Just In
- 13 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 14 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 16 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 20 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
ঘামের দুর্গন্ধে জেরবার? সমস্যার সহজ সমাধান হাতের মুঠোয়
গরমের চোখ রাঙানি দিন দিন বাড়ছে। বাতাসের আর্দ্রতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এরইমধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া হল দিনের বিভিন্ন সময় অত্যন্ত ঘাম হওয়া। শরীরের উষ্ণতা ঠিক রাখে এই ঘাম। ঘাম শুকোতে শরীর অতিরিক্ত তাপ ত্যাগ করে দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। কিন্তু এই ঘামের দুর্গন্ধই আবার সমস্যায় ফেলে যখন কোনও সোশ্যাল গেটটুগেদারেও আপনার শরীর থেকে ঘাম বেরোতে থাকে । এমনকি কর্মক্ষেত্রেও যখন মেলামেশা করার প্রয়োজন পড়ে, ঘামের দুর্গন্ধ আপনাকে অপ্রিয় পরিস্থিতিতে ফেলে।
১। হালকা রঙের জামা পরুন
ডার্ক রঙের জামা পরলে, আপনার শরীর আশেপাশ থেকে তাপ বেশি করে শুষে নেবে। এর ফলে ঘামও হবে। তাই দিনের বেলা হালকা রঙের জামা পরুন। হালকা রঙের জামা তাপকে প্রতিফলিত করে শরীরে ঢুকতে দেয় না। তবে একান্তই অনুষ্ঠানে যেতে জামা পরতে হয় যা ডার্ক কালারের, তবে ভিতরে একটি অন্তর্বাস পরুন। এতেই আপনার ঘাম শুকিয়ে যাবে।
২। রোদে বেরোবেন না
প্রয়োজন ছাড়া কোনো রোদে বেশি না বেরোনোই ভালো। ছায়া আছে এমন জায়গায় দিনের বেশিরভাগ সময় থাকুন। পর্দা টেনে দিন সকালে যাতে বাইরের রোদ ঘরে এসে ঘরকে বেশি গরম করতে না পারে। আপনার শরীরকে যত উষ্ণতার থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন, ততই আপনার ঘাম কম হবে।
৩। মশলাদার খাবার নয়
আমাদের ত্বকের উপরিভাগে রোমকূপে থাকে একধরনের ব্যাক্টিরিয়া, যা ঘাম থেকে দুর্গন্ধের তৈরি করে। ঘামের দুর্গন্ধ হওয়া আটকাতে গেলে প্রথমেই যেদিকে নজর দেওয়া উচিত তা হল খাদ্যাভ্যাস। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যত কম পরিমাণে ফাস্টফুড, মশলাদার খাবার ও তেলের খাবার রাখা যায় ততই ভালো। এধরনের খাবার শরীরে প্রচন্ড তাপ উৎপন্ন করে যা কমাতে শরীর ঘাম বের করে। প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরে যথেষ্ট তাপ উৎপন্ন করে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন খাদ্য বাদ রাখুন তালিকা থেকে। বাদ দিন ক্যাফাইন জাতীয় খাবার যা শরীরকে উত্তপ্ত করে। বরং খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল, শাকসবজি ও হালকা খাবার যা হজম করতে সুবিধা। জলীয় খাবার ও নির্দিষ্ট পরিমাণ জল রোজ খান, এতে শরীর সহজে গরম হবে না, ফলে ঘামও হবে না।
৪। অ্যান্টিপারস্পিরান্ট ব্যবহার করুন
ঘাম হওয়া আটকাতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যান্টিপারস্পিরান্ট। কিন্তু এটি সকালে স্নান করে বেরোনোর আগে দেওয়া ঠিক নয়, বরং দেওয়া উচিত রাতে শুতে যাওয়ার সময়, গায়ে বগলে ও যে যে জায়গায় বেশি ঘাম হয়। লোমকূপে গিয়ে এটি কাজ করতে বেশ কিছুটা সময় নেয়, রাতে চারপাশ ঠান্ডা থাকায় এটি ব্যবহার করে ভালো ফল মেলে। বেশকিছু রাত এমন অভ্যাস করলে দেখবেন আপনার ঘাম হওয়া আগের থেকে অনেকটাই কমে গেছে।
৫। চাপ নেবেন না
প্রতিদিনের রুটিনের হাজার রকম কাজ ঠিকভাবে সাফল্যের সঙ্গে হবে কি না তা নিয়েও আপনার চিন্তা কম নয়। চাপ নেওয়া শরীরে জন্য মোটেই ভালো নয়। আপনি যত চাপ নেবেন ততই শরীরে বাড়বে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ যা আপনার দেহের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেবে। ফলে ঘাম অবশ্যসম্ভাবী। প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করলে চাপের থেকে মুক্তি মেলে। ব্যায়াম করলে ঘাম ঝরে, এ থেকে মনে হতেই পারে কী করে এটা ঘাম কমাবে? আসলে নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার সব চিন্তা ও চাপ নিজে থেকেই দূর হয়ে যাবে , আপনার মন সারাদিন চিন্তামুক্ত থাকবে। স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমলে কমবে শরীরের ঘাম উৎপাদন ও।