Just In
- 10 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 11 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 13 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 17 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
বিশ্ব মশা দিবস : মশার হাত থেকে বাঁচতে রইল কিছু প্রতিকার
মশাবাহিত রোগের মধ্যে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এখন কমন রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়শই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে মশাবাহিত রোগের কারণে। মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী যে প্রাণীগুলো, তার মধ্যে মশা অন্যতম। সারা বছরই মশাদের কারণে প্রচুর মানুষ মারা যায়। আর বর্ষাকালে মশাবাহিত রোগ সবচেয়ে বেশি হয়। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ছাড়াও চিকুনগুনিয়া, জাপানিজ এনকেফেলাইটিস, ফাইলেরিয়া, জিকা ভাইরাস ও হলুদ জ্বরের মত সব মারাত্মক রোগ হতে পারে মশার কামড়ে। গত কয়েক বছর ধরে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে মানুষের মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনেক দিবস আছে যার নাম আমরা জানিনা। তেমনই স্বল্প জানা একটি দিবস হচ্ছে 'বিশ্ব মশা দিবস'।খুব কম মানুষই জানে এই দিনের কথা। আজ ২০ আগস্ট, 'বিশ্ব মশা দিবস'। ১৯৩০ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৮৯৭ সালে ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেন ব্রিটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রস। এইজন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কারও পান। তাঁর সম্মানে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এই দিবসটি পালন শুরু করে।
গবেষকদের মতে, প্রতিবছর প্রায় সাড়ে আট লাখ মানুষ মশাবাহিত রোগে মারা যায়। সেই কারণে সারা বিশ্বে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই দিবস পালনের হার বাড়ছে।
মশার উৎপাত নেই এমন এলাকা বিশ্বে নেই বললেই চলে। রাস্তাঘাটে নোংরা, জমা জল, খোলা নর্দমা ইত্যাদি মশার আঁতুরঘর। আর তাই সন্ধ্যা নামতে না নামতেই মশার উৎপাতে বাড়িতে টেকা দায় হয়ে পড়ে। হাজারো বাজার চলতি ধূপ, তেল ইত্যাদি জ্বালিয়ে জানালা বন্ধ করে রেখে দিলে দমবন্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আবার জানালা খুললেই মশকবাহিনীর আক্রমণে বাঁচা দায় হয়ে যায়। ফলে শীতকাল হোক বা প্যাঁচপ্যাচে গরমকাল মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচা বেশ দূরহ।
কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে মশার হাত থেকে বাঁচা যেতে পারে। অবশ্যই বাড়িতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এর ফলে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হবে না, এবং মশার কামড়ের হাত থেকেও বাঁচবেন।
ল্যাভেন্ডার অয়েল: একইভাবে ল্যাভেন্ডার অয়েলের ব্যবহার মশার হাত থেকে ঘরকে মুক্ত ও এবং সুগন্ধিত রাখবে।
রসুন : রসুন ফুটিয়ে সেই জল সারা ঘরে স্প্রে করে দিন। জানালায়, ঘরের কোনায় ছিটিয়ে দিন।
তুলসী গাছ : মশা তাড়াতে তুলসী বিশেষ কার্যকরী। ঘরের জানালার বাইরে তুলসীর গাছ লাগান। এতে মশা ঘরে ঢুকতে পারবে না।
কর্পূর : সন্ধ্যার আগে এক টুকরো কর্পূর জ্বালিয়ে ঘর বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ রেখে জানালা খুলে দিন। মশা ঘরে ঢুকবে না।
টি ট্রি অয়েল : ঘরের চারিদিকে স্প্রে করে দিন টি ট্রি অয়েল। এতে ঘরের মশার উৎপাত কমবে।
নিম তেল : সন্ধ্যার আগে নিম তেল হাতে-পায়ে মেখে নিন। এতে মশা শরীরে ধারেকাছে ঘেঁষবে না।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা : বাড়ির বাইরের জায়গা হোক অথবা ঘরের ভিতরের কোনও অংশ, অপরিষ্কার থাকলেই সেখানে মশা বংশবৃদ্ধি করবে। ফলে সতর্ক থাকবেন। বাড়ির বাইরে বা ছাদে কোথাও জমা জল থাকলে ফেলে দিন। চারিদিক পরিষ্কার রাখুন ও সুস্থ থাকুন।
অ্যালোভেরা : ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল মশার কামড় থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এটি চুলকানি কমাতে সাহায্য করে ও ফোলাভাবও কমায়। অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি জ্বালা থেকে তাত্ক্ষণিক মুক্তি দেয়।
লেবু : ইনফেকশন ও চুলকানি থেকে মুক্তি দেয় লেবু।