Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 13 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 16 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 18 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস: জনসচেতনতা তৈরিতে এবারও পালিত হবে হেপাটাইটিস দিবস
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস আগামীকাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবছর ২৮ জুলাই বিশ্বজুড়ে 'হেপাটাইটিস দিবস' পালন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর সারাবিশ্বে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার-র হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বিশ্বজুড়ে ৩২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ ক্রনিক হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়। ওই বছরেই পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ এই রোগে মারা যান। এর উদ্দেশ্য, সারাবিশ্বে হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি ও ই সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা, রোগনির্ণয়, প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। কারণ, অনেকেই নিজের অজান্তে শরীরে হেপাটাইটিসের ভাইরাস বয়ে চলেছে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই, এই পাঁচটি ভাইরাসের মধ্যে হেপাটাইটিস বি, সি এবং ডি এই তিন ভাইরাস সবথেকে মারাত্মক। এরা এক বার শরীরে প্রবেশ তিলে তিলে মানুষকে শেষ করে দেয়। লিভারের ক্ষতি করে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ক্রনিক হেপাটাইটিস। অসুখটা ক্রনিক হয়ে গেলে লিভার ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর চরম পরিণতি সিরোসিস অফ লিভার এবং লিভার ক্যানসার।
হেপাটাইটিস কী?
যেকোনও মারণ রোগের মতোই বিপজ্জনক হেপাটাইটিস। এর ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে লিভার নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পঙ্গুত্ব গ্রাস করতে পারে এবং মৃত্যুও হতে পারে। সাধারণত, দু'ধরনের হেপাটাইটিস দেখা যায় - অস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী। সাধারণত, অস্থায়ী হেপাটাইটিস ৬ মাসের কম স্থায়ী হয়, কখনও কখনও নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়। দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে। ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, টুথব্রাশ, দাড়ি কাটার সরঞ্জাম, যৌন মিলনেও হেপাটাইটিসের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলও পাঁচ ধরনের হেপাটাইটিস আছে। সেগুলি হল- হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস ডি এবং হেপাটাইটিস ই। জলবাহিত হেপাটাইটিস এ এবং ই ভাইরাস আক্রমণ করলে সঠিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সারানো সম্ভব। বিরল কয়েকটি ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা গেলেও সঠিক চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায়।
হেপাটাইটিস এ -
হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের ফলে এই রোগটি হয়। এটি যকৃতের তীব্র সংক্রামক রোগ। এক্ষেত্রে উপসর্গ খুব কম থাকে, আর যাদের উপসর্গ দেখা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ এবং উপসর্গের মধ্যে দুই-ছয় সপ্তাহের ব্যবধান থাকে। এই রোগের ক্ষেত্রে বমি হওয়া, হলুদ ত্বক, জ্বর এবং তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত, প্রবীণ মানুষদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি দেখা যায়। এটি সাধারণত, দূষিত খাবার বা জল-এর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এই রোগ প্রতিরোধ করতে হলে, হাত ধোওয়া, পরিষ্কারভাবে খাবার রান্না করা ইত্যাদি সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে, যকৃতের অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ থাকলে যকৃত প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তা সারানো হয়।
হেপাটাইটিস বি -
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ফলে এই রোগ হয়। যা যকৃত বা লিভারে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়। রক্ত অথবা শরীরে অন্যান্য তরল পদার্থ, যৌনতা, ট্যাটু, চুম্বন,হাঁচি-কাশি, ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসের কারণে লিভার প্রদাহের সৃষ্টি হয়ে থাকে। সময়মতো চিকিৎসা না করালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, চামড়া হলুদ হওয়া, ক্লান্তি, পেট ব্যাথা, প্রস্রাব হলুদ হওয়া প্রভৃতি লক্ষন দেখা যায়। মানবদেহের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক ভাইরাস হল 'হেপাটাইটিস'। এই ভাইরাস এডস্ রোগের চেয়ে বেশি সংক্রামক। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগেরই কোন প্রাথমিক লক্ষন থাকে না। যদিও এক্ষেত্রে এটি ধীরে ধীরে এটি যকৃতের ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে। দিন দিন হেপাটাইটিস-বি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাবা-মায়ের থাকলে শিশুর দেহেও এই রোগ ছড়ায়।
হেপাটাইটিস সি-
হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের ফলে এই রোগ হয়। এই রোগের ফলেও যকৃত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সচরাচর কোন উপসর্গ থাকে না। এর দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ যকৃতের ক্ষতি করে। কোন কোন ক্ষেত্রে সিরোসিস আক্রান্ত ব্যক্তির যকৃৎ অকার্যকর, যকৃতের ক্যান্সার, বা খাদ্যনালী ও পাকস্থলীর শিরা স্ফীত হতে পারে, যার ফলে রক্তক্ষরণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হেপাটাইসিস সি-এর কোন টিকা নেই। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই এই রোগ ভালো হয়ে যায়। কেবল অল্প কিছু ক্ষেত্রে তীব্র সংক্রমণের সঙ্গে জন্ডিস হয়ে থাকে।
হেপাটাইটিস
ডি-
হেপাটাইটিস
ডি
ভাইরাসের
ফলে
এই
রোগ
হয়।
একমাত্র
যাঁদের
হেপাটাইটিস্
বি
হয়
তাঁদের
মধ্যে
এটি
দেখা
দিতে
পারে।
হেপাটাইটিস
ই-
হেপাটাইটিস
ডি
ভাইরাসের
ফলে
এই
রোগ
হয়।
এটি
স্বল্পস্থায়ী
ও
এর
তীব্রতা
কম।
এক্ষেত্রে
ব্যক্তি
থেকে
ব্যক্তির
সংক্রমণ
কম।