For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

খালি পায়ে হাঁটুন ১০০ বছর বাঁচুন!

আজ থেকেই খালি পায়ে হাঁটা শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন বিনিদ্র রাত্রি যাপন আর করতে হবে না।

|

একটা সময় ছিল যখন আমাদের ঠাকুমা-দাদুরা প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটতেন। মাঝে মধ্যে আমাদেরও সঙ্গে নিতেন। তখন বলতেন, এইভাবে হাঁটলে নাকি শরীরে কোনও রোগ আসে না। শিশির মাখা ঘাসে হাঁটতে হাঁটতে সেই কথাগুলো তখন মাথার উপর দিয়ে ছুট লাগাতো। এখন বুঝি, ঠাম্মা-দাদুর দীর্ঘ জীবনের সিক্রেটটা কী ছিল!

ঠাম্মার কথাগুলো যে ভুল ছিল না, তা একাধিক গবেষণাতেও প্রমাণিত হয়েছে। সেই সব রিসার্চ পেপারে বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে, খালি পায়ে হাঁটার সঙ্গে আমাদের শরীরের ভাল থাকার সরাসরি যোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কের অন্দরের গঠন থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরে প্রতিটি কণাকে সুস্থ রাখতে খালি পায়ে হাঁটার যে কোনও বিকল্প নেই, সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। তাই তো জেট স্পিডে ছুটতে থাকা জেনওয়াইদের কাছে অনুরোধ, এমন কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরের খেয়াল রাখা বেশিরভাগ সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই তো এমন সহজ পদ্ধতিগুলির সাহায্য়ে নেওয়া উচিত। না হলে একদিকে যেমন কমবে আয়ু, তেমনি বাড়বে একাধিক রোগের প্রকোপ। তাই সাবধান বন্ধুরা!

এখন প্রশ্ন হল খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা কী কী? চুলুন খোঁজ লাগানো যাক সে সম্পর্কে!

১. রাতে কি ঠিক মতো ঘুম আসে না?

১. রাতে কি ঠিক মতো ঘুম আসে না?

এমন সমস্যার শিকার যদি আপনিও হয়ে থাকেন তো আজ থেকেই খালি পায়ে হাঁটা শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন বিনিদ্র রাত্রি যাপন আর করতে হবে না। কারণ খালি পায় হাঁটার সময় আমাদের শরীর থেকে নেগেটিভ এনার্জি বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস রিলিজও হয়। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘুম আসতে আর কোনও অসুবিধাই হয় না। প্রসঙ্গত, শুধু খালি পায়ে হাঁটলেই যে এমন উপকার হয়, তা নয়। সাঁতার কাটলেও একই ফল মেলে।

২. বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়:

২. বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়:

আজকের দুনিয়ায় সফল হতে গেলে বুদ্ধির তরোয়ালে ধার থাকাটা একান্ত প্রয়োজন, না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! তাই তো বলি, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে একটু খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করুন। এমনটা করলেই দেখবেন ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের অন্দরে থাকা নিউরনগুলি মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। ফলে একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বুদ্ধির জোরও বাড়তে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে আমাদের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই জল দিয়ে গঠিত। তাই তো মাটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যত নিবিড় হবে, তত আমাদের শরীরের অন্দরে নানাবিধ তরলের উপাদানের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। ফলে রোগভোগের আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

৩.দেহের গঠনের উন্নতি ঘটবে:

৩.দেহের গঠনের উন্নতি ঘটবে:

একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে স্টাইলের চক্করে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই তাদের পায়ের গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জুতো পরেন না। ফলে ধীরে ধীরে পায়ের তলার গঠন খারাপ হতে শুরু করে। আর একবার পায়ের গঠন খারাপ হয়ে গেলে তার সরাসরি প্রভাব পরে আমাদের শরীরের উপর। ফলে ব্যাক পেন, ঘারে যন্ত্রণা এবং গোড়ালিতে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাহলে কী জুতো পরাই ছেড়ে দিতে হবে? একেবারেই না। তবে দুর্বল হয়ে যাওয়া পা যুগলেকে পুনরায় চাঙ্গা করে তুলতে খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। এমনটা করলেই পায়ের শক্তি বাড়তে থাকবে। ফলে ভুল জুতো পরলেও শরীরের উপরে আর কু-প্রভাব পরবে না।

৪.আমাদের অনুভূতিকে আরও জোরদার করে:

৪.আমাদের অনুভূতিকে আরও জোরদার করে:

কে বলে শুধু মানুষের অনুভূতি রয়েছে, পৃথিবীর অন্দরেও সেনসারি চ্যানেল রয়েছে, যার সঙ্গে আমাদের শরীরের সরাসরি যোগও আছে। কিন্তু সমস্যাটা হল মানুষযখন থেকে ভদ্র হয়ে উঠেছে, অর্থাৎ জুতো পরা শুরু করেছে তখন মাটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে এখন আর পরিবেশে উপস্থিত শক্তি মনুষের শরীর প্রবেশ করতে পারে না। সেই কারণেই না এত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তাই তো বলি, খালি পায়ে হাঁটা শুরু করুন। এমনটা করলে আমাদের পায়ের তলায় থাকা কিছু প্রেসার পয়েন্ট অ্যাকটিভ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক এবং শরীর আরও বেশি করে অ্যাকটিভ হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে সিক্স সেন্সও বাড়তে শুরু করে।

৫.সারা শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করবে:

৫.সারা শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করবে:

খালি পায়ে হাঁটের সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সারা শরীরে রক্তচলাচল ঠিক মতো হতে শুরু করে দেয়। ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধি রক্ত বেশি বেশি করে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পৌঁছে গিয়ে তাদের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা চোখে পরার মতো হ্রাস পায়।

৬. হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়:

৬. হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়:

শরীরে রক্তচলাচল যখন স্বাভাবিকভাবে হতে থাকে, তখন ব্লাড ক্লট এবং আর্টারিতে ময়লা জমার আশঙ্কা কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, খালি পায়ে হাঁটার আরেকটি উপকারিতা হল, এই সময় ব্লাড সেলগুলি মারাত্মক অ্যাকটিভ হয়ে যায়। ফলে রক্ত ঘন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৭. পেশী এবং হাড়ের গঠন আরও ভাল হয়:

৭. পেশী এবং হাড়ের গঠন আরও ভাল হয়:

খালি পায়ে হাঁটার সময় ভেনাস রিটার্ন বেড়ে যায়। অর্থাৎ বেশি বেশি করে রক্ত পৌঁছে যেতে শুরু করে হার্টে। ফলে পেশী এবং হাড় আরও শক্তোপক্তো হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

৮. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৮. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

আমাদের পায়ের তলায় থাকা একাধিক সেন্সারি নার্ভ, খালি পায়ে হাঁটার সময় অ্যাকটিভ হয়ে গিয়ে শরীরের ভিতরে পজেটিভ এনার্জি তৈরি করতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে নানাবিধ সংক্রমমের আশঙ্কা একেবারে শূণ্য়ে এসে দাঁড়ায়।

৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন ভোর বেলা, খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে পায়ের তলায় থাকা একাধিক প্রেসার পয়েন্টে চপ পরতে শুরু করে। এই সব প্রেসার পয়েন্টের সঙ্গে চোখের সরাসরি যোগ রয়েছে। ফলে পায়ের তলায় যত চাপ পরে, তত দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করে।

Read more about: জীবন
English summary

খালি পায়ে হাঁটুন ১০০ বছর বাঁচুন!

Walking with shoes or slippers on is like our second nature. But the next time you decide to go for a stroll, make sure to take off your shoes and walk barefoot for a while. Interestingly, walking barefoot, which is also termed as ‘earthing’ or ‘grounding’ has several benefits which are not known to many. It’s no longer a kooky counterculture but has become a scientifically proven healthy practice.Let’s find out how walking barefoot keeps our mind and body healthy:
X
Desktop Bottom Promotion