Just In
- 12 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 16 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 18 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 21 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
কিডনিতে পাথর? দূর করুন ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলির সাহায্যে
বর্তমান দিনে কিডনিতে পাথর বা স্টোন হওয়াটা খুব সাধারণ একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। এটি পুরুষ, মহিলা যে কারুরই হতে পারে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজিক ইনফরমেশন-এর তথ্য অনুয়াযী, ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে আবার ৫০ শতাংশ মানুষ এই রোগ সম্পর্কে অবগত নন, ফলে এটি বড় আকার ধারণ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত করছে শরীরের কিডনিকে। বুঝতে না পারা ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের।
কিডনি স্টোন হওয়া মানেই যে অপারেশনের প্রয়োজন তা কিন্তু নয়। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষার পর স্টোনের আকার নির্ধারন করে বাড়িতেই করতে পারেন এর চিকিৎসা। কিছু সহজ উপায়ে দূর করতে পারেন কিডনিতে হওয়া স্টোন-কে। তবে, চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দূর করবেন এই কিডনি স্টোন। তার আগে জেনে নিন কিডনি স্টোন কি এবং এর লক্ষণগুলি।
কিডনি স্টোন কী এবং কেন হয়?
কিডনির ভিতরে মিনারেল জমে ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের মত পদার্থ তৈরি করে, একে কিডনি স্টোন বলা হয়। অর্থাৎ, ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের ডিপোজিশন হলে এই রোগের উৎপত্তি হয়। স্ফটিকগুলি ধীরে ধীরে জমে পাথরের আকার ধারণ করে। এই পাথরটি যখন বড় আকার নেয় এবং সরু মূত্রনালীর মধ্যে দিয়ে যায় তখন মূত্রনালির ভেতরে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে এবং প্রস্রাবের গতি রোধ করে দেয়, ফলে প্রচণ্ড ব্যাথার উৎপত্তি হয়।
মূলত শরীরে জলের অভাবের ফলে কিডনিতে স্টোন তৈরি হয়। কারণ, জলের অভাবে নুন, মিনারেল সহ ইউরিনের অন্যান্য উপাদান শুকিয়ে যায় এবং স্বাভাবিক ভারসাম্য বদলাতে শুরু করলে এই রোগ দেখা দেয়।
ঘামের
দুর্গন্ধে
জেরবার?
সমস্যার
সহজ
সামাধান
হাতের
মুঠোয়
লক্ষণ বা উপসর্গ
ক) বমি বমি ভাব বা কখনও কখনও বমি হওয়া।
খ) তলপেটের নীচে এবং কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া।
গ) পাঁজরের নীচে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়া এবং এই ব্যথার তীব্রতা ওঠা নামা করে।
ঘ) প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা হওয়া এবং কালচে লাল, লাল কিংবা বাদামী রঙের প্রস্রাব হওয়া।
ঙ) বার বার প্রস্রাব পাওয়া এবং স্বাভাবিকের তুলনায় প্রস্রাব বেশী পরিমাণে হওয়া।
চ) দুর্গন্ধ এবং ফেনার মতন প্রস্রাব।
কিডনিতে পাথর বিকাশের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের অবদান অনেক। প্রচুর পরিমাণে জল পান করা কিডনিতে পাথর নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। তবে, আপনি এর জন্য কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারেরও চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু, চেষ্টা করার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে কিডনি স্টোন দূর করবেন
১) জল পান
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর পরিমানে জল পান করা আবশ্যক। এই একই পরামর্শ চিকিৎসকরাও দিয়ে থাকেন। খুব ছোট আকারের স্টোন দেখা দিলে পরিমাণ মত জল পানের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব।
সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ করতে রইল কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার, দেখে নিন সেগুলি
২) তুলসীর রস
তুলসীতে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনির পাথরকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এর রসে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট কিডনির স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন অন্তত ২ বার করে তুলসীর রস খান। আবার, শুকনো তুলসীর পাতা দিয়ে চা করেও পান করতে পারেন। তবে, অত্যাধিক মাত্রায় এটি ব্যবহার করবেন না।
৩) পাতিলেবুর রস
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামজাত পাথর তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং ছোটো পাথরগুলিকে ভেঙে বার করে দিতেও সাহায্য করে। এছাড়াও, লেবুর রসে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে।
তাই রোজ সকালে জলের সাথে লেবুর রস মিশ্রিত করে পান করুন অথবা দিনের যেকোনও সময়ে লেবুর রস পান করুন।
৪) ডালিম রস
ডালিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং পাথর ও অন্যান্য টক্সিনগুলিকে দূর করতে সাহায্য করে। যে কারণের জন্য বহুকাল আগে থেকেই কিডনির সমস্যাকে দূর করতে ডালিমের জুস ব্যবহৃত হয়ে আসছে। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সারাদিনে কতবার এটি পান করবেন তা ঠিক করুন।
৫) আপেল সিডার ভিনিগার
আপেল সিডার ভিনিগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনিতে হওয়া পাথর দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
বাজার থেকে আপেল সিডার ভিনিগার কিনে এর সাথে ২ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে পান করুন। তবে, একদিনে ১৬ চামচের বেশি খাবেন না এবং ইনসুলিন নেওয়া ব্যক্তিরা এটি ব্যবহার করবেন না।
গলা ব্যথায় ভুগছেন! রইল এর থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
৬) মেথি বীজ
উত্তর আফ্রিকাতে, মেথি বীজ কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বীজগুলি কিডনিতে জমাটকরণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে এবং কিডনির পাথর প্রতিরোধে সহায়তা করে। এক কাপ ফোটানো জলে ১ থেকে ২ চা চামচ শুকনো মেথি বীজ দিন। এটি প্রতিদিন পান করুন।
৭) কালো জিরা বীজ
একটি গবেষণা অনুযায়ী, কালো জিরার বীজ কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা বা নিরাময় করে। ২৫০ এম.এল গরম জলে হাফ চা চামচ শুকনো কালো জিরা বীজ দিন। এটি দিনে দু'বার পান করুন।
বিঃদ্রঃ - ছোটো স্টোন দেখা দিলে এইসব ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে সক্ষম হবেন। তবে, বড় ধরনের স্টোনের ক্ষেত্রে এগুলি ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।