Just In
- 12 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 14 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 16 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 18 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
চিনি ছেড়ে স্যাকারিন? সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেন কি?
আমাদের চারপাশের যা কিছু কৃত্রিম খাবার আমরা দোকান থেকে কিনি তার অধিকাংশই স্যাকারিন মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
অত্যাধিক সুগার যাঁদের বা ডায়েট কন্ট্রোল করতে ইচ্ছুক যাঁরা, তাঁদের সকলের কাছেই স্যাকারিন খুব পরিচিত জিনিস। প্রতিদিন যে ধরনের মিষ্টি আমরা খেয়ে থাকি তার যথার্থ সাপ্লিমেন্ট এই স্যাকারিন। কিন্তু স্যাকারিন কী শরীরের জন্য ভালো? বিজ্ঞানীদের মধ্যে এই নিয়েই রয়েছে নানারকমের মত। আমেরিকায় এই নিয়ে রীতিমত রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও হয়েছে একটা সময়। স্যাকারিন কীসে ব্যবহৃত হয় তা আগে জেনে রাখা দরকার। আমাদের চারপাশের যা কিছু কৃত্রিম খাবার আমরা দোকান থেকে কিনি তার অধিকাংশই স্যাকারিন মিশিয়ে তৈরি করা হয়। ক্যানড ফ্রুট, চকোলেট, আইসক্রিম, চুয়িংগাম এমনকি ওষুধ তৈরিতেও মিশে আছে স্যাকারিন সাধারণ চিনির থেকে যা প্রায় ৩৫০-৪০০ গুণ বেশি মিষ্টি।
১। ডায়েটের জন্য ভালো:
স্যাকারিন যেহেতু চিনির সাপ্লিমেন্ট তাই এটি ডায়েটের জন্য খুবই ভালো। এটি একটি কেমিক্যাল প্রোডাক্ট। ল্যাবরেটরিতে তৈরী করা হয় বলে এর মধ্যে কোনও জৈব পদার্থ নেই যা ফ্যাট তৈরি করতে পারে। ফলে নিশ্চিন্তে চা বা যে কোনও খাবারে চিনির মত ব্যবহার করতে পারেন স্যাকারিন। যেহেতু চিনির থেকে অনেকটা বেশি মিষ্টি তাই কম পরিমাণে ব্যবহার করুন কারণ বেশি স্যাকারিনের স্বাদ কিন্তু মোটেই ভালো নয়।
২। ডায়াবেটিস পেশেন্টদের জন্য:
ডায়াবেটিসের পেশেন্ট যারা তাদের রক্তে সুগারের লেভেল নর্মাল রাখতে হিমসিম খেতে হয়। স্যাকারিন অনায়াসে সেক্ষেত্রে হতে পারে বিকল্প। স্যাকারিন রক্তে সুগারের লেভেল বাড়ায় না। ফলে যেকোনও খাবারেই চিনির বদলে স্যাকারিন বেছে নিতে পারেন পরিমাণমত।
দাঁতের রক্ষা করে:
চিনি খাওয়ার আরেক সমস্যা হল দাঁতে ক্যাভিটি হওয়া, দুর্বল হয়ে দাঁত পড়ে যাওয়া। অত্যাধিক চিনি খাওয়া যাদের পছন্দ, তারা বেছে নিন স্যাকারিন , যা চিনির মতোই সুস্বাদু, কিন্তু দাঁতের ক্যাভিটি হঔয়ার সুযোগ নেই।
৩। ক্যানসারের সম্ভাবনা:
বিজ্ঞানীমহলে গত শতাব্দীর শেষে একটা মতবিরোধ ছিল। অনেক বিজ্ঞানীর মতে স্যাকারিন খেলে তা ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাঁরা ইঁদুরের দেহে পরীক্ষা করে দেখান যে তাঁরা ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছে। এর জন্য রীতিমতো আইন করা হয় যে ক্যানসার হতে পারে এমন কোনও খাবার বেচা যাবে না। কিন্তু অন্য বিজ্ঞানীদের মতে যা ইঁদুরের দেহে হয়, তা মানুষের দেহে হবে এমন কোনও মানে নেই। এমনকি কিছু মানুষের উপর পরীক্ষা করে তারা সেটা প্রমাণ করে দেন। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দ্রব্যটিকে খাওয়ার পক্ষে নিরাপদ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
৪। ব্লাড সুগার বৃদ্ধি:
আমেরিকার কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন স্যাকারিনের স্বাদ যেহেতু চিনির মতই , তাই এটি ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে। কিন্তু মানুষের উপর পরীক্ষা করে এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। ফলে এটা এখনো স্পষ্ট নয় যে খুব অল্প পরিমাণে হলেও স্যাকারিন সত্যি সুগার লেভেল বাড়ায় কিনা।
৫। ওবেসিটি, টাইপ টু ডায়াবেটিস:
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে স্যাকারিন খেলে কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে তৈরি হয় যাদের ফলে ওবেসিটি, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগ এমনকি মারণরোগ ক্যানসারও হতে পারে আমাদের শরীরে।
৬। পরিমিত খান:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে স্যাকারিন ঠিক কী পরিমাণে গ্রহণ করলে নিরাপদ থাকা যায় তার একটি হদিশ দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে এক কেজি ওজনের দেহাংশের জন্য ৫ মিলিগ্রামের বেশি স্যাকারিন না খাওয়াই ভালো। প্রত্যেকের মোট ওজন অনুযায়ী সহজেই মোট স্যাকারিনের পরিমাণ এর থেকে হিসেব করে নেওয়া সম্ভব।