Just In
জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ : কেন পালন করা হয় এই দিবস?
'চক্ষুদান মহৎ দান'। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে চোখ আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ ও শৌখিন। চোখ না থাকলে আমরা দেখতে পেতাম না আমাদের প্রিয়জনদের, দেখতে পেতাম না এই সুন্দর পৃথিবীকে। যাদের চোখ নেই, যারা ভালোভাবে দেখতে পায় না, তাদের অবহেলা না করে আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাই, চক্ষুদানকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতিবছরই জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ পালন করা হয়। অগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ধরে সারা দেশজুড়ে চক্ষুদান প্রচারে নানান জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয় একপক্ষকাল ধরে। ২৫ অগাষ্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ উদযাপিত হয়। এই উদযাপনের মাধ্যমে মৃত্যুর পর চক্ষুদানের অঙ্গীকারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হয় ও জনসচেতনতা গড়ে তোলা হয়।
আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ আছে যারা দেখতে পান না। অন্ধত্বের সংখ্যা ভারতে অনেক বেশি। কারোর দু'টি চোখ খারাপ, আবার কারোর একটি চোখ খারাপ। অন্ধত্বের কারণে অনেকেই বিষণ্ণতায় ভোগেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে চক্ষু কর্নিয়ার রোগ, ছানি এবং গ্লকৌমা দৃষ্টিশক্তিহীনতা বা অন্ধত্বের মূল কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, চক্ষুদানের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া যায়। কর্নিয়ার কারণে অন্ধ যারা তাদের দৃষ্টিশক্তি তখনই ফিরিয়ে আনা সম্ভব যখন একজন চক্ষুদাতার সুস্থ ও সবল চক্ষু কোনও এক ব্যক্তির ক্ষতিগ্রস্ত কর্নিয়াতে প্রতিস্থাপিত হবে।
মরণোত্তর চক্ষুদান করলে একজনের চোখ দিয়ে অন্যজন পৃথিবীর আলো দেখতে পারে। ফলে মোচন হয় অন্ধত্বের। যে কেউ ইচ্ছা করলে মরণোত্তর চক্ষুদান করতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম আছে -
ক) যাদের এডস, ভাইরাল হেপাটাইটিস, সেপাটসেমিয়া, রেবিস, সিফিলিস ইত্যাদি রোগ থাকে, তারা চক্ষুদান করতে পারে না।
খ) মরণোত্তর চক্ষুদানকারীর মৃত্যুর ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে চক্ষু সংগ্রহ করতে হয়।
গ) যারা মরণোত্তর চক্ষুদান করে তাদের পরিবারকে চক্ষুদান সমিতি নানান সুবিধা প্রদান করে থাকে। সেই পরিবারের কারোর পরে চক্ষু লাগলে সেক্ষেত্রে তারা যথাসম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করে।
জাতীয় চক্ষুদান উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও ট্যুইটের মাধ্যমে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। এই মহৎ কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন , যে তিনি ১৫ বছর আগে চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছেন।
জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ শুরু হচ্ছে আজ। চক্ষুদান এক মহৎ কাজ আর এই কাজে সবসময় উৎসাহ দেয় রাজ্য সরকার। দেশের কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে বাংলা একটি রাজ্য যেখানে দ্রুত অঙ্গ পরিবহনের জন্য গ্রীন করিডর তৈরির কাজ সফল হয়েছে। আমি ১৫ বছর আগে চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছি।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 25, 2019