Just In
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০২০ : দিন, থিম ও তাৎপর্য
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর এই দিনটি পালিত হয়। মূলত, মারণ রোগ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিশ্ব জুড়ে সচেতনতা প্রচার করতে এই দিবস উদযাপন করা হয়। প্রতি বছর নানান থিমের মাধ্যমে এই দিবস উদযাপিত হয়। ক্যান্সার দিবসে এবারের থিম 'আই অ্যাম অ্যান্ড আই উইল'।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০০০ সালে প্যারিসে প্রথম ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য সম্মেলন শুরু হয় এবং বিশ্ব ক্যান্সার দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকেই প্রতিবছর এই দিনটিতে মানুষকে সচেতন করতে এবং ভয় না পেয়ে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই দিনটি পালন হয়ে আসছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯.৬ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মানুষ এই রোগ সম্পর্কে সচেতন না হলে বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যা। যদিও, ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে লাফিয়ে বে়ড়েছে সংখ্যাটা। ২০১৮ সালে আমাদের দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ২৫ লক্ষ। ২০১৯-২০-এর রিপোর্ট অনুযায়ী সেই সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৯ লক্ষে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের রিপোর্ট অনুসারে, প্রতিদিন প্রায় ১৩০০ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন এই রোগে।
শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই আক্রান্ত হচ্ছে এই মারণ রোগে। সারা বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যান্সার। তবে, বর্তমানে ক্যান্সার মানে 'নো অ্যানসার' বলার দিন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কারণ, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার দৌলতে বহু ক্যানসার আক্রান্ত রোগীরা লড়ে যাচ্ছেন জীবন ফিরে পেতে, সফলও হচ্ছেন। তবুও কোথাও যেন রোগের সংখ্যাটা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মেয়েদের স্তন ক্যান্সার এবং ছেলেদের লাং ক্যান্সারের প্রবণতার বেশি দেখা যাচ্ছে।
সচেতন হতে হবে নিজেদেরই। তবেই হয়তো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়ে উঠবে। আসুন হাতে হাত মিলিয়ে সকল মানুষকে এই মারণ রোগের সম্পর্কে সচেতন করে তুলি। সুস্থ থাকি সকলে। আসুন, বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে এবারের থিম "আই অ্যাম অ্যান্ড আই উইল"-কে মাথায় রেখে আমরা প্রত্যেকে ক্যান্সার প্রতিরোধে এগিয়ে যাই।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১) সারা বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যান্সার।
২) বিশ্বে মোট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ প্রতিরোধ করা সক্ষম।
৩) মোট সংখ্যার ৭১ শতাংশই ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
৪) পুরুষেরা বেশি ফুসফুস, প্রস্টেট, পাকস্থলী ও যকৃৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
৫) মহিলারা বেশি স্তন, ফুসফুস, সার্ভিকাল এবং থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
৬) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্যান্সারের হার বাড়তে থাকলে বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতি ঘরে একজন করে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী থাকবেন।