Just In
- 28 min ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 41 min ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 18 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 19 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
Don't Miss
সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ করতে রইল কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার, দেখে নিন সেগুলি
সোয়াইন ফ্লু বা সোয়াইন ইনফ্লুয়েঞ্জা হল একটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ। এর ভাইরাস প্রথমে শূকরের শ্বাসনালীকে সংক্রমিত করে এবং সেই আক্রান্ত শূকরের থেকে তা মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এটি মূলত শ্বাসনালীতে সংক্রমিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই রোগটি এইচ ওয়ান(H1) এন ওয়ান (N1) ভাইরাস দ্বারা হয়।
প্রতি বছর এই মারাত্মক রোগের কবলে পড়ছে গোটা বিশ্বের কয়েক মিলিয়ন মানুষ। মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে এই ছোঁয়াচে রোগ। সামান্য একটা হাঁচি থেকেই এই রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে অন্য একজনের শরীরে।
কয়েক বছর আগে এই রোগ গোটা পৃথিবীতে ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল, মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছিল প্রচুর মানুষকে। এইবছর ৬ জানুয়ারির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, হায়দরাবাদে ৪৩টি সোয়াইন ফ্লু সম্পর্কিত খবর পাওয়া গেছে। ১০০টি নমুনার মধ্যে ৭ শতাংশ H1 N1 রিপোর্ট পজেটিভ খুঁজে পাওয়া যায়। তাই, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এবং হাসপাতালগুলি জনগণকে এই রোগ সম্পর্কে সজাগ থাকতে অনুরোধ করেছেন।
যেহেতু, এটি ছোঁয়াচে রোগ, তাই আমাদের প্রত্যেককে অবশ্যই সঠিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে। জ্বর, মাথা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, সর্দি, দুর্বলতা, শরীরের ব্যথা এবং ডায়রিয়া হল সোয়াইন ফ্লু-এর সাধারণ লক্ষণ। যদি এই লক্ষণগুলি ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ঠিক না হয়, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান।
কিন্তু, এই রোগকে প্রতিরোধ করতে আপনি কয়েকটি সহজ ঘরোয়া উপায়ও ব্যবহার করতে পারেন। নিজেকে এবং আপনার প্রিয়জনদের এই মারাত্মক ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে দেখে নিন এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি -
তুলসী পাতা
সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই রোগ প্রতিরোধে তুলসী গাছের পাতার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তুলসী পাতায় থাকা ঔষধি গুণাবলী আমাদের গলা ও ফুসফুসকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং সোয়াইন ফ্লুর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সকালে এই গাছের পাঁচটি পাতা সেবন করতে পারেন।
রসুন
সবচেয়ে উপকারি ঔষধিগুলির মধ্যে একটি হল রসুন, যা সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য প্রমাণিত। রসুনে থাকা অ্যালিসিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্রিয়াকলাপকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সোয়াইন ফ্লুর জীবাণুগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
তাই, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু'টি রসুনের কোয়া গরম জল দিয়ে খান।
জিনসেং
একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, জিনসেং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারি। প্রতিদিন এক কাপ জিনসেং চা পান করলে সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। এটি সোয়াইন ফ্লু রোগীদের জন্যও উপকারি।
আমলকি
এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধযুক্ত একটি বিশেষ ফল, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আমলকির রস সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। আপনার শরীরকে সোয়াইন ফ্লু থেকে সুরক্ষিত রাখতে, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি আমলকি খেতে পারেন বা এর রস পান করতে পারেন।
গলা ব্যথায় ভুগছেন! রইল এর থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
হলুদের দুধ
হলুদের দুধ প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। হলুদ হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা, দীর্ঘকাল ধরে ঠান্ডা, ফ্লু, সংক্রমণের চিকিৎসা এবং শারীরিক আঘাতের নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি আপনার শরীরের অনাক্রম্যতা উন্নত করতে এবং সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে সহায়তা করে।
রোজ ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
জলপাই পাতা
জলপাই ফল এবং জলপাই তেলের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলে জানি। জলপাইয়ের পাতাগুলি পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ যা বমি বমি ভাব, সর্দি, জ্বর এবং মাথাব্যথার মতো সোয়াইন ফ্লুয়ের লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
এই রোগ থেকে নিরাময় পেতে নিয়মিত জলপাইয়ের পাতার নির্যাস গ্রহণ করতে পারেন।
হাইড্রেশন
প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন, বেশিরভাগ উষ্ণ জল পান করুন, যা আপনার দেহে উপস্থিত ভাইরাসগুলি থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলেন, যেমন - হাইড্রেটেড থাকা, ভিটামিন গ্রহণ এবং প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া, তাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস হয়।
ঘরোয়া কিছু জিনিস পরিষ্কার করতে পারছেন না? টুথপেস্টেই আছে এর সমাধান
মুখে মাস্ক পরুন
সোয়াইন ফ্লু হওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। তাই, বাইরে যাওয়ার আগে সর্বদা মুখে মাস্ক পরে নিন। চারপাশের অস্বাস্থ্যকর বিষয়গুলি এড়াতে চেষ্টা করুন এবং আপনার ঘর ও আপনার চারপাশ পরিষ্কার রাখুন।
বিঃদ্রঃ - যদিও উল্লিখিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলি কার্যকর পদ্ধতি তবে, আপনার শরীরে লক্ষণগুলি বিকাশ হওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এছাড়াও,উপরিউক্ত প্রতিকারগুলি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।