Just In
- 1 hr ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 17 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 19 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 21 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, রোগী সামলাতে হিমশিম চিকিৎসকরা
শুধুমাত্র ভারতের দক্ষিণাঞ্চলই নয়, বিভিন্ন জেলা, শহর ও বাংলাদেশেও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রভাব। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, যার ফলে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস প্রজাতির মশা। জমা জলে এই ধরনের মশা বেশি বিস্তার করে।
এবছর বেঙ্গালুরুতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে। বর্ষাকালে ডেঙ্গু বিস্তারকারী মশা সংখ্যায় অনেক বেড়ে যায়। তার ফলে, কিছু এলাকায় ডেঙ্গু মহামারীর আকার ধারণ করেছে। কেউ যদি একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, তাহলে সে যে আবার আক্রান্ত হবে না তার নিশ্চয়তা ডাক্তাররা এখনও দিতে পারেননি। তবে রাজ্য সরকার এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, গতবছরের তুলনায় এবছর বেঙ্গালুরুতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের ঢাকার বাইরে ৫০ টি জেলার মানুষেরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তর সংখ্যা ১৩,৬০০-রও বেশি। ২০০০ সালের পর বাংলাদেশে এই প্রথম এত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সরকারী সূত্র অনুযায়ী,এখনও অবধি ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৮ জন। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রিপোর্ট বিশদে প্রকাশিত হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
দিল্লিতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রবল বলে জানা গেছে। গতবছর দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে (SDMC) ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৭৯৮ জন এবং এতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। চিকিত্সকরা ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্য ফুল হাতা জামা পরার ও মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। ডেঙ্গু ছাড়াও গতবছর ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও ছিল অনেক। SDMC-র মতে, ২০১৭ সালে দিল্লিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গিয়েছিলেন।
ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে ভিয়েতনামে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০৫,০০০ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ১০০ জন।
ভিয়েতনামে যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তাদের বেশিরভাগই বাস করে দক্ষিণাঞ্চলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেখানকার মানুষেরা তাদের ব্যবহারের জন্য পাত্রে বৃষ্টির জল ধরে রাখে, যা মশার প্রজননে এবং ডেঙ্গুর বিস্তারের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।
ডেঙ্গু
কী
?
ডেঙ্গু
একটি
প্রাণঘাতী
সংক্রামক
রোগ,
যা
ডেঙ্গু
ভাইরাসের
কারণে
সংক্রমিত
হয়।
এই
রোগ
মূলত
এডিস
প্রজাতির
মশা
কামড়ালে
হয়।
এরা
সাধারণত
দিনের
বেলা
কামড়ায়।
সামান্য
কামড়েই
একজনের
থেকে
অন্যজনের
শরীরে
এটি
প্রবেশ
করতে
পারে।
জানা
গেছে,
এই
মশার
জন্ম
আফ্রিকায়।
আস্তে
আস্তে
এটি
পৃথিবীর
সমস্ত
গ্রীষ্মকালীন
দেশে
ছড়িয়ে
পড়েছে।
১৯৬০
সালের
পর
থেকে
উল্লেখযোগ্যভাবে
ডেঙ্গু
জ্বরের
প্রকোপ
বাড়তে
শুরু
করেছে।
প্রতিবছর
লাখ
লাখ
মানুষ
এই
রোগে
আক্রান্ত
হয়।
ডেঙ্গু
জ্বরের
লক্ষণ
-
ডেঙ্গুর
মূল
উপসর্গগুলি
হল,
জ্বর,
মাথাব্যাথা,
গায়ে-হাতে
ব্যাথা,
চোখে
ব্যথা,
বমি
ভাব।
অনেক
সময়
এর
কারণে
ত্বকে
র্যাশও
দেখা
যায়।
মেরুদন্ড
ও
কোমরে
ব্যাথাও
এই
রোগের
বিশেষ
লক্ষণ।
কীভাবে
হয়
?
ডেঙ্গু
ভাইরাস
বহনকারী
মশা
কাউকে
কামড়ালে
মশার
লালার
মধ্যে
দিয়ে
ভাইরাস
ত্বকের
ভিতরে
প্রবেশ
করে
এবং
পরে
শ্বেত
রক্তকোষে
প্রবেশ
করে।
যখন
কোষগুলি
সারা
শরীরের
চলাচল
করে
তখন
এই
ভাইরাস
প্রজননকার্য
চালিয়ে
যায়।
প্রবল
সংক্রমণে,
শরীরের
ভিতরে
ভাইরাসের
উৎপাদন
অত্যধিক
বৃদ্ধি
পায়।
এতে
রক্তচাপ
এত
বেশি
কমে
যায়
যে
প্রয়োজনীয়
অঙ্গসমূহে
যথেষ্ট
পরিমাণে
রক্ত
সরবরাহ
হতে
পারে
না।
উপরন্তু
অস্থিমজ্জা
কাজ
না
করায়
অনুচক্রিকা
বা
প্লেটলেটসের
সংখ্যা
কমে
যায়
যা
কার্যকরী
রক্ততঞ্চনের
জন্য
দরকারি;
এতে
শরীরের
ভেতরে
রক্তপাতের
সম্ভাবনা
বেড়ে
যায়
যা
ডেঙ্গু
জ্বরের
অন্যতম
বড়
সমস্যা।
অনুচক্রিকার
সংখ্যা
কমে
গেলে
কোনও
ক্ষতস্থান
থেকে
রক্তপাত
সহজে
বন্ধ
হয়
না।