Just In
- 1 hr ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 19 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
কোভিড-১৯ : লকডাউন ওঠার পর সুরক্ষিত থাকতে ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি
দিন কাটছে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। ক্রমশ মৃত্যুভয় গ্রাস করছে মানুষের মনে। মারণ করোনা ভাইরাস যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না বিশ্ব দরবার থেকে। ভারতবর্ষেও বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। মানুষ ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে গেছে বাড়ির মধ্যে। কিন্তু এভাবে কতদিন? কবে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে জনজীবন? কবে মানুষ গৃহবন্দী থেকে মুক্ত হবে? এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা। তবুও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ভাঙতে হবে করোনার চেন-কে।
সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে লকডাউন এর মেয়াদও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রায় একমাসেরও বেশি দিন ধরে গৃহবন্দী সকল মানুষ। অনেকেই ভাবছেন লকডাউন কবে শেষ হবে, তাহলে হাঁফ ছেড়ে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন তারা। আবার অনেকেই লকডাউন শেষ হলেই কী করবেন তা ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন। লকডাউন ওঠামাত্রই কার বাড়িতে লাঞ্চ করতে যাবেন, কার বাড়িতে ডিনার, কোন বন্ধুদের সঙ্গে কবে দেখা করবেন, শপিং কবে যাবেন, পার্লারে কবে যাবেন, হাতে হাত রেখে পার্ক বা ময়দানে যাবার স্বপ্ন অনেকেই দেখছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, লকডাউন শেষ হওয়ার অর্থ এই নয় যে সবকিছু ঠিক ও স্বাভাবিক হয়ে গেছে। যদি ভেবে থাকেন তাহলে বড় ভুল করছেন। হয়তো নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। লকডাউন উঠে গেলেও নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য যতদিন পর্যন্ত এর প্রতিষেধক আবিষ্কার না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কয়েকটি বিষয়ের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। দেখে নিন সেই বিষয়গুলি -
১) সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রাখুন
লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বা সামাজিক দূরত্ব সকলকেই মেনে চলতে হবে। হাট-বাজার থেকে শুরু করে সমস্ত জনবহুল এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে আমাদের। এটি না মানলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন আপনিও।
২) পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকুন
লকডাউন উঠে যাবার পরে নিজের বাড়ির অনুষ্ঠান বন্ধ রাখুন। পাশাপাশি অন্যের বাড়ির অনুষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করুন। বিয়ে, জন্মদিন, মুখে ভাত, পৈতে, এই সকল ঘরোয়া অনুষ্ঠান একেবারেই করবেন না। পরিবারকে সুস্থ রাখতে এটি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন।
৩) ক্লাব এবং বার এড়িয়ে চলুন
যারা নাইট ক্লাব বা পার্টি ছাড়া থাকতে পারেন না তাদের হয়তো এই সময়টা খুবই কষ্ট হচ্ছে। যদি পরিকল্পনা করে থাকেন লকডাউন খোলা মাত্রই হানা দেবেন নাইট ক্লাবে, তবে নিজের বিপদ আপনি নিজেই ডাকবেন। সুস্থ থাকতে চাইলে ভুলেও পা রাখবেন না ক্লাব বা বার গুলোতে। কারণ, লকডাউন ওঠা মনে ভাববেন না যে ভাইরাস নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
৪) হাত ধোওয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন
এখন যে অভ্যেসে আপনি অভ্যস্ত, সেই হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাসটি লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেও চালিয়ে যাবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন মেনে চলতে হবে সবাইকে।
কোভিড-১৯ : করোনা থেকে বাঁচতে হাত ধোওয়ার পাশাপাশি সঠিকভাবে হাত শুকানোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
৫) মাস্ক ব্যবহার ত্যাগ করবেন না
উঠে যাক লকডাউন, নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির বাইরে পা দিলেই অবশ্যই পরুন মাস্ক। জনবহুল এলাকায় মাস্ক ছাড়া যাবেন না। আপনি যদি সর্দি বা কাশি-তে ভোগেন তবে মাস্ক পরে থাকুন। বাড়ির অসুস্থ রোগীর কাছে গেলে মাস্ক পরে যাবেন। হাঁচি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করুন।
৬) বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না
শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। তাই লকডাউন ওঠামাত্রই পরিবারকে নিয়ে বাইরে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করবেন না। নিজেকে সুস্থ রাখতে বাইরে বেরোনোর থেকে বাড়ির লোকের সঙ্গে বাড়িতেই নতুন কিছু পরিকল্পনার মাধ্যমে ছুটি কাটান।
৭) পার্ক ও সিনেমা হল এড়িয়ে চলুন
লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে বাচ্চাকে নিয়ে পার্কে যাবেন না। পাশাপাশি কয়েক মাস সিনেমা হল যাওয়াও এড়িয়ে চলুন। কারণ কার শরীরে করোনা ভাইরাস সক্রিয় রয়েছে তা আপনি জানতে পারবেন না, যার থেকে সংক্রামিত হতে পারেন আপনিও। তাই কয়েক মাস এই সমস্ত জায়গা থেকে দূরে থাকাই ভালো।
লকডাউন উঠে যাবার পরেও ICMR এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই সুস্থ থাকতে, পরিবারকে সুস্থ রাখতে এবং করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে সতর্ক হই আমরা সকলে। দূরে থাকি এই সমস্ত জিনিস থেকে।