Just In
- 10 min ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 2 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 5 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 22 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
Covid-19 vs Flu : সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, নাকি সাধারণ ফ্লু? জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চারিদিকে। আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন দ্রুত হারে বাড়ছে। তার ওপর এখন আবার শীতকাল। এই সময় জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা ফ্লু-এর মতো সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। সব মিলিয়ে বোঝা দায়, কোনটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা, কোনটা ফ্লু, আর কোনটাই বা কোভিড। কোভিড এবং ফ্লু-এর উপসর্গগুলি অনেকটা একইরকম হওয়ায়, অনেকেই ফ্লু এবং কোভিডের মধ্যে গুলিয়ে ফেলছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি উপসর্গের দিকে নজর দিতে। তাহলেই নিজের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। তাই, কোনটা ফ্লু আর কোনটা কোভিড তা বুঝতে কী কী বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখবেন জেনে নিন।
COVID-19 এবং ফ্লু-এর লক্ষণগুলির তীব্রতা ব্যক্তি বিশেষে পরিবর্তিত হয়। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে উভয় সংক্রমণই নিম্ন শ্বাসতন্ত্রে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নিউমোনিয়াও হতে পারে। সর্দি, কাশি, জ্বর, ক্লান্তি, এগুলি কোভিড-১৯ এবং ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ। এছাড়াও, নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, ডায়রিয়া, গলা ব্যথা, পেশীতে ব্যথা এবং ঠাণ্ডা লাগা উভয় অবস্থারই লক্ষণ, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। তবে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট এবং স্বাদ ও গন্ধ হারানো এই দু'টি লক্ষণ মোটামুটি সাধারণ, কিন্তু ফ্লু-র ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলি দেখা যায় না।
ফ্লু -এর উপসর্গগুলি কী কী?
১) জ্বরের পাশাপাশি খুব ঠান্ডা লাগা।
২) সর্দি, কাশি, এবং গলায় ব্যথা হওয়া।
৩) নাক থেকে অনবরত জল পড়া।
৪) সারা শরীরে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা হওয়া।
৫) আলসেমি এবং ক্লান্তির অনুভূতি হওয়া।
৬. অনেকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার সমস্যাও দেখা দেয়।
কোভিডের উপসর্গগুলি কী কী?
১) বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, করোনার প্রথম লক্ষণটি হল জ্বর হওয়া।
২) জ্বরের সাথে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, ক্লান্তিভাব।
৩) স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া।
৪) মাথা যন্ত্রণা এবং সারা শরীরে ব্যথা।
৫) কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৬) বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিডে আক্রান্ত হলে ত্বকে ইনফেকশন, চুলকানি হওয়া, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৭) বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে, বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড এবং ফ্লু হওয়ার কারণ
COVID-19 এবং ফ্লু উভয়ই ভাইরাল ইনফেকশন এবং দু'টি ভিন্ন ধরণের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট। হিউম্যান ইনফ্লুয়েঞ্জা A এবং B ভাইরাসের কারণে ফ্লু হয়। এই দুটির মধ্যে, ইনফ্লুয়েঞ্জা, A ভাইরাস শীতকালে ফ্লু হওয়ার জন্য দায়ী। এটি অত্যধিক সংক্রামক এবং মানুষ ও পশু উভয়কেই সংক্রামিত করতে পারে। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ severe acute respiratory syndrome coronavirus 2 (SARS-CoV-2) ভাইরাসের স্ট্রেন দ্বারা সৃষ্ট।
কখন লক্ষণ দেখা দেয়?
করোনার উপসর্গগুলি অনেকটা ফ্লু বা সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতো হওয়ায়, উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করাটা বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। যদিও উভয়ই ভাইরাল ইনফেকশন, কিন্তু দু'টি ভাইরাসের সংক্রমণের গতি একে অপরের থেকে আলাদা। ফ্লুর লক্ষণগুলি তাড়াতাড়ি দেখা দেয় এবং করোনা ভাইরাসের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত ১-৪ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলি অনুভব করেন, আর কোভিডের লক্ষণগুলি ১-১৪ দিনের মধ্যে উপস্থিত হতে পারে। তবে, ফ্লু এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিরা কোনও উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারে।
গবেষণা অনুসারে, ফ্লুর তুলনায় COVID-19 বেশি মারাত্মক। তাই কোভিডকে কখনোই হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিডের কোনও লক্ষণ দেখা মাত্রই বা কোভিড আক্রান্ত কারুর সংস্পর্শে আসলে অবিলম্বে টেস্ট করান।
ভাইরাস কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে?
কোভিড এবং ফ্লু উভয়ই নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে একজনের থেকে অন্য জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগাক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশির ড্রপলেট বায়ুতে ঘুরে বেড়ায়। রোগীর কাছাকাছি থাকা সুস্থ মানুষের নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে তার শরীরে প্রবেশ করে এই ড্রপলেট। এই ভাইরাস বেশ কয়েক দিন ধরে পৃষ্ঠে থাকতে পারে এবং যখন কোনও ব্যক্তি সেই সব পৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসে তখনও স্থানান্তরিত হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
COVID-19 এবং ফ্লু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল টিকাকরণ। কিন্তু ভাইরাস যেহেতু পরিবর্তিত হতে থাকে, তাই শুধুমাত্র টিকা নেওয়াই ফ্লু বা কোভিডের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয় না। নিরাপদ থাকার জন্য আপনাকে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নিতে হবে -
১) ঘন ঘন হাত ধোওয়া
২) চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ না করা
৩) অন্যদের থেকে অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা
৪) হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা
৫) অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতে থাকা
৬) ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলা
৭) সর্বদা মাস্ক ব্যবহার করা