Just In
Don't Miss
বাবা রাম দেবের দেখানো এই যোগাসনগুলি করলে কোনও দিন ডায়াবেটিস আপনাকে ছুঁতে পারবে না!
ডায়াবেটিস মানচিত্রে আমাদের দেশের অবস্থান কোথায় জানা আছে? পরিসংখ্যান বলছে গত কয়েক দশকে আমাদের দেশ ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। কেন হবে নাই বা বলুন, আই সি এম আর-এর রিপোর্ট অনুসারে এই মুহূর্তে ভারতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ মিলিয়ান বা ১০ কোটি। প্রসঙ্গত, রোগীদের সংখ্যাটা কিন্তু থেমে নেই। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্য়দের এই মারণ রোগের হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন তা ভেবে দেখেছেন? এক্ষেত্রে বোল্ডস্কাই বাংলা আপনাকে সাহায্য করেতে পারে। কীভাবে? এই প্রবন্ধে বিশেষ কিছু ব্যায়াম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যা প্রতিদিন করলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

যোগাসান এবং ডায়াবেটিস:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত যোগ ব্য়ায়াম করলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে থাকে। প্রসঙ্গত, যোগাসন রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অবশ্যই রক্ত চাপ ও স্ট্রেস লেভেলকে স্বাভাবিক রাখে। ফলে শুধু ডায়াবেটিস নয়, আরও সব মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। যে যে আসনগুলি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রেন দারুন কাজে আসে সেগুলি হল...

১. ধনুরাসন:
উপুর হয়ে শুয়ে পরুন। এবার পা দুটি হাঁটুর কাছ থেকে ভেঁঙে পায়ের পাতাটা যতটা সম্ভব পিঠের কছে নিয়ে এসে হাত দিয়ে গোড়ালির কাছটা ধরে নিন। যেমনটা উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে। এবার গোড়ালিটা যতটা সম্ভব টানতে থাকুন। এমনটা করলে শরীরের অবয়ব অনেকটা ধুনেকের মতন হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, এই আসনটি করার সময় বুক, হাঁটু এবং উরু মেঝেতে লেগে থাকবে না। শুধুমাত্র তলপেটটা মেঝেতে থাকবে। আরেকটা বিষয় এক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন, আসনটি করার সময় চোখ থাকবে সামনের দিকে আর স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে নিতে ব্য়ায়ামটি করতে হবে ২০-৩০ সেকেন্ড। প্রতিদিন এই আসনটি ২-৩ বার করলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করে দিয়েছে।
যারা এই আসনটি করবেন না:
যাদের হার্টের রোগ রয়েছে তারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে এই আসনটি করবেন না।

২. চক্রাসম:
এই আসনটি করার সময় শরীরের অবয়ব অনেকটা চাকার মতো হয়ে যায় বলে এই আসনটিকে এই নামে ডাকা হয়ে থাকে। ব্য়ায়ামটি শুরু করার আগে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরুন। এবার ধীরে ধীরে শরীরটা পিছনের দিকে বেঁকিয়ে হাতের তালুটা মাটিতে ছোঁয়ানোর চেষ্টা করুন। মাথাটা যতটা সম্ভব পেছনদিকে রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে রাখতে
২০-৩০ সেকেন্ড আসনটি করুন। সময় হয়ে গেলে ধীরে ধীরে মাথাটা মাটিতে নামিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পরুন। কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর পুনরায় আসনটি করুন। এইভাবে প্রতিদিন যদি ২-৩ বার চক্রাসন করা যায়, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো সুযোগই থাকে না।
যারা আসনটি করবেন না:
যাদের হার্ট এবং ফুসফুস দুর্বল তারা ভুলেও আসনটি করবেন না।

৩. মৎসাসন:
এই আসনটি করার জন্য প্রথমে পদ্মাসনে বসে নিন। তারপর ধীরে ধীরে শুয়ে পরুন। হাতটা দুটো শরীরে পাশে থাকবে। এবার হাতের উপর চাপ গিয়ে পিঠটা তুলে নিন। এই সময় মাথার মধ্যভাগটা কেবল মাটি ছুঁয়ে থাকবে। আর যদি কষ্ট না হয় তাহলে পায়ের বুড়ো আঙুলটা চেপে ধরতে পারেন। এইভাবে ৫০ অথবা ১০০ পর্যন্ত গোনার পর ধীরে ধীরে শরীরটাকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসবেন।