Just In
রান্না করতে গিয়ে ছ্যাঁকা খেয়েছেন? ঘরোয়া টোটকাতেই দূর হবে পোড়া দাগ, কমবে জ্বালাও!
রান্না করতে গিয়ে গায়ে, হাতে গরম তেল ছিটকানো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। জল গরম করা কিংবা ভাতের ফ্যান গালতে গিয়েও ছ্যাঁকা লাগে। এছাড়া, গরম কড়াই কিংবা খুন্তির ছ্যাঁকা তো লাগতেই থাকে। ছ্যাঁকা লাগলেই সেখান থেকে ফোস্কা পড়ে, তার সঙ্গে শুরু হয় অসম্ভব জ্বালা-যন্ত্রণা। পুড়ে যাওয়া স্থানে বিশ্রি দাগও পড়ে যায়।
টুকটাক পুড়ে যাওয়া, ফোসকা পড়ে যাওয়ার মলম সব সময় হাতের সামনে থাকেও না। আর, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াও সম্ভব নয়। তাই ভরসা রাখতে হবে ঘরোয়া টোটকাতেই। দেখে নিন কোন কোন ঘরোয়া জিনিস এই সমস্যা থেকে স্বস্তি দিতে পারে-
মধু
পোড়া, কাটা এবং হার্পিস-সহ অসংখ্য সমস্যায় মধু খুব ভাল কাজ দেয়। মধুর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ছোটখাটো পোড়া দাগ সারাতে দারুণ কার্যকর। প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। পোড়া স্থানে মধু লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ, স্বস্তি পাবেন। তাছাড়া, পোড়া জায়গায় নিয়মিত মধু প্রয়োগ করলে সময়ের সাথে সাথে দাগ হালকা হতে থাকে।
অ্যালোভেরা
পোড়া দাগ কমাতে অ্যালোভেরাও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল মলমের মতো করে কিছুক্ষণ পোড়া ত্বকে মালিশ করুন। তারপর ৩০ মিনিট জেলটি লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে জ্বালা ভাব থেকেও রেহাই পাবেন। তাছাড়া, পোড়া দাগ দূর করতে নারকেল তেলের সঙ্গে ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে পোড়া দাগের ওপর আলতো করে মালিশ করুন। দাগ দূর হবে ধীরে ধীরে।
নারকেল তেল
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ নারকেল তেল পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এতে দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস ভাল করে মেশান। তারপর দাগের উপর আলতো করে ম্যাসাজ করুন। দিনে দু'বার করুন। ধীরে ধীরে দাগ হালকা হবে।
সারা বছরই পা ফাটার সমস্যায় ভোগেন? ঘুমানোর আগে এই কাজ করলেই ফল হাতে-নাতে!
লিকার চা
দুই-তিনটে টি-ব্যাগ এক কাপ ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সেই লিকার চা তুলোর সাহায্যে ত্বকের পোড়া অংশে অল্প অল্প করে লাগাতে থাকুন। জ্বালা ভাব অনেকটাই কমবে। সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকবে না!
বরফ সেঁক
রান্না করতে গিয়ে হাত, পায়ে ছ্যাঁকা লাগলে বা পুড়ে গেলে আগে সেই জায়গা নর্মাল জলে ধুয়ে নিন। তারপর একটা কাপড়ে বরফ বেঁধে পোড়া জায়গায় আলতো করে চেপে রাখুন। ১৫ মিনিট রাখলেই জ্বালা ভাব অনেকটাই কমবে।