Just In
অ্যালার্জিতে ভোগেন যারা তারা ঘর পরিষ্কার করবেন কীভাবে?
ধুলো থেকে যাদের অ্যালার্জি হয়, তাদের তো ঘর পরিষ্কারের সময় খুব কষ্ট হয়। এমন রোগীদের জন্য় থাকলো কিছু টিপস।
অ্যালার্জি নানা কারণে হতে পারে। কারও যেমন খাবার থেকে হয়, আবার কেউ কেউ ধুলো-বালির কারণে এই রোগে আক্রান্ত হন। তাই তো এমন রোগীদের ঘর পরিষ্কারের সময় একটু বেশি করে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, না হলে ধুলো নাকে গিয়ে সমস্য়া বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এই প্রবন্ধে এমন কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের জানানো হল, যা অনুসরণ করলে ঘর ঝাঁট দেওয়ার সময় অ্যালার্জি আপনাকে আর কাবু করতে পারবে না।
কারও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন একটু বেশিই অ্যাকটিভ হয়ে যায়, তখনই ধুলোর মতো ক্ষতিকারক নয়, এমন উপাদান থেকেও কষ্ট হতে শুরু করে। এই সময় হাঁচি, নাক থেকে জল পড়া, কাশি এবং চোখ চুলকানোর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এমন কিছু ওষুধ আছে যা সাধারণ অ্যালার্জির সমস্যায় দারুন কাজে আসে। কেউ কেউ নানা ধরনের অলটারনেটিভ মেডিসিনও নিয়ে থাকেন এই রোগের প্রকোপ কমাতে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো, যে সব খাবারে ওমেগা ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড আছে, সেই সব খাবার অ্যালার্জি কমাতে দারুন কাজে আসে। কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবারও অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে দেয়।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব পদ্ধতি সম্পর্কে, যা ঘর পরিষ্কারের সময় অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
সব সময় জুতো ঘরের বাইরে রাখবেন। কারণটা খুব সহজ। জুতোতে প্রচুর পরিমাণ ধুলো থাকে। তাই আমরা যদি জুতো পরে ঘরে ঢুকি তাহলে সেই ধুলো আমাদের নাকে গিয়ে সমস্য়া বাড়াতে পারে। তাই জুতো যদি থাকে ঘরের বাইরে, তাহলে অ্যালার্জিও থাকবে আপনার থেকে দূরে।
২-৩ সপ্তাহ পর পর ঘরের এয়ার ফিল্টারগুলি পরিবর্তন করতে ভুলবেন না। এখন তো বাজারে এমন এয়ার ফিল্টার এসে গেছে যা অ্যালার্জির উদ্রেক ঘটায় এমন অ্যালার্জেনকে আটকে দেয়। তাই প্রয়োজনে এই ধরনের আধুনিক এয়ার ফিল্টারের ব্য়বহার শুরু করতে পারেন।
জানলা এবং পর্দা সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। এমনটা করলে ধুলো জমার সুযোগ পাবে না, ফলে ঘর থাকবে অ্যালার্জি ফ্রি।
কারপেট হল এমন একটা জিনিস তাতে প্রতিদিন প্রচুর মাত্রায় ধুলো জমে। তাই এটি পরিষ্কার রাখতে ভুলবেন না। প্রয়োজনে ভ্য়াকুম ক্লিনার ব্য়বহার করে প্রতিদিন কারপেট পরিষ্কার রাখবেন।
এইসব নিয়মগুলি মেনে চললে দেখবেন অ্যালার্জি আর আপনাকে আক্রমণ করতে পারছে না।