Just In
করোনা সতর্কতা : এইসময় জিমে যাওয়া কতটা নিরাপদ? জিমে গেলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
করোনা ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বদলে গিয়েছে মানুষের স্বাভাবিক দিনযাপন। কোভিড আতঙ্কের জন্য দীর্ঘদিন গৃহবন্দী অবস্থায় থেকে শরীর ও মন ক্রমশই অস্থির হয়ে পড়েছিল। চার দেওয়ালের বন্দিজীবন থেকে বাঁচতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলো সকলে। বিশেষ করে যারা খুব স্বাস্থ্য সচেতন তাদের ক্ষেত্রে এই সময়টা খুবই কষ্টকর। কিন্তু এবার হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা। কারণ, কনটেনমেন্ট এলাকার বাইরে থাকা সব যোগাকেন্দ্র এবং জিম সুরক্ষা বিধি মেনে খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
তবে জিম বা যোগা কেন্দ্র খোলা নিয়ে অমত প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, জিম খোলা হলে সংক্রমণ আরো বহু গুণ বেড়ে যাবে। কারণ, জিম সেন্টারে সঠিক নিয়ম মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা খুবই অসম্ভব। তাই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি।
এমন অবস্থায় কতটা নিরাপদ হবে আপনার জিম সেন্টারে যাওয়া, তা কিন্তু চিন্তার বিষয়। এরপরও একান্তই যদি জিমে যাওয়ার থাকে আপনার, তাহলে কোন কোন বিষয়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করবেন দেখে নিন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।
কেন জিম থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে জিম সেন্টারে কোনওভাবেই শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়। একই যন্ত্র অনেকে ব্যবহার করেন। যেহেতু বেশিরভাগ জিম সেন্টার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, তাই একটি বদ্ধ ঘরে একসঙ্গে অনেককেই থাকতে হচ্ছে। যার ফলে কোনও উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ মানুষ যদি বদ্ধ ঘরে সবার মাঝে থাকেন তবে প্রত্যেকেরই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। পাশাপাশি এক্সারসাইজ করার সময় সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : গবেষণায় উঠে এল ছয় প্রকারের করোনা ভাইরাস, জানুন লক্ষণগুলি
কী কী সতর্কতা মেনে চলবে?
১) কষ্ট হলেও সঠিক নিয়ম মেনে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। কোনওভাবেই মাস্ক খোলা চলবে না।
২) জিম সেন্টারে একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে কমপক্ষে ছয় ফুটের দূরত্ব মেনে চলবেন।
৩) একটি জিম সেন্টারের মোট যতজন লোক, সেই অনুযায়ী দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হলে সময় ভাগ করে সেই সময় অনুযায়ী সকলকে আসতে হবে।
৪) জিমে যাওয়ার সময় নিজের সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস, টাওয়েল, জলের বোতল ক্যারি করুন।
৫) জিমে থাকাকালীন চোখে, মুখে, নাকে হাত দেবেন না। মাঝেমধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধোবেন বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন।
৬) জিম সেন্টারের ইন্সট্রুমেন্টগুলোতে হাত দেওয়ার আগে হাত স্যানিটাইজ করুন এবং ইন্সট্রুমেন্টগুলি স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দিন।
৭) ঢোকার আগে সকলের থার্মাল স্ক্রীনিং করার নির্দেশ দিন কর্তৃপক্ষকে।
৮) সামান্য ঠান্ডা লাগা, হাঁচি কাশির সমস্যা থাকলে জিম যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৯) প্রতিদিন জিম সেন্টার ভালো করে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে কিনা, তার দিকে নিজেরাই খেয়াল রাখুন।
১০) এয়ারকন্ডিশন যুক্ত জিম সেন্টার এড়িয়ে চলুন। পারলে কয়েকটি জানালা দরজা খুলে রাখুন যাতে বাইরের আলো-বাতাস প্রবেশ করে।
১১) জিম সেন্টার থেকে ফেরার পর সঙ্গে সঙ্গেই স্নান করে নেবেন এবং পরিহিত কাপড়গুলি সাবান জল দিয়ে কেচে নেবেন।