঁয়াজ,রসুন ও আনারস আপনার খাবারের মধ্যে বেশি মাত্রায় থাকে।এই উপাদানগুলো খুব কার্য্যকরি উপাদান আপনার বর্ধিত শিরার চিকিৎসায়।
ব্যায়াম
যদিও এটা হয়ত যণ্ত্রণাদায়ক, তাও প্রতিদিন কসরত / একসারসাইজ করা খুবই প্রয়োজনীয়।হাঁটা,সাঁতার কাটা ও সাইকেল চালানো রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের ওজন নিয়ণ্ত্রণে রাখে।
সঠিক পরিধান
খুব আঁটসাঁট জামাকাপড় না পড়াই ভাল। এতে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এটা অবশ্যই পালন করবেন যদি আপনার পায়ের যণ্ত্রণা কমাতে হয়।
ভারি ওজন তোলা
ভারী ওজন তোলা থেকে দূরে থাকুন যাতে পায়ের ওপর অকারণ চাপ না পড়ে।যদি পায়ে আপনার খুব যণ্ত্রণা হয়, মাঝে মধ্যে একটু লোশান লাগান যাতে শিরাগুলো শান্ত হয়।
যারা টেবিলে বসে কাজ করেন
আপনার কাজটা যদি এমন হয় যে সারাদিন টেবিলে ঠায় বসতে হয় তাহলে মাঝে মধ্যে অবশ্যই বিশ্রাম নেবেন। মাঝে মাঝে উঠে একটু হাঁটুন ও হাত পায়ের পেশী একটু জিরিয়ে নিন। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ যাদের
আপনার কাজের প্রয়োজনে যদি সকাল ৯-টা থেকে বিকেল ৬-টা অবধি দাঁড়াতে হয়,তাহলে মাঝে মধ্যে পায়ের বিশ্রাম দিন।সবচেয়ে ভাল সমস্যার সমাধান ঘরোয়া পদ্ধতিতে হল মাঝে মাঝে এক পা থেকে আরেক পায়ে শরীরের ভারটা পালটান।
পা ডুবিয়ে রাখুন
এক টাব ঠাণ্ডা জলে পা-টা ডুবিয়ে রাখুন।বর্ধিত শিরার যণ্ত্রণা থেকে আরাম পেতে এটটা একটা ভাল ঘরোয়া উপায়।এতে রক্ত সঞ্চালন সহজ,স্বাভাবিক হয়।
চুলকোবেন না
ফুলে থাকা শিরার ওপর চুলকোনো এড়ান। এই অভ্যেসটা ভেতরে ক্ষত (আলসারেশন) ও রক্তক্ষরণে মদত দেয় ও অন্য আরও অনেক সমস্যার আহ্বান জানায়।ঘরোয়া ব্যবস্থা হিসেবে চুলকোনো জায়গায় নিম পাতা ঘষে দিন - এতে সমস্যা কিছুটা কমবে।
ক্যাস্টর ওয়েল
ক্যাস্টর ওয়েল বর্ধিত শিরার সমস্যার এক অন্যতম সেরা নিরাময়। স্নানের পর বর্ধিত শিরা অঞ্চলে একটু ক্যাস্টর ওয়েল লাগান। পা থেকে পায়ের পাতা ঘষে হালকা ম্যাসাজ করে দিন।আরাম পাবেন।
উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
শিরার ফুলে থাকা থেকে আরাম পেতে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খুব উপকারি।এতে শরীরে পুষ্টি যোগাবে ও পায়ের যণ্ত্রণা অনেকটাই কমবে।