Just In
- 1 hr ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 2 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 19 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 20 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
ওয়াই-ফাই প্রতিনিয়ত মেরে ফেলছে আমাদের!
ওয়াই-ফাই প্রতিনিয়ত মেরে ফেলছে আমাদের!
আজ আমরা ইন্টারনেটের যুগে বাস করছি, যেখানে তার থাবা থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই। তাই তো নেট জলকে কেন্দ্র প্রতিনিয়ত আবিষ্কৃত হচ্ছে নানা প্রযুক্তি। যার অন্য়তম হল ওয়াই-ফাই। একসঙ্গে অনেকে ইন্টারনেটের জগতে ঢুকে যেতে পারবেন, শুধু তাই নয় একটা নিদির্ষ্ট এলাকাজুড়ে নিমেষেই ছড়িয়ে পরবে নেট। ওয়াই-ফাই-এর তো এটাই কাজ। তাই বলতেই হয় এই প্রযুক্তির সুফল অনেক। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে ওয়াই-ফাই-এর রেডিয়েশন থেকে হতে পারে নানা জটিল রোগ?
কিছু নিয়ম মেনে তবেই ওয়াই-ফাই রাউটার বানানোর কথা। কিন্তু সেসবে থোরাই কেয়ার করে রাউটার প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি। তাই তো তার খারাপ প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের উপর। ওয়াই-ফাই সিগনাল নানা ভাবে আমাদের শরীরকে কারাপ করে দেয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রাউটারের কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিক ক্ষতি তো হয়ই, সেই সঙ্গে বাচ্চা এবং চাড়া গাছেদের বৃদ্ধিও অনেকাংশে ব্য়হত হয়।
কী কী ভাবে ওয়াই-ফাই আমাদের ক্ষতি করছে? কী কী ভাবেই বা এর থেকে বাঁচা সম্ভব? এইসব নিয়েই আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে।
১. একাগ্রতা কমে যায়:
ওয়াই-ফাই-এর রেডিয়েশনের প্রভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে কমতে শুরু করে একাগ্রতা এবং মনে রাখার ক্ষমতা। তাই সাবধান!
২. সেলের বৃদ্ধি আটকে যায়:
গাছ এবং মানুষ, উভয়ই এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক গবেষণা অনুসারে ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনের আওতায় থাকা গাছেরা বড় হয় না। একই ঘটনা ঘটে আমাদের ক্ষেত্রেও। আমরা যারা প্রতিনিয়ত ওয়াই-ফাই-এর আওতায় থাকি তাদের শরীরে সেলেদের বংশবৃদ্ধি আটকে যায়। ফলে নানা প্রভাব পরে শরীরের উপর।
৩. ক্লান্তি:
ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনের সবথেকে ক্ষতিকর দিক হল, যারা এর রেডিয়েশনের মধ্য়ে থাকে তারা সব সময় ক্লান্তি বোধ করতে থাকেন, সেই সঙ্গে কমতে শুরু করে এনার্জি। ফলে ব্য়হত হতে হয় তাদের দৈনন্দিন জীবন। তাই ঠিক করুন, ওয়াই-ফাই না সুস্থ জীবন, কোনটা বেছে নেবেন?
৪. হার্টের উপর চাপ পড়ে:
প্রতিনিয়ত ইলেকট্রোম্য়াগনেটিক ওয়েভের মধ্য়ে থাকার কারণে হার্ট রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৫. ইনসমনিয়া:
বহু সময় ধরে যদি কেউ মাত্রাতিরিক্ত ইলকট্রোম্য়াগনেটিক রেডিয়েশনের মধ্য়ে থাকেন তাহলে তার ব্রেন ওয়েভ প্য়াটার্নে পরিবর্তন আসে, যা আমাদের ঘুম আসার প্রক্রিয়াকে ব্য়হত করে। আর এমনটা দীর্ঘ দিন ধরে হতে থাকলে ইনসমিনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
এখন প্রশ্ন কী উপায়ে ওয়াই-ফাই-এর এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
ক. ওয়াই-ফাই বন্ধ করে দিন:
রাতে শুতে যাওয়ার আগে মনে করে রাউটার বন্ধ করে দেবেন। এমনটা করলে রেডিয়েশনের প্রভাব রাতের বেলাটায় অন্তত আপনার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।
খ. কোথায় রাখবেন রাউটার?
যে ঘরটায় আপনি সবথেকে কম সময় কাটান সেখানে রাউটারটা রাখুন। রান্না ঘর বা বেড রুমে তো একেবারেই নয়।
গ. কেবিল:
ওয়াই ফাই-এর সাহয্য়ে ফোনে অথবা ল্য়াপটপে নেট করার সময় পারলে কেবিল ব্য়বহার করুন। এতে ইলেকট্রোম্য়াগনেটিক ওয়েভের প্রভাব কিছুটা হলেও কমে।
ঘ. বাচ্চাদের সামনে রাউটার রাখবেন না:
বাড়িতে বাচ্চারা যখন থাকবে তখন রাউটার বন্ধ করে রাখাই ভালো। কারণ ভুলে যাবেন না রেডিয়েশনের প্রভাব বাচ্চাদের উপরেই কিন্তু বেশি পড়ে। তাই এইটুকু সাবধানতা না নিলে কিন্তু বিপদ!