Just In
প্রতিদিন কলা খাওয়া জরুরি কেন?
কলায় রয়েছে রেজিলটেন্ট স্টার্চ, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
কলা কেমন দেখতে? কেমন আবার অর্ধচন্দ্রাকার! একেবারে ঠিক। কিন্তু এখবার নজর ফিরিয়ে দেখুন, কলার শরীরের গঠনের সঙ্গে আমাদের হাসির কত মিল আছে, তাই না! হ্য়াঁ, একেবারে ঠিক! আসলে শুধু দেখতে নয়, এই ফলটি খেলে বাস্তবিকই আমাদের মুখে হাসির অভাব হয় না কখনও। কেন জানেন? কারণ এই ফলটি একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই তো নিয়মিত এটি খেলে শরীরের নানা উপকারে লাগে। যেমন...
১. রেজিসটেন্ট স্টার্চ:
শরীরে যত বেশি মাত্রায় রেজিসটেন্ট স্টার্চ প্রবেশ করবে তত টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে। তাই তো যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা যত বেশি করে পারবেন কলা খাবেন।
২. হজম ক্ষমতার উন্নতি হবে:
আপনি কি বদ হজমের সমস্যায় ভুগছেন? অনেক ওষুধ খেয়েও আরাম মিলছে না? তাহলে রোজদিন কলা খাওয়া শুরু করুন। কারণ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম। এই খনিজটি ব্রেন সেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, শরীরের গঠনে পটাশিয়াম আরও নানাভাবে সাহায্য় করে। যেমন- রক্তকে শুদ্ধ করে, পেশির সঞ্চালনের আরও উন্নতি ঘটায় প্রভৃতি।
৪. ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে:
খাবার দ্রুত হজম করাতে আমাদের ইন্টেস্টাইনে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়ারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর কলা খেলে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন, রোজ দিন কলা খেলে নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাস্তবিকই কমে যায়।
৫. ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে:
শরীরকে সব দিক থেকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন পরে। আর এই চাহিদা মেটাতে কলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চল। কারণ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি৬ এবং সি। প্রসঙ্গত, ভিটামিন বি৬ শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে রক্তে যাতে শর্করার মাত্রা না বাড়ে, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৬. ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমায়:
কলায় এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমানোর পাশপাশি মাথার যন্ত্রণা এবং ক্লান্তি দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. ডায়াবেটিকদের জন্য খুব উপকারি:
শর্করার মাত্রা কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে এই ফলটি খেতে পারেন। তাছাড়া নানাবিধ পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীর ঠিক রাখতেও কলা বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে।
৮. ওজন হ্রাস করে:
ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে কলা খাওয়া মাত্র পেট ভরে যায়। ফলে অনেকক্ষণ খিদে পায় না। তাতে খাওয়ার পরিমাণ যেমন কমে, সেই সঙ্গে চিপস বা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও চলে যায়। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা হ্রাস পায়।