Just In
- 18 min ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 29 min ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 15 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 19 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
হঠাৎ করে হওয়া পেট খারাপ সারাতে দরুন কাজে লাগে এই ৭ টি ঘরোয়া উপাদান!
পেট খারাপ কমাতে আদার কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এমন ধরনের রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে।
রবিরার কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার পর সোমবার সকাল থেকেই পেটে যন্ত্রণা, সঙ্গে বারে বারে বাথরুম ভ্রমণ তো রয়েছেই। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ মানুষই কোনও মতে ওষুধের দোকানে ছুটে সেখান থেকে কিনে আনা কিলো খানেক অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কিনে তবে শান্তি পান। এবার থেকে আর এমন কিছু করার দরকার পরবে না। আপনার রান্না ঘরে উপস্থিত বেশ কিছু ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যেই রোগ সেরে যাবে। কীভাবে? এমনটাও সম্ভব নাকি? আলবাত সম্ভব! তবে কীভাবে এবং কোন কোন ঘরোয়া উপাদানকে কাজে লাগিয়ে কষ্ট কমবে, তা জানতে যে পড়ে ফলতে হবে বাকি প্রবন্ধটা।
অনেক কারণে এমন হঠাৎ করে পেট খারাপ হতে পারে। যেমন-ফুড পয়েজেনিং, সংক্রমণ, অ্যালার্জি, প্রচুর পরিমাণে খাবার খেয়ে ফেলা, স্ট্রেস, অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান, মোশান সিকনেস, কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রভৃতি। তবে কারণ যাই হোক না কেন, এবার থেকে এমন সমস্যা হলেই চোখবুজে নিচে আলোচিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে কাজে লাগাবেন। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে।
কী কী ঘরোয়া উপাদান এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. আদা:
পেট খারাপ কমাতে আদার কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এমন ধরনের রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে ১ কাপ বাটার মিল্কে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। এই পানীয়টি দিনে ৩-৪ বার খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও এই ঘরোয় পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাবেন না।
২. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
পেট খারাপের প্রকোপ কমাতে এই উপাদানটি দারুন কাজে আসে। আসলে এতে থাকা প্যাকটিন নামে একটি উপাদান পেটের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি পেটকে একেবারে চাঙ্গা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল সরাসরি তো অ্যাপেল সিডার ভিনাগার খাওয়া যাবে না, তাহলে? কোনও চিন্তা নেই! ১ গ্লাস জলে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে ১ গ্লাস করে এই পানীয় খেলে দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, ইচ্ছা হলে এই মিশ্রনে এঅল্প করে মধুও মিসিয়ে দিতে পারেন। তাতে স্বাদ ভাল হয়ে যাবে।
৩. দই:
পেট খারাপ হলেই এক বাটি তাজা টক দই খেয়ে নেবেন। তাহলেই বারে বারে আর বাথরুম ছুটতে হবে না। আসলে টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্য়াতটেরিয়াম নামে দু ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডায়ারিয়া কমাতে দারুন উপকারে লাগে। প্রসঙ্গত, যতদিন না পেটের ব্যথা এবং পটি হওয়া কমবে, ততদিন দৈনিক ২-৩ কাপ টক দই খেয়ে যেতে হবে।
৪. কলা:
শুধু পেট খারাপ নয়, যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারাতেই এই ফলটি দারুন কাজে আসে। আসলে কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্যাকটিন, যা পটিকে শক্তি করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া বা পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ১ গ্লাস বাটার মিল্কে ১ টা কলা চটকে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার করে খান। তাহলেই আরাম মিলতে শুরু করবে।
৫. মেথি বীজ:
১ চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ চামচ মেথি বীজ মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেতে হবে। তাহলেই পটি পরিষ্কার হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে পেটে যন্ত্রণা এবং বদ হজমও কমে যাবে। প্রসঙ্গত, মেথি বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাসিলেজ নামে একটি উপাদান, যা বারে বারে পটি হওয়ার প্রবণতাকে হ্রাস করে। ফলে আপনা থেকেই কষ্ট কমে যায়।
৬. দারুচিনি:
এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা চোখের নিমেষে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে দিনে ৪ বার দারচিনি পাউডার দিয়ে তৈরি চা খেলেই উপকার মিলতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, ১ কাপ গরম জলে ১ চামচ দারচিনি পাইডার মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে চা-টা পান করুন। দেখবেন পেটের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
৭. মৌরি:
পেট ঠান্ডা করতে মৌরিকে অনেকেই কাজে লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি পেট খারাপের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে? অসলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমি পালন করে। ১ কাপ গরম জলে ২ চামচ মৌরি মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে জলটা ছঁকে নিয়ে পান করুন। এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে।