Just In
অ্যাসিডিটি কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসা
অ্যাসিডিটি কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে।
ঢেকুর তুললেই বুক জ্বালা! সেই সঙ্গে গলায় অস্বস্তি। আপনি অ্যাসিডিটির সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা অ্যাসিড ব্লিচিং-এর মতো কোনও সমস্যা দেখা দিলেই সাধারণত এই ধরনের লক্ষণগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেয়ে প্রদাহ কমাতে চান। তাতে সাময়িক আরাম পেলেও পুরোপুরি কিন্তু সমস্যাটা কমে যায় না। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন একটি ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা হল যা অ্যাসিডিটি কমাতে দারুন কাজে আসে।
যে কোনও বয়সিরাই জীবনের কোনও না কোনও সময় অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন। কেন হয় এই রোগ? স্টমাকে উপস্থিত হজমে সহায়ক অ্যাসিডগুলি প্রয়োজনের বেশি উৎপন্ন হয়ে গেলেই দেখা দেয় অ্যাসিডিটি। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যে বারংবার অ্যাসিডিটি হওয়া মোটেই ভালো নয়। শরীর যখন ভেতর থেকে খারাপ হতে শুরু করে তখনই দেখা দেয় এইসব সমস্যাগুলি। অনেকেই এই রোগকে খুব হালকা ভাবে নেন, আর সেখানেই ভুলটা করে বসেন। কারণ ঠিক সময়ে যদি এর চিকিৎসা শুরু করা না হয় তাহলে স্টমাক আলসার, বদ হজম, অ্যাসিডিক ঢেকুর ওঠা, বুকে ব্য়থা, স্টমাকে ব্য়থা, গ্য়াস, কনস্টিপেশন এবং লুস মোশানের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া না করলে, বেশি মাত্রায় ঝাল, মশলা অথবা তেল দেওয়া খাবার খেলে, ওজন বেড়ে গেলে এবং শরীরচর্চা না করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তবে চিন্তা নেই এমনটা হলে নিচে আলোচিত ঘরোয় চিকিৎসাটা শুরু করলেই দেখবে নিমেষে আরাম পাচ্ছেন।
প্রয়োজনীয়
উপকরণ:
১.
বাটার
মিল্ক-
১
গ্লাস
২.
গুড়-
হাফ
চামচ
এই ঘরোয়া চিকিৎসাটির সাহয্য় নিলে অ্যাসিডি নিমেষে কমে যায়। তবে মনে রাখবেন শুধু ওষুধ খেলে কিন্তু এই রোগ সারে না। ওষুদের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক মতো খাবার খেতে হবে। যতটা পারবেন ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলবেন এবং অবশ্য়ই ঠিক সময়ে খাবার খাবেন, বেশি সময় খালি পেটে থাকবেন না। এই নিয়মগুলি মেনে চললেই দেখবেন অ্যাসিডিটির সমস্য়া কমতে শুরু করেছে।
বাটার মিল্কে রয়েছে প্রোবায়োটিক ব্য়াকটেরিয়া যা স্টমাকে তৈরি হওয়া অতিরিক্ত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে স্টমাকের আবরণে কোনও ক্ষত তৈরি হতে দেয় না। ফলে অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
অপরদিকে গুড়ে রয়েছে ফাইবার, যা অ্যাসিডিটি কমাতে দারুন কাজে আসে।
কীভাবে
বানাবেন
এই
ওষুধ:
১.
এক
কাপ
বাটার
মিল্কে
পরিমাণ
মতো
গুড়
মেশান।
২.
ভালো
করে
দুটি
উপকরণকে
মেশান।
৩.
এক
মাস
ধরে
ব্রকফাস্টের
পরে
এই
মিশ্রনটি
খান।
৪.
ইচ্ছা
হলে
এই
মিশ্রনে
অল্প
করে
আদা
মেশাতে
পারেন।
আদা
অ্যাসিডকের
কর্মক্ষমতা
কমিয়ে
দেয়।
ফলে
অ্যাসিডিটি
হওয়ার
আশঙ্কা
কমে।
৫.
এই
মিশ্রনে
ভুলেও
চিনি
মেশাবেন
না।