For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

প্রতিদিন ছাতু খেলে কি হতে পারে জানেন?

|

জন্ম অন্য রাজ্যে হলেও উত্তর ভারতের বিস্তির্ণ অঞ্চলের মানুষ এই খাবারটি নিয়মিত খেয়ে থাকেন। কারণ সবারই ধরণা ছাতু খেলে নাকি শরীরের উপকার হয়, সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকার কারণে অকারণ খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। কিন্তু এই ধরণাগুলি কি আদৌ বিজ্ঞানসম্মত?

একেবারেই। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে শরীরের সার্বিক উন্নতিতে ছাতু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যাকে দূরে রাখতেও ছাতু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো গরমের সময় ছাতুর চাহিদা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়।

ছাতুতে উপস্থিত একাধিক খনিজ, ভিটামিন, উপকারি ফ্যাট এবং ফাইবার নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে। যেমন...

১. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

১. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

ছাতু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিমেষে উপকারি উপাদানগুলি রক্তে মিশে যায়। ফলে সঙ্গে সঙ্গে এনার্জির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি পূরণ হওয়ার কারণে সার্বিকভাবে শরীর এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা নিয়মিত প্রাতঃরাশে ছাতুর সরবত খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

২. স্টমাকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

২. স্টমাকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ছাতুর সরবত নিয়মিত খেলে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যার প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। এখানেই শেষ নয়। আরও নানা উপকারে লাগে ফাইবার। যেমন ধরুন, প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে যে পরিমাণ তেল আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তা স্টমাক থেকে বের করে দিতে এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. ডায়াবেটিক রোগীরাও খেতে পারেন:

৩. ডায়াবেটিক রোগীরাও খেতে পারেন:

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ছাতুতে উপস্থিত শর্করা খুব ধীরে ধীরে রক্তে মিশে থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার খেলে হঠাৎ করে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। সেই কারণেই তো ডায়াবেটিক রোগীরও ইচ্ছা হলে ছাতু খেতে পারেন। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ছাতুর সরবত খেলে রক্তচাপ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই যারা হাই ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন, তারা এই খাবারটি নিয়মিত খেলে উপকার পেতে পারেন।

৩. মেয়েদের শারীরিক ক্ষমতা বাড়ায়:

৩. মেয়েদের শারীরিক ক্ষমতা বাড়ায়:

পিরিয়ডের সময় শরীরে দেখা দেওয়া পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে ছাতুর সরবতের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ যেমনটা আগেও আলোচন করা হয়েছে, ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ এবং ভিটামিন থাকে, যা শরীরের সচলতা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারি:

৪. ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারি:

প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এই দুটি উপদান ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একদিকে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, আর অন্যদিকে, প্রোটিন শরীরের অন্দরে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করে। ফলে সার্বিকবাবে শরীর, ত্বক এবং চুলের জেল্লা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, এইসবকটি উপাদানই ছাতুতে প্রচুর মাত্রায় রয়েছে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পয়েছেন কেন প্রতিদিন ছাতু খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৬. বুড়ো বয়সের একমাত্র সঙ্গী:

৬. বুড়ো বয়সের একমাত্র সঙ্গী:

বয়স যত বাড়তে থাকে, তত নানাবিধ শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এক্ষেত্রেও কিন্তু ছাতু বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ৬০ বছরের পর থেকে যদি নিয়মিত ছাতু খাওয়া যায় তাহলে একাধিক বয়সকালীন রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগই পায় না। ফলে শেষ বয়সটা বেজায় নিশ্চিন্তেই কেটে যায়।

৭. বাচ্চাদের খাওয়া মাস্ট:

৭. বাচ্চাদের খাওয়া মাস্ট:

শরীরের যথাযত বৃদ্ধির জন্য় যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন পরে তা সবই উপস্থিত রয়েছে ছাতুতে। তাই তো বাজার চলতি হেলথ ড্রিঙ্কের পরিবর্তে নিয়মিত যদি বাচ্চাদের ছাতু খাওয়ানো যায়, তাহলে দারুন উপকালে লাগে। প্রসঙ্গত, এই দেশীয় হেলথ ড্রিঙ্কে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অয়রন হাড় এবং দাঁতের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।

ছাতুর সরবত বানাবেন কীভাবে?

ছাতুর সরবত বানাবেন কীভাবে?

১. এক কাপ ঠান্ডা জল নিন।

২. তাতে এক চামচ ছাতু মেশান।

৩. হাফ চামচ চিনি মেশান।

৪. ইচ্ছা হলে এক চিমটে নুনও মেশাতে পারেন।

সরবত বানানোর পদ্ধতি:

১. জলের সঙ্গে চাতুটা মিশিয়ে নিন।

২. চিনি এবং নুন মেশান।

৩. ভাল করে চামচ দিয়ে নারাতে থাকুন। যাতে সবকটি উপাদান ভাল করে মিশে যেতে পারে।

English summary

ছাতু খেলে নাকি শরীরের উপকার হয়, সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকার কারণে অকারণ খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। কিন্তু এই ধরণাগুলি কি আদৌ বিজ্ঞানসম্মত?

Have you ever heard of sattu? If you are from Bihar, Madhya Pradesh, Uttar Pradesh or West Bengal, chances are you have. For all of you from other states, here is all you need to know about 'sattu' and it's numerous health benefits.
Story first published: Wednesday, July 19, 2017, 11:10 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion