Just In
- 2 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 3 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 3 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 18 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
পার্কিনসন রোগীদের হতে পারে মেলানোমা ক্যান্সার!
মেয়ো ক্লিনিকের গবেষকদের মতে, যারা পার্কিনসন রোগীদের মেলানোর ইতিহাস থাকার সম্ভাবনা চারগুণ বেশি থাকে।
পার্কিনসন রোগীদের মেলানোমা নামক এক ধরনের ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনেক সময় উল্টোটাও হতে পারে। অর্থাৎ মেলানোমায় আক্রান্তদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে পার্কিনসন ডিজিজ।
মেয়ো ক্লিনিকের গবেষকদের মতে, যারা পার্কিনসন রোগীদের মেলানোর ইতিহাস থাকার সম্ভাবনা চারগুণ বেশি থাকে। একইভাবে যারা মেলানোমায় আক্রান্ত তাদের মধ্য়ে বেশিরভাগেরই পার্কিনসন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সম্প্রতি মেয়ো ক্লিনিকের প্রোসিডিন্সের পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যে থেকে জানা যায়, একটি গবেষণায় চিকিৎসকেরা ৯৭৪ জন মেলানোমা রোগী এবং ২৯২২ জন মেলানোমা বিহীন রোগীর ওপর গবেষণাটি চালায়।
এক সময় মনে করা হত পার্কিনসন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত লেভোডোপা নামক একটি অষুধের কারণে মেলানোমায় আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরবর্তি সময় নানা গবেষণায় একতা প্রমাণ হয়ে গেছে যে লোভোডোপা ওষুধটি দিয়ে চিকিৎসা করা হোক, কি না হোক, পার্কিনসন রোগ হলে মেলানোমায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব থাকবেই থাকবে।
পরিবেশ জনিত কারণে, জিনগত কারণে অথবা রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থায় কিছু সমস্যার কারণে এই দুটি রোগ হয়ে থাকে। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণায় প্রয়োজন রয়েছে।
মেয়ো ক্লিনিকের মূল লেখক, ল্যরেন ড্যালভিনের মতে, "আমরা যদি নির্দিষ্ট ভাবে জানতে পারি,পার্কিন্সন ও মেলানোমার মধ্যের যোগ সূত্রটা ঠিক কি, তাহলে রোগী ও তাদের পরিবারকে এই বিষযে আরও ভাল করে সাবধান করা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ল্যরেন ড্যালভিন আরও জানান, "ভবিষ্যত গবেষণায় এই দুই রোগের সম্পর্কের উপর আরও গভীর ভাবে মনোনিবেশ করতে হবে। তাহলে বোধহয় রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়া ও পরিবেশের প্রভাবগুলো সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারমা করা যাবে।"
গবেষকদের মতে, যে সব রোগী দুটির মধ্য়ে কোনও একটি রোগে আক্রান্ত, তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে অন্য রোগটির কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কিনা। যদি দেখা দেয় তাহলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রোগীদের একটা রোগ থেকে অন্য রোগটি হওয়ার যে সম্ভাবনা রয়েছে সে বিষয়ে আগে থেকে সচেতন করে দিতে হবে।
তথ্যসূত্র: আই এ এন এস