Just In
আপনার হার্ট যে ভাল নেই তা বুঝবেন কীভাবে?
আপনার হার্ট যে ভাল নেই তা বুঝবেন কীভাবে?
গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের পাশপাশি সারা বিশ্বেই কম বয়সিদের মধ্যে হার্টের রোগের প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পয়েছে। 'হু' এবং 'আই সি এম আর' (ICMR) এর রিপোর্ট পর্যালোচনা করলেই দেখতে পাবেন, গত কয়েক দশকে নানা কারণে ৩০-৪০ বছরের বয়সীদের মধ্য়ে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তো নিজের হার্টের স্বাস্থ্যের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা একান্ত প্রয়োজন। আর এখানেই এই প্রবন্ধটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
কোনও গোলযোগ দেখা গেলেই আমাদের শরীর নানাভাবে সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। তবে এমনও কিছু রোগ আছে, যা শরীরে বাসা বাঁধলে তেমন কোনও লক্ষণের বহিঃপ্রকাশই ঘঠে না। তবে তা এখানে বিবেচ্য নয়। প্রশ্ন হল হার্ট ঠিক মতো কাজ না করলে কী কোনও লক্ষণ দেখা দেয়? একদম দেখা দেয়। কী সেই সব লক্ষণ? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. গোড়ালি ফুলতে শুরু করবে:
হার্ট টিক মতো কাজ না করলেই শরীরে জল জমবে। বিশেষত গড়ালিতে। ফলে শরীরের এই অংশটা ফলুতে শুরু করবে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ইডিমা বলা হয়ে থাকে।
২. মাথা যন্ত্রণা:
যদি দেখেন টানা ২ মাস ধরে মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কারণ অনেক সময় হার্টের রোগের লক্ষণ হিসেবেই এমন সমস্যা দেখা যেতে পারে।
৩. ক্লান্তি:
হার্ট ঠিক মতো কাজ করতে না পারলে অনেক সময়ই ক্লান্তি বোধ খুব বেড়ে যায়। তাই যদি দেখেন বেশ কয়েক দিন ধরেই কাজ করার ইচ্ছা একেবারে চলে গেছে, সেই সঙ্গে সব সময়ই শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে, তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। আসলে হার্ট ঠিক মতো কাজ না করলে শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের অভাব দেখা দেয়। ফলে একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যে কারণে ক্লান্তি বোধ খুব বেড়ে যায়।
৪. তলপেটে যন্ত্রণা:
হার্টের অবস্থা ভাল না হলে অনেক সময়ই তলপেটে ক্র্যাম্প বা যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। তাই যদি দেখেন মাঝে মধ্য়েই এমন সমস্যা হচ্ছে, একেবারেই হালকা ভাবে নেবেন না।
৫. পিটের উপরের দিকে ব্যথা:
যেমনটা আগেও বলেছি যে হার্ট যখন ঠিকমতো নিজেকে পাম্প করতে পারে না, তখন শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের অভাব দেখা দেয়। আর এমনটা হলেই যে যে লক্ষণ দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হল, পিঠের উপরিঅংশে ব্যথা বা স্টিফনেস। তাই যদি দেখেন দীর্ঘদিন ধরে এমন সমস্যা হচ্ছে, সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
৬. কাশি:
রেসপিরেটরি ইনফেকশন হয়নি, তাও রাত্রি-দিন কাশি হয়ে চলেছে! সাবধান হন এখন থেকেই। কারণ হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করলেই সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে।
৭. খিদে কমে যাওয়া:
হার্ট যে দুর্বল হয়ে পরছে, তা বোঝার প্রথম উপায় হল, খেয়াল রাখুন খিদে আগের মতো আছে কিনা। যদি দেখেন খাওয়ার ইচ্ছা একেবারেই চলে গেছে, সেই সঙ্গে মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। তাহলে এক্ষুনি সাবধান হন। না হলে কিন্তু বিপদ!