Just In
আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশনের চিকিৎসায় ঘরোয়া পদ্ধতি
আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশনের চিকিৎসায় ঘরোয়া পদ্ধতি কিন্তু দারুন কাজে আসে।
নাক থেকে জল পরছে, গলা ব্য়থা, মাথা যন্ত্রণা এবং শ্বাস কষ্টও হচ্ছে, তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হতে পারে আপনি আপার রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়েছেন।
ভাইরাস এবং ব্য়কটেরিয়া যৌথ উদ্য়োগে আক্রমণ চালালে সাধারণত এই ধরনের সংক্রমণ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আধুনিক চিকিৎসা ভালো কাজ দিলেও কিছু ঘরোয় পদ্ধতি আছে, যা রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন সারাতে দারুন কাজে দেয়।
রেসপিরেটারি ট্রাক্ট ইনফেকশনের সবথেকে ভয়ঙ্কর দিক হল এটি সংক্রমক। আক্রান্ত ব্য়াক্তির ধারে কাছে এলেই আরেক জনের শরীরে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার মারাত্মক আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয় রোগীর ব্য়বহৃত যে কোনও জিনিস থেকে যেমন এই ইনফেকশন বাকিদের মধ্য়ে ছড়িয়ে যেতে পারে, তেমনি অসুস্থ ব্য়ক্তির ছোঁয়া লেগেছে এমন দরজা, টেবিল এমনকী চেয়ার থেকেও রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
একাধিক গবেষণা এবং কেস স্টাডি করে দেখা গেছে শীতকালেই এই রোগের প্রসার সব থেকে বেশি হয়। আসলে ঠান্ডার সময় ব্য়াকটেরিয়া এবং ভাইরাসগুলি মনের আনন্দে জন্মাতে শুরু করে। ফলে পরিবেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে যায় নানা ক্ষতিকর জীবাণু। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা শীতকালে অতিরিক্ত সাবধানে থাকার কথা বলে থাকেন। প্রসঙ্গত, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল হয়, তাদের এমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি থাকে। আমাদের শরীরে মধ্য়ে থাকা হাজারও সৈনিকেরা বাইরের নানা রোগ জীবাণুকে মেরে ফেলে আমাদের সুস্থ রাখে। এই সৈনিকেরাই যখন দুর্বল হয়ে যায়, তখন জীবাণুদের আর কেউ মারতে পারে না। ফলে তারা নিজের ইচ্ছা মতো শরীরের ক্ষতি করতে শুরু করে।
এই প্রবন্ধে এমন কিছু ঘরোয়া নিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হল যেগুলি এমন ধরনের ইনফেকশেনের প্রকোপ কমাতে সাহায্য় করে।
১. আদা চা:
ভাবছেন নিশ্চয় ইনফেকশন কমাতে চা কেমনভাবে কাজে আসতে পারে? একথা ঠিক যে রেসপিরেটারি ট্রাক্ট সংক্রমণ কমাতে আদা চা দারুন কার্যকরী। চায়ের মধ্য়ে পরিমাণ মতো আদা থেঁতো করে দিয়ে দিনে কয়েকবার পান করুন। দখবেন সঙ্গে সঙ্গে আরাম পাবেন।
২. গরম জলে গর্গেল করুন:
এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ নুন মিশিয়ে সেই জল দিয়ে বারে বারে গার্গেল করুন। এমনটা করলে গলার ফোলাভাব যেমন কমে যাবে, তেমনি সংক্রমণও ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। প্রসঙ্গত, নিয়মিত এবং বারে বারে গার্গেল না করলে কিন্তু তেমন ভালো ফল পাবেন না।
৩. যষ্টিমধুর চা:
এক কাপ জলে পরিমাণ মতো যষ্টিমধুর মূল ফেলে জলটা গরম করুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জলটা পান করলে দেখবেন ইনফেকশনের প্রকোপ অনেক কমে যাবে।
৪. ইউকেলিপটাস গাছের পাতা:
পরিমাণ মতো জলে কয়েকটি ইউকেলিপটাস গাছের পাতা ফেলে গরম করুন। যখন দেখবেন জলটা বেশ গরম হয়ে গেছে, তখন সেই জলের ভাপ নিন। এমনটা করলে গলার ব্য়থা কমে যাবে, সেই সঙ্গে কমতে শুরু করবে ইনফেকশানও।
৫. আদা:
রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। দুধ এবং হলুদের এই মিশ্রন সংক্রমণ কমাতে অব্য়র্থ কাজে আসে।
৬. হিং:
এক গ্লাস গরম দুধে পরিমাণ মতো হিং মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন অল্প দিনেই সংক্রমণের লক্ষণগুলি কমতে শুরু করেছে। একথা বহু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে রেসপিরেটারি ট্রাক্টের ইনফেকশন কমাতে হিং দারুন কাজে আসে।
৭. পেঁয়াজের রস:
তিন চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। গলার ফোলাভাব এবং সংক্রমণের আরও নানা সব লক্ষণের প্রকোপ কমাতে এই মিশ্রনটি দারুন কাজে আসে।
৮. রসুন তেল:
এক গ্লাস জলে কয়েক ফোঁটা রসুন তেল এবং পেঁয়াজের রস মিলিয়ে সেই জল খেয়ে ফেলুন। রেসপিরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশন কমাতে সেই আদি কাল থেকে কাজে লাগানো হচ্ছে এই ঘরোয়া চিকিৎসাটিকে।