Just In
শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন? এই ৭টি ঘরোয়া উপায়েই মিলবে স্বস্তি!
শ্বাসকষ্ট, যেকোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রেই খুবই অস্বস্তির। শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন কারণ হতে পারে, যেমন - সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, হৃদরোগের কারণে, পেটের সমস্যা, গ্যাস ও হজমের সমস্যা, অ্যালার্জি, হাঁপানি, রক্তাল্পতা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং টেনশনেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে বেশিরভাগ শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী ফুসফুসের সমস্যা।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা অস্থায়ী হতে পারে বা কিছু গুরুতর অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কারণেও হতে পারে। মাঝেমধ্যে হালকা শ্বাসকষ্ট হলে তা খুব সহজেই বাড়িতে ম্যানেজ করা যায়। কিন্তু আপনার যদি প্রায়শই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই আর্টিকেলে কিছু ঘরোয়া টিপস দেওয়া হল, যেগুলি ফলো করে আপনি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১) সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন
সামনের দিকে ঝুঁকে বসলে শরীর রিলাক্স হয় এবং সহজেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সুবিধা হতে পারে। এইভাবে ঝুঁকে বসলে ফুসফুস এবং হার্টের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। যদি কখনও শ্বাসকষ্ট হয়, তবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। চেয়ারে বসে, সামনের দিকে একটু ঝুঁকুন এবং পা মেঝের সমতলে রাখুন। তারপর আপনার ঘাড় ও কাঁধের পেশিগুলি রিল্যাক্স রাখুন।
২) গভীর শ্বাস নিন
পেটের পেশী ব্যবহার করে গভীর শ্বাস নিন, এই পদ্ধতিটি আপনাকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। একটি সমতল জায়গায় শুয়ে পেটের উপরে হাত রাখুন, তারপর নাক দিয়ে গভীর শ্বাস নিন। কিছুক্ষণ এই ভাবে শ্বাস ধরে রেখে, তারপর শ্বাস ছাড়ুন।
৩) পার্সড লিপ ব্রিদিং
এটি সবচেয়ে সাধারণ ব্রিদিং এক্সারসাইজ। বিশেষ করে, উদ্বেগের কারণে যখন শ্বাসকষ্ট হয়, তখন এই পদ্ধতিটি বেশি কার্যকর। প্রথমে ঘাড় ও কাঁধের পেশিগুলি রিল্যাক্স করুন। তারপর ধীরে ধীরে নাকের মাধ্যমে শ্বাস গ্রহণ করুন এবং শ্বাস ধরে রেখে ২ পর্যন্ত গুনুন। এই সময় মুখ বন্ধ রাখুন। তারপর ঠোঁট হালকা খুলে একটু কুঁচকে, শিস দেওয়ার মতন করে আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন। শ্বাস ছাড়ার সময় ৪ পর্যন্ত গুনুন।
৪) স্টিম ইনহেল করুন
অনেক ক্ষেত্রেই শ্বাসনালীতে ঘন শ্লেষ্মা জমে, শ্বাসকার্যে বাধা সৃষ্টি করে। স্টিম ইনহেলেশন বা গরম ভাপ নিলে, ঘন শ্লেষ্মা তরল হয় এবং শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি মেলে।
৫) ব্ল্যাক কফি
ব্ল্যাক কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন, শ্বাসকষ্ট হ্রাস করতে বিশেষ উপযোগী। ক্যাফিন শ্বাসনালীর পেশীগুলিকে রিল্যাক্স করতে সক্ষম। গবেষণা অনুযায়ী, হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সমস্যার উন্নতি ঘটাতে, ক্যাফিন বিশেষভাবে সহায়তা করে।
৬) আদা
আদাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ বর্তমান, যা ফুসফুসের প্রদাহ হ্রাস করতে বিশেষ সহায়ক। উষ্ণ আদা চা অথবা জল আপনাকে শান্ত করতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করতে পারে।
৭) হলুদ
হলুদে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ বর্তমান, যা শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। শ্বাসকষ্টজনিত কোনও অসুস্থতায় হলুদ দিয়ে দুধ পান করার প্রবণতা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। হলুদে কারকিউমিন থাকে, যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া এবং হিস্টামিন নিঃসরণ বন্ধ করতে বিশেষভাবে সহায়ক। হলুদের এই সমস্ত কোয়ালিটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।