Just In
শরীরে ওজন কমাতে ঘুমের প্রভাব
আপনি কি ভাবছেন ঘুম কি করে শরীরে ওজন কমাতে সহায়ক?ঘুমের পরিমাণ আপনার হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। যখন পরিমাণ ঘুমের ধরণ নিয়মানুসার হয়না,আপনার হরমোনাল কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হয়।ভারসাম্যহীনতার জন্য আপনার শরীরে বিপাক প্রণালীকে এবং আপনার ক্ষুধাকেও প্রভাবিত করে।
ঘুম বণ্চিত শরীর ক্ষুধার্ত - বেশী খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। শরীরের পক্ষে প্রয়োজনের বেশি ক্যালোরির ব্যাবহার করে ওঠা মুস্কিল হয়ে পড়ে।.
ঘুমের অভাবে শরীরের স্বাভাবিক গ্লুকোস পাচন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এবং সেই অতিরিক্ত গ্লুকোস তখন মেদে রুপান্তরিত হয়ে জমতে থাকে। এছাড়া কর্টিশল নামক স্ট্রেস্ জনিত হরমোনের উৎপত্তিও বৃদ্ধি পায়, যা আপনার ক্ষধার সন্চার করে।
আপনি যখন অতিমাত্রায় পরিশ্রান্ত বা মানসিক চাপে (স্ট্রে্সড) অকারণ অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার মাত্রাও তখন বৃদ্ধি পায়। ঘুম ও খাওয়া-দুটোই যখন স্বাভাবিক থাকে তখন শরীরে কর্মক্ষমতাও অনেক বেশী থাকে। তাহলেই বোঝা যায় ঘুমের সাথে শরীরের ওজনের সম্পর্ক আছে।
ওজন নিয়ণ্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টায় বহুবিধ কারণ জড়িত। বেশ কিছু কারণ যেমন বংশগত প্রাপ্তি, বাকি সব পরিবেশজনিত ও জীবনধারার সাথে সম্পর্ক রাখে।তা সত্ত্বেও ঘুম এমন এক জিনিস যা শরীরের ওজন কম বা বেশী করতে অনেকাংশ সহায়ক। তাই তাকে অবহেলা করা উচিত না।
প্রথম হওয়ার সুবিধে
রাতে ঠিক ঘুমোলে আপনি নিশ্চয়ই খুচর স্ন্যাকস খাবেন না।এই পদ্ধতিতে আপনার ক্যালরি গ্রহণ মাত্রা কমাবে।আমদের মাঝরাতে বেশী খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় বিষণ্নতা বা অনিদ্রার কারণে।
চর্বি জমাট বাধা
যতই কম পরিমাণে খান, আপনার শরীর যদি ঘুম বন্চিত থাকে, মেদ কমানোর পদ্ধতি অনেক সক্ষম রুপে কাজ করে না। আপনার শরীর যদি "ক্ষুধার্ত থাকে",তখন সব খাবার বেশীর ভাগ অংশই মেদে পরিণত হয়ে জমতে থাকে।এই অবস্হ্যা তখনই হবে যখন আপনি কম খাবেন এবং কম ঘুমোচ্ছেন।
গবেষণা কি বলে...
যদি ঘুমের মেয়াদ নিয়ে ভাবতে হয়, তাহলে গবেষণায় দেখা গেছে ৬ ঘন্টার কম বা ৮ ঘন্টার বেশী - দুটোই সময়ের সাথে প্রভাব ফেলে মানুষের ওজনের ওপর।
ঘুমের নিয়মানুবর্তিতা
গবেষণায় দেখা গেছে রোজ এক সময় ঘুমোনো এবং উঠলে নিয়মিত রুপে, ওজন নিয়ণ্ত্রণে রাখার অনায়াস সহায়ক।.
পাচন প্রণালীতে প্রভাব
যখন আপনার শরীর সুস্হ্য খাকে, তখন আপনার শরীর ক্যালোরি পোড়াতে বা পাচন ক্ষমতা অনেক কার্যকরী হয়। এতে অবশ্যই কমে।
ঘুমের গুণমান
যদি আপনার ঘুমের গুণমান সঠিক হয, তাহলে আপনার পক্ষে দেহের ওজন অনায়াসেই নিয়ণ্ত্রণে রাখা সম্ভব। অন্যদিকে খারাপ ঘুম আপনার মেদ নিয়ণ্ত্রণ কঠিন করে দেয়।
ক্ষিদে নিয়ণ্ত্রণ
আপনার ঘুমের সময়সূচি যদি স্বাস্হ্যকর থাকে, তাহলে আপনার ক্ষুধাও থাকবে স্বাভাবিক।পার্শ্বক্রিয়া হয় খুব কম খাওয়া বা অত্যাধিক খাওয়া দাওয়া। রোজ রাতে নিয়মিত ৮-ঘন্টার ঘুম খুবই আবশ্যক। এছাড়াও ঘুমের গুণমানও একটি অন্যতম উপাদান।