Just In
- 5 hrs ago
আজকের রাশিফল : ২১ জানুয়ারি ২০২১
- 14 hrs ago
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন কর্পূর ও মুলতানি মাটির ফেস প্যাক, দেখুন কীভাবে বানাবেন
- 17 hrs ago
খেলতে খেলতে চোট লেগেছে? এই পদ্ধতি প্রয়োগে নিমেষেই কমবে ব্যথা!
- 21 hrs ago
বুধ প্রবেশ করতে চলেছে কুম্ভ রাশিতে, জানুন এটি ১২টি রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে
Don't Miss
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর মাস্ক কোনটি?
সম্প্রতি ভারতে একের পর এক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা হয়ে চলার জন্য় গোটা দেশেই এই ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য নতুন উপায়ও আবিষ্কার করার চেষ্টা চলছে এবং এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রাথমিকভাবে মাস্ক পরার কথাও বলা হয়েছে। তাই, সাধারণ মানুষ নিজের সুরক্ষার জন্য শুরু করেছে মাস্ক পরা। গোটা দেশে এর চাহিদাও বেড়েছে, কিন্তু অনেকেই মাস্কের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নয়।
তাই, আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন মাস্কগুলি করোনা ভাইরাস এড়াতে বেশি কার্যকর এবং সেগুলি ব্যবহার করার সময় কোনদিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।

১) ডিসপোজেবল মাস্ক
ডিসপোজেবল মাস্ক, যাকে সার্জিকাল ফেস মাস্কও বলা হয়। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আশেপাশে থাকা চিকিৎসক এবং হাসপাতালের নানান কর্মীরাও এটি ব্যবহার করেন। এটি চিকিৎসক এবং রোগী উভয়কেই সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তবে এটি বাতাসের ছোট ছোট কণা আটকাতে পারে না। এই মাস্কগুলি মাত্র ৩ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি পরা উচিত নয়, এটি ভয়ঙ্কর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে না।

২) N 95 রেসিপিরেটর মাস্ক
এই মাস্কটিকে অস্ত্রোপচারের মাস্কের চেয়েও বেশি কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি "ইনসাইড টু আইটসাইড" অর্থাৎ বাইরে থেকে ভিতরে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণকে প্রতিরোধ করে। এই মাস্কটি করোনা, H1W1 এবং সার্স এর মতো ভাইরাসের সংক্রমণে সহায়তা করে।
করোনা ভাইরাসের থেকে সুরক্ষা পেতে N 95 রেসিপিরেটরের ব্যবহার বেশি কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, কারণ এই মাস্কগুলি ভাল ফিট হয় এবং প্রায় ০.৩ মাইক্রোনের ব্যাসযুক্ত ছোট কণাগুলিকে ফিল্টার করে দেয়। এটি বাতাসে উপস্থিত ছোট কণার ৯৫ শতাংশকে অবরুদ্ধ করে।
আপনার মনে কি নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে কোনও প্রশ্ন আছে? দেখে নিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য
তবে, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে করোনা ভাইরাসটি প্রায় ০.১২ মাইক্রোন ব্যাস পরিমাপ করে। তাই, এটি সংক্রমণ রোধে অকার্যকর হতে পারে বলে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

FFP1 মাস্ক
এটি মানের দিক থেকে ভাল নয়, সাধারণত এতে পরিস্রাবণ ৮০ শতাংশ এবং ছিদ্র ২০ শতাংশ হয়। এটি বাড়িতে ব্যবহারের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক।

FFP2 মাস্ক
এটি FFP1 এর তুলনায় বেশি ভাল। এতে পরিস্রাবণ ৯৪ শতাংশ এবং ছিদ্র ৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়। বর্তমানে এই মাস্কগুলি করোনা ভাইরাস এড়াতে পরা হচ্ছে।

FFP3 মাস্ক
বলা হয় এটি সর্বোচ্চ মানের মাস্ক, যার মধ্যে পরিস্রাবণ সাধারণত ৯৯ শতাংশ এবং ছিদ্র প্রায় ২ শতাংশ পর্যন্ত হয়। করোনা, সার্স এবং অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসগুলি থেকে বাঁচতে বিদেশে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ভারতের মতো জনাকীর্ণ দেশে এটি কতটা কার্যকর হবে তা বলা যায় না, কিন্তু, এটি নিশ্চিত যে মাস্কটি কাশি এবং হাঁচির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে দেবে না।

এই ব্যক্তিদের অবশ্যই মাস্ক পরা উচিত
ক) আপনি যদি একজন মেডিকেল কর্মী হন।
খ) আপনি যদি COVID-19 এ আক্রান্ত হন।
গ) আপনি যদি সংক্রামিত রোগীদের সংস্পর্শে থাকেন।
ঘ) আপনি যদি ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের অঞ্চলে বসবাস করেন।
ঙ) যদি আপনি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির যত্ন নিচ্ছেন।
চ) আপনার শরীরে যদি ফ্লুর মতো কোনও লক্ষণ দেখা দেয়।

কখন পরবেন
ক) আপনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে COVID-19 হয়েছে এমন কোনও সন্দেহভাজন রোগীর যত্ন নেওয়ার সময় আপনার মাস্ক পরা প্রয়োজন।
খ) আপনার যদি কাশি এবং সর্দি লেগে থাকে তবে মাস্ক পরুন।
গ) মাস্ক পরার পরেও আপনি খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার হাত পরিষ্কার থাকে কারণ, মাস্ক খোলার সময় সংক্রামিত হাত নাকে, মুখে স্পর্শ হলে আপনার শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। তাই, সময় সময় হাত ধুয়ে নিন।
ঘ) মাস্ক পরার পরে সেটার নিষ্পত্তিও সঠিকভাবে করুন।

মাস্ক পরার সময় সাবধানতা
ক) মাস্ক পরার আগে অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান এবং জল দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
খ) মাস্ক দিয়ে আপনার মুখ এবং নাকটি ঢেকে রাখুন এবং খেয়াল রাখবেন যাতে কোনও ফাঁক না থাকে।
গ) মাস্ক পরার পরে হাত দিয়ে তা স্পর্শ করবেন না, যদি স্পর্শ করেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে হাত পরিষ্কার করুন।
ঘ) একবার ব্যবহার করা মাস্ক পুনরায় ব্যবহার করবেন না।
করোনা ভাইরাস : দেখে নিন ভাইরাস থেকে বাঁচার কিছু সেফটি টিপস্

কীভাবে মাস্ক অপসারণ করা যায়
ক) মাস্ককে কখনোই বাইরে থেকে হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না।
খ) পিছন থেকে মাস্কটি খুলুন এবং অবিলম্বে এটি ঢাকনা সহ ডাস্টবিনে ফেলে দিন।
গ) অ্যালকোহল ভিত্তিক স্যানিটাইজার বা সাবান-জল দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।