Just In
- 8 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 9 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 12 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 14 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
খাবার কীভাবে খেতে হয় জানেন কি?
খাবার খেলাম অর শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠল, এমনটা বাস্তবে কিন্তু হয় না। খাবার খাওয়ার একটা ধরণ আছে, তা না মানলে যতই পেট পুরে খান না কেন, শরীরের কোনো উপকারেই লাগে না।
খাবার খেলাম অর শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠল, এমনটা বাস্তবে কিন্তু হয় না। খাবার খাওয়ার একটা ধরণ আছে, তা না মানলে যতই পেট পুরে খান না কেন, শরীরের কোনো উপকারেই লাগে না। উল্টো দেহের ক্ষয় হতে শুরু করে। তাই প্রত্যেকের এই প্রবন্ধটি পড়া মাস্ট! কারণ পরিসংখ্যান বলছে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ জানেনই না কীভাবে খাবার খেতে হয়। যে কারণে অনেকে নানাবিধ পেটের রোগে অসুস্থ হয়ে পরেন। সেই সঙ্গে দেহে দেখা দেয় পুষ্টির অভাব। তাই খাবার খাওয়ার সময় কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত, সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা জরুরি। না হলে কিন্তু বিপদ!
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র অনুসারে খাওয়ার খাওয়ার সময় ১৫ টি বিষয় নজর রাখা জরুরি। এমনটা করলে খাবার ঠিক মতো হজম হবে। ফলে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সেই সঙ্গে শরীরের পুষ্টির অভাব ঘটার কারণে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমবে। এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলির মেন চলতে হবে, সেগুলি হল...
নিয়ম ১:
খাবার খাওয়ার সময় ততক্ষণ পর্যন্ত খাবার চিবতে থাকুন, যতক্ষণ না তা মিহি পেস্টে পরিণত হচ্ছে। যখন দেখবেন এমনটা হয়ে গেছে তখনই গিলবেন, তার আগে নয়।
নিয়ম ২:
টিভি দেখতে দেখতে অথবা কোনও কাজ করার সময় খাবার খাবেন না। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মন দিয়ে খাবার না খেলে শরীরের কোনও উপকার হয় না। বরং এমনটা করলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, খেতে খেতে কথা বলতেও মানা করেন অনেক চিকিৎসক। এমনটা করলেও নাকি খারাপ হয়। মোট কথা মনোযোগ সহকারে খাবার খেতে হবে। না হলেই কিন্তু বিপদ!
নিয়ম ৩:
খাবার খাওয়ার আগে ভুলেও ঠান্ডা জল খাবেন না। এমনটা করলে হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে। ফলে বদ-হজম, গ্যাস-অম্বল, পেটে অস্বস্তি প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
নিয়ম ৪:
খেতে খেতে কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ এমনটা করলে হজম প্রক্রিয়া একেবারে খারাপ হয়ে যায়। ফলে খাবার ঠিক মতো হজম না হওয়ার কারণে দেখা দেয় বহু সমস্যা।
নিয়ম ৫:
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে ভালবেসে বানানো খাবার শরীরে পজেটিভ এনার্জির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে মন এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, খিটখিটে বা অখুশি মন নিয়ে বানানো খাবার খেলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
নিয়ম ৬:
তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। বরং খাওয়ার সময় মনকে শান্ত রেখে থেমে থেমে খাবার গেলা উচিত। এমনটা করলে হজম ক্ষমতার যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি খাবারে থাকা পুষ্টি ঠিক মতো শরীর দ্বারা শোষিত হয়।
নিয়ম ৭:
খাবার খাওয়ার পর মনে করে একটু বসে নেবেন, তারপর কাজ শুরু করবেন বা অফিসে রওনা দেবেন। হুটতে-পুটতে খেয়ে অফিসে বেরিয়ে পরার অভ্যাস ছাড়ুন। এমনটা করলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
নিয়ম ৮:
যতক্ষণ না পেট কিছুটা ভরে যাচ্ছে, ততক্ষণ আস্তে আস্তে খাওয়া উচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে স্টমাকের এক তৃতীয়াংশ যতক্ষণ না ভরছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
নিয়ম ৯:
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের মাঝে যেন কম করে ৩-৪ ঘন্টার ব্যবধান থাকে। কারণ যে কোনও খাবার ঠিক মতো হজম হতে এই সময়টা লাগে। তাই ৩-৪ ঘন্টার আগে বারে বারে খাবার খেলে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
নিয়ম ১০:
সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত আমাদের হজম ক্ষমতা খুব ভাল থাকে। যেই না অন্ধকার হতে শুরু করে, আমনি ঘরির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হজম শক্তিও কমে যেতে শুরু করে। সেই কারণেই তো দুপুর পর্যন্ত ভারি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এর পর থেকে খাবার পরিমাণ কমিয়ে ফেলটাই বাঞ্ছনীয়।
নিয়ম ১১:
খাবার খাওয়ার সময় জল যেন ঘরের তাপমাত্রার সমান থাকে। এর থেকে বেশি ঠান্ডা হলে কিন্তু হজমে সহায়ক অ্যাসিডগুলি ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে বদ-হজম সহ আরও সব পেটের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
নিয়ম ১২:
যাদের খুব খিদে পায়, তারা অল্প অল্প করে বারে বারে খেতে পারেন। তবে প্রতিটি খাবার খাওয়ার মধ্যে যেন কম করে ৩ ঘন্টার ব্যবধান থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন।
নিয়ম ১৩:
ভারি কোনও খাবার খাওয়া আগে সুযোগ থাকলে অল্প করে আদা বা লেবু খেয়ে নেবেন। এমনটা করলে শরীরে পিত্তের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। ফলে খাবার হজমে কোনও সমস্যা হবে না।
নিয়ম ১৪:
লাঞ্চের আগে বা পরে ১ গ্লাস লস্যি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে ঠিক মতো খাবার হজমের পথ প্রশস্ত হবে।
নিয়ম ১৫:
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র মতে রাতের খাবার ৮ টার মধ্যে সেরে ফেলা জরুরি। শুধু তাই নয়, রাতের খাবার হতে হবে হলকা এবং সহজপাচ্য। যাতে তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যেতে পারে।