Just In
টাইপ-২ ডায়াবেটিস সম্পর্কে অজানা কিছু কথা
এই প্রবন্ধটি পড়লে আগামী দিনে হয়তো একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারবেন।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস সম্পর্কে অজানা কিছু কথা
এখন তো ঘরে ঘরে একজন করে ডায়াবেটিস রোগী। আর এই পরিস্থিতিটা যে আগামী দিনে আরও ভয়ানক হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে আমাদের শরীরের গঠন এমনই যে কিছু রোগ জন্ম থেকেই পেছনে ধাওয়া করে চলে। তাই তো সারা জীবন একটু সাবধানে বাঁচতে হয়। একটু বেচাল যেই না হলে ওমনি ঘাপটি মেরে থাকা রোগটা ঘারে চেপে বসবে।
মনুষ্য় জনম পেয়েছি যখন কিছু না কিছু রোগ আমাদের হবেই। তাই বলে কি হাল ছেড়ে দেবেন নাকি? একেবারেই না। চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। জীবনযাত্রা যেন অনিয়ন্ত্রিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই বেশি দিন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে থাকা যাবে। নচেৎ ঘেচাং ফু!
ডায়াবেটিসকে অনেকে ডায়াবেটিস মেলিটাস নামেও ডেকে থাকেন। এটি একটি মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। এই রোগ হলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস মূলত দু ধরনের হয়, টাইপ-১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে পর্যপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না। ফলে রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা হলে বারংবার প্রস্রাব চাপা, ক্ষিদে বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি, ওজন হ্রাস অথবা বৃদ্ধি, ক্ষত শুকতে দেরি হওয়া এবং মাথা যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।
এই প্রবন্ধে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রসঙ্গে কিছু জরুরি তথ্য় পরিবেশন করা হল যা সবার জেনে নেওয়া আবশ্য়িক।
১.
মা
যদি
স্বাভাবিকের
থেকে
বেশি
ওজনের
বাচ্চা
প্রসব
করেন
তাহলে
আগামী
সময়ে
গিয়ে
তার
টাইপ-২
ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত
হওয়ার
আশঙ্কা
বেড়ে
যায়।
এমনটা
হয়
মূলত
হরমোনের
পরিবর্তন
এবং
ওজন
বৃদ্ধির
কারণে।
২.
ঠিক
সময়ে
চিকিৎসা
শুরু
করার
পাশাপাশি
রোগী
যদি
নিয়মিত
শরীরচর্চা
করেন
এবং
ডায়েটের
দিকে
খেয়াল
রাখেন
তাহলে
অনেকাংশেই
টাইপ-২
ডায়াবেটিসকে
নিয়ন্ত্রণে
রাখা
সম্ভব
হয়।
৩. অনেকে মনে করেন জিনগত কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়। এই কথা সম্পূর্ণ সত্য়ি নয়। কারণ একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে বেশিরভাগ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী তাদের জীবনযাত্রার কারণে এই রোগে আক্রান্ত হন। প্রসঙ্গত, খুব কম ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।
৪. ঠিক সময়ে যদি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা শুরু করা না হয় তাহলে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধি এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই যথা সময়ে এই রোগের ট্রিটমেন্ট শুরু করাটা মাস্ট!
৫.
এই
ধরনের
ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত
রোগীরা
অল্পবিস্তর
মিষ্টি
খেতেই
পারেন।
তাতে
শরীরের
কোনও
ক্ষতি
হয়
না।
তবে
এই
বিষয়টি
নিয়ে
বিতর্ক
রয়েছে।
তাই
চিকিৎসকের
পরামর্শ
ছাড়া
মিষ্টির
দিকে
ফিরেও
তাকাবেন
না।
৬.
সম্প্রতি
এক
গবেষণায়
দেখা
গেছে
যেসব
মহিলার
পলিসিসটিক
ওভারিয়ান
সিনড্রম
আছে
তাদের
টাইপ-২
ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত
হওয়ার
আশঙ্কা
বেশি
থাকে।
এমনটা
হয়
মূলত
কিছু
হরমোনের
পরিবর্তনের
কারণে।