Just In
Don't Miss
কলার খোসা ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান, জেনে নিন ঘরোয়া কাজে কলার খোসার ব্যবহার
কলার পুষ্টিগুণের কথা আমাদের সবার জানা। এককথায় সস্তায় পুষ্টিকর ফল কলা। অনেকেই প্রতিদিন একটা বা দুটো করে কলা খান। কিন্তু কলা খেয়ে নেওয়ার পর খোসাটা কী করেন? সবাই বলবেন, ডাস্টবিনে ফেলে দিই। এবার থেকে আর কলার খোসা ফেলবেন না। বরং সযত্নে তুলে রাখুন। অবাক হচ্ছেন তো? এই আর্টিকেলটি পড়লেই আপনি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
কলা যেমন উপকারি, এর খোসার উপকারিতাও কম কিছু নয়। কলার খোসাকে আপনি নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এককথায় জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, সবেতেই কলার খোসার ব্যবহার করা যায়। আজ আপনাদের জানাব ঘরোয়া কাজে কলার খোসার বেশ কিছু ব্যবহার।

১) রুপোর জিনিস চকচকে করতে
অনেকদিন ধরে রুপোর জিনিস পরে থাকলে বা ফেলে রাখতে রাখতে কালো হয়ে যায়। ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলে। তখন আর সেই জিনিসটা পরতে ভালো লাগে না। তবে রুপোর জিনিসকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার একটা পেস্ট বানান। তারপর আধা কাপ জল মিশিয়ে পেস্টটা পাতলা করে নিন। কয়েক মিনিট এই পেস্টটা দিয়ে রুপোর জিনিস ভালো করে ঘষলেই চকচকে হয়ে যায়!

২) গার্ডেনিং
খুব ভালো সার হিসেবে কাজ করে কলার খোসা। কলার খোসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। সেগুলো মাটির নিচে পুঁতে দিন। খোসা থেকে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়, যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
গাছের আশপাশে কলার খোসা লাগিয়ে রাখুন। খোসা থেকে মাটি তৈরি হবে, যে মাটিতে থাকবে পরিপোষক পদার্থ।
কলার খোসা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। প্রতিদিন গাছে জল দেওয়ার সময় সাধারণ জলের সঙ্গে কলার খোসা ভেজানো জল দিন।

৩) জুতো পালিশ করতে
জুতো পালিশ করতেও দারুণ কাজে আসে কলার খোসা। এক টুকরো কলার খোসা নিয়ে চামড়ার জুতোর ওপর ভালো করে ঘষুন। দেখবেন চামড়ার যেকোনও জিনিস জেল্লা দিচ্ছে। সব দাগ চলে যাবে।

৪) ছারপোকা দূর করে
অনেক বাড়িতেই ছারপোকার উপদ্রব থাকে। একটা ঢাকনাযুক্ত প্লাস্টিকের বাকেট নিন। কলার খোসার মধ্যে কয়েকটা ছিদ্র করে দিন। তারপর রেখে দিন বাকেটের মধ্যে। খোসার মিষ্টি গন্ধে ছারপোকা আসবে।
ছারপোকার কামড়ে ফুলে যায়, র্যাশ বের হয় স্কিনে। কলার খোসা নিয়ে যেখানে ছারপোকা কামড়েছে, সেই জায়গায় ঘষুন। এতে চুলকানি বন্ধ হবে।

৫) ফার্স্ট এইড
কলার খোসায় থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা যেকোনও র্যাশ, মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
একটা কলার খোসা এক ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর বের করে কপাল এবং ঘাড়ে রাখুন। যতক্ষণ না ঠাণ্ডা ভাব যাচ্ছে রেখে দিন।

৬) মাংস নরম করে কলার খোসা
চিকেন রোস্ট বানানোর সময় এক টুকরো পাকা কলার খোসা দিয়ে দিন। আধ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। দেখবেন মাংস দারুণ নরম হয়ে গিয়েছে।

৭) খেতে পারেন কলার খোসা
কলার খোসা সিদ্ধ করে নিন জলে। ১০ মিনিটের মতো সিদ্ধ করে জুসারে দিন। কলার খোসার জুস বানিয়ে খেলে দারুণ উপকার হবে। এর সঙ্গে স্ট্রবেরি বা কলাও মেশাতে পারেন। কলার খোসায় থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
চায়ে কলার খোসা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন।
কলার খোসার দারুণ চাটনি হয়। একটু রেসিপি ঘাঁটলেই পেয়ে যাবেন।