Just In
আপনি কি লিঙ্গ শিথিলতায় ভুগছেন? এইসময় যে কথাগুলি বিশ্বাস করা উচিত নয়
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, যাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতা বা লিঙ্গ শিথিলতা বলা হয়। এটি এমন একটি অবস্থা যা ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৮ শতাংশ পুরুষদের এবং ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ১১ শতাংশ পুরুষদেরকে প্রভাবিত করে।
যৌন মিলনের সময় উত্তেজনা বজায় রাখতে অক্ষমতা বা যৌন অক্ষমতা, দুর্বলতাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলা হয়। এককথায় যাকে বলা হয়, যৌন মিলনের ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ উত্থানে ব্যর্থতা। এই দিকটি পুরুষদের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের লক্ষণগুলি হল সেক্স ড্রাইভ হ্রাস, লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা এবং উত্থান বজায় রাখতে অসুবিধা। এর ফলে, নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচুর ভুল ধারণা রয়েছে এবং অনেকেই এ সম্পর্কে অবগত নয়। অনেক মিথ বা প্রচলিত কথা এ নিয়ে শোনা যায় তবে, সেগুলি কতটা সত্য?এই নিয়েই আজকের এই নিবন্ধ।
আরও পড়ুন : এইডস-এর কারণ,লক্ষণ এবং চিকিৎসা
মিথ বা প্রচলিত কথা : ইরেক্টাইল ডিসফাংশন অল্প বয়স্ক পুরুষদের প্রভাবিত করে না
প্রকৃত তথ্য : যদিও ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বেশি দেখা যায় তবে, এটি অল্প বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। ট্রান্সলেশনাল অ্যান্ড্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০-২৯ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের প্রবণতা ৮ শতাংশ এবং ৩০-৩৯ বছর বয়সী পুরুষদের মধ্যে ১১ শতাংশ।
মিথ বা প্রচলিত কথা : কোনও পুরুষ তার সঙ্গীর প্রতি আকৃষ্ট না হলে, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হয়
প্রকৃত তথ্য : উত্থানজনিত কর্মহীনতা স্বাস্থ্যের একটি সিরিয়াস অবস্থার লক্ষণ, যেমন: ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, পারকিনসন ডিজিজ, হরমোনজনিত সমস্যা, ধূমপান এবং মদ খাওয়া, স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং হতাশা ইত্যাদি।
মিথ বা প্রচলিত কথা : ধূমপান এর ফলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হয় না
প্রকৃত তথ্য : যে সমস্ত পুরুষরা বেশি ধূমপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ধূমপান রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে এবং যৌনাঙ্গ সহ শরীরের সমস্ত জায়গার রক্ত চলাচল ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে উত্থানে সমস্যা দেখা দেয়। তবে, ধূমপান ছেড়ে দিলে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি হয়।
মিথ বা প্রচলিত কথা : ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কোনও চিকিৎসা নেই
প্রকৃত তথ্য : ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আছে, যেমন - ইনজেকশন, ওরাল ট্যাবলেট ও আরও অন্যান্য চিকিৎসা।
মিথ বা প্রচলিত কথা : টেস্টোস্টেরন চিকিৎসা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নিরাময় করে
প্রকৃত তথ্য : অনেকেই মনে করেন, টেস্টোস্টেরন চিকিৎসা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন নিরাময়ে সহায়তা করে। কিন্তু, বাস্তবে তা হয় না। টেস্টোস্টেরন একটি পুরুষ সেক্স হরমোন। ৫০ বছর বয়সের পর টেস্টোস্টেরনের স্তর হ্রাস পায় এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশন পুরুষদের মধ্যে একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে ওঠে।
মিথ বা প্রচলিত কথা : সাইক্লিং এর ফলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হয়
প্রকৃত তথ্য : সাইক্লিং এর ফলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হয় না। জার্নাল অফ মেনস্ হেলথ্-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায়, পাঁচ হাজারেরও বেশি সাইক্লিস্ট এবং গবেষকরা সাইক্লিং এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের মধ্যে কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাননি।
মিথ বা প্রচলিত কথা : প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসা করতে পারে না
প্রকৃত তথ্য : বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসায় কার্যকর। গবেষণায় দেখা যায় যে, প্রাকৃতিক বিকল্পগুলি ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের লক্ষণগুলি উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে।