Just In
- 3 hrs ago পেটের মেদ কমাতে চান? দ্রুত চর্বি পোড়াতে এই বসার ভঙ্গি ব্যবহার করে দেখুন, ওজন কমবে
- 5 hrs ago মাছির উপদ্রবে নাজেহাল? জ্বালাতন থেকে বাঁচতে ঘরোয়া টোটকা
- 6 hrs ago দোল পূর্ণিমার পরই ভাগ্যবান ৩ রাশি, হুহু করে আসবে টাকা, ভাগ্য ফিরছে কাদের?
- 9 hrs ago পোস্ট হোলি চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে? এক নজরে রইল বিশেষ টিপস
এই ৮টি ঘরোয়া পদ্ধতিতেই মিলবে ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি! জেনে নিন কী করবেন
ত্বকের প্রতি সামান্য অবহেলা করলেই নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস এসে ত্বকের উপর বিস্তার ঘটাতে থাকে। ওষুধ বা ঘরোয়া উপায়ে সমস্যা থেকে মুক্তি মিললেও, ত্বকে তার দাগ কিন্তু থেকেই যায়! আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জীবনে একবার না একবার ফাঙ্গাল ইনফেকশনের শিকার হয়েছি। অপরিষ্কার থাকা, প্রচন্ড গরম, আর্দ্রতা, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের সম্ভাব্য কারণ। এটি অবহেলা করলে কিন্তু মারাত্মক হতে পারে।
ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্য মার্কেটে নানা ধরনের ক্রিম, পাউডার পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করলে, সহজেই এই সংক্রমণ থেকে মুক্তি মেলে।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার কারণ
১) আর্দ্র ও গরম আবহাওয়ায়, স্যাঁতস্যাঁতে জামাকাপড় পরা, প্রচুর ঘাম হওয়া।
২) ডায়াবেটিস, এইচআইভি এবং ক্যান্সারের মতো অন্তর্নিহিত রোগগুলির কারণে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের অন্যতম কারণ হতে পারে।
৩) অপরিষ্কার পরিবেশে বাস এবং ব্যক্তিগতভাবে পরিচ্ছন্ন না থাকা।
৪) অপরিষ্কার জামাকাপড়, ইনারওয়্যার বা মোজা পরা।
৫) ভীষণ টাইট পোশাক পরার কারণে ঘাম হতে পারে, ফলে ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন।
৬) স্থূলতা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণ হতে পারে।
৭) গর্ভাবস্থায় হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য যোনিতে সংক্রমণ হতে পারে।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
সাবান ও জল
আক্রান্ত জায়গা সাবান ও জল দিয়ে দিনে দু'বার পরিষ্কার করুন। কোনও ঘরোয়া পদ্ধতি বা ওষুধ প্রয়োগের আগে এটি করুন। এটি সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করবে।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল এর সাথে মিশিয়ে সংক্রমিত স্থানে লাগান। এটি দিনে তিন-চারবার করতে হবে।
হলুদ
সংক্রমণ রোধ করতে হলুদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হলুদে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদ এবং জল একসাথে মিশিয়ে পেস্টটি সংক্রমিত জায়গায় লাগান।
নিম পাতা
নিম পাতা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। নিম পাতা জলে সিদ্ধ করে সেই জল ব্যবহার করুন। এই নিম জল ব্যবহার করে সংক্রমিত জায়গা পরিষ্কার করলে ইনফেকশন থেকে মুক্তি মিলবে।
অ্যালোভেরা
ত্বকের যেকোনও ইনফেকশন থেকে বাঁচতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। দিনে ৩-৪ বার সংক্রমিত স্থানে অ্যালোভেরা লাগালে চুলকানি, ব্যথা এবং জ্বালা থেকে স্বস্তি মেলে। ইনফেকশন সারানোর পাশাপাশি এটি স্কিন ড্যামেজও রিপেয়ার করে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারও ফাঙ্গাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনি গরম জলে দুই টেবিল চামচ মিশিয়ে পান করতে পারেন। এছাড়াও, এতে তুলো ভিজিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। দিনে তিনবার করলেই হাতেনাতে রেজাল্ট পাবেন!
রসুন
রসুনে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যাদের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রসুন থাকে, তারা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের শিকার কম হন। দু' কোয়া রসুনকে থেতো করে তাতে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে আধঘণ্টা রাখুন।
দই
দই এবং অন্যান্য প্রোবায়োটিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভাল ব্যাকটিরিয়া রয়েছে, যা ফাঙ্গাল ইনফেকশন রোধ করতে পারে। নিয়মিত দই খেলে বা আক্রান্ত জায়গায় দইয়ের প্রলেপ লাগালে সহজেই ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।