Just In
- 40 min ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 53 min ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 18 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 19 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
Don't Miss
উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতেই করুন কোভিড টেস্ট, জানুন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পদ্ধতি
গোটা দেশ জুড়ে প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে চাহিদা বাড়ছে কোভিড টেস্ট করার। উপসর্গ লক্ষ্য করা মাত্রই অবিলম্বে টেস্ট করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলির উপর বাড়ছে চাপ, অনেকের ক্ষেত্রে রিপোর্ট পেতেও দেরি হচ্ছে। তাই এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) বাড়িতেই র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে।
কোভিড টেস্ট মূলত তিন রকম পদ্ধতিতে করা হয়। আরটি পিসিআর, র্যাপিড অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি টেস্ট। দোকান থেকে কিট কিনে এনে খুব সহজে বাড়িতেই করা যেতে পারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। কিন্তু বাড়িতে কীভাবে কোভিড টেস্টিং কিট ব্যবহার করতে হয়, তা অনেকেই জানেন না। তাহলে দেখে নিন বাড়িতে কোভিড টেস্ট করার পদ্ধতি -
কীভাবে বাড়িতে কোভিড টেস্টিং কিট ব্যবহার করবেন?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলির চাপ কমাতে, উপসর্গযুক্ত ব্যক্তি এবং যারা কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের হোম টেস্টিং কিট-এর মাধ্যমে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরামর্শ দিয়েছে।
১) একটি পরিষ্কার, স্যানিটাইজ করা জায়গায় টেস্ট কিটটি রাখুন।
২) টেস্ট করার আগে, হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন।
৩) টেস্টিং কিটে উল্লিখিত অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য দিন।
৪) এবার কোভিড টেস্টিং পাউচটি ছিঁড়ে একে একে বার করুন যাবতীয় সামগ্রী। সবগুলো পরিষ্কার স্থানে রাখুন। কোভিড টেস্টিং পাউচটি খোলার পরে ৩০ মিনিটের মধ্যে টেস্ট সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন।
৫) pre-filled extraction tube-টি এক হাতে নিয়ে অল্প করে দু-একটি টোকা দিয়ে অভ্যন্তরীণ তরল ঝাঁকিয়ে নিন। আলতো চাপে খুলে নিন ঢাকনা।
৬) ক্যাপটি খুলে ফেলুন এবং টিউবটি হাতে ধরে রাখুন।
৭) টিউবটি এক হাতে ধরে রাখার সময়, sterile nasal safe swab-টি খুলুন এবং সোয়াবের প্রান্ত একেবারেই স্পর্শ করবেন না।
৮) এবার ধীরে ধীরে swab-টি নাকের ভিতরে ঢোকান। দুই থেকে চার সেন্টিমিটার নাকের ভিতরে প্রবেশ করান।
৯) ধীরে ধীরে কাঠিটিকে অন্তত পাঁচ বার ঘুরিয়ে নিন, যাতে নাকের ভিতরের তরলে ভালো করে ভিজে যায় নমুনা সংগ্রহের অংশটি। এই ভাবে দু'টি নাকেই একই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
১০) এবার pre-filled extraction tube-এ সোয়াবটি ঢুকিয়ে দিন।
১১) কাঠিটির অতিরিক্ত অংশ ভেঙে এবং ক্যাপ দিয়ে টিউবটি আটকে নিন।
১২) তারপর কয়েকটি টোকা দিয়ে টিউবে চাপ দিয়ে দুই ফোঁটা তরল টেস্ট কার্ডের নির্দিষ্ট ছিদ্রে ফেলুন।
১৩) ফলাফলের জন্য ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর দেখুন কার্ডে কয়টি দাগ দেখা যাচ্ছে। তবে ২০ মিনিটের পরে প্রদর্শিত হওয়া ফল অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
১৪) কার্ডে যদি শুধু সি (C) দাগটি দেখা যায়, তা হলে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হবে। তবে কার্ডে যদি সি (C) এবং টি (T) উভয় দাগই দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত।
কোন কোন দিকে নজর রাখতে হবে?
হোম টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করার সময় কয়েকটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা খুব জরুরি।
১) যে সকল ব্যক্তি আগে কখনও বাড়িতে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করেননি, তারা অবশ্যই টেস্টিং পাউচের নির্দেশাবলী পড়ে নিন। তারপর ওই টেস্টিং পাউচের নির্দেশাবলী অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
২) সোয়াবটি পর্যাপ্ত সময়ের জন্য বসতে দিন। কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না।
৩) টেস্ট করার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া কিংবা স্যানিটাইজ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে স্থানটিতে কিটটি রাখা হবে, সেই স্থানটিও যেন ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়। পরীক্ষার পর যাবতীয় সামগ্রী নির্দিষ্ট থলেতে ভরাই বাঞ্চনীয়।
এই মৌলিক স্বাস্থ্যবিধিগুলি যদি ঠিক করে মেনে না চলা হয়, তাহলে পরীক্ষার ফলাফল সঠিক নাও হতে পারে।
তাছাড়া, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে কোভিড পজিটিভ আসা মানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিশ্চিতরূপে করোনায় আক্রান্ত। তবে অ্যান্টিজেন টেস্টে কোভিড নেগেটিভ আসা মানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত নন এমনটা নিশ্চিত হয়ে বলা চলে না। তাই উপসর্গ থাকলে আরটি পিসিআর টেস্ট করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং আরটি পিসিআর-এর মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর?
আরটি পিসিআর-এর তুলনায় অ্যান্টিজেন টেস্ট কিছুটা হলেও পিছিয়ে। বাড়িতে থেকেই অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বেশ সুবিধাজনক মনে হতে পারে, কিন্তু পিসিআর পরীক্ষার তুলনায় অ্যান্টিজেন টেস্টের রেজাল্ট ফলস পজিটিভ বা নেগেটিভ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অর্থাৎ হোম টেস্টিং কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা করলে, রিপোর্ট অনেক সময় ভুলও আসতে পারে। এর প্রাথমিক কারণটি হল, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কেবলমাত্র চিহ্নিত করা হয় ভাইরাসের দেহের প্রোটিন, সম্পূর্ণ ভাইরাস নয়।
অ্যান্টিজেন টেস্ট ভাইরাসের স্ট্রেনে প্রোটিনকে সনাক্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আক্রান্ত কিনা, তা জানান দেয়। অপরদিকে, আরটি পিসিআর টেস্ট, RNA অর্থাৎ ভাইরাসের জেনেটিক উপাদানকে সনাক্ত করে। ফলে আরটি পিসিআর টেস্ট থেকে সঠিক ফলাফল মিলতে পারে। তাই কোনওরকমের ভুল এড়াতে RT PCR টেস্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।