Just In
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 18 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 23 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Coronavirus : সংক্রমণ হালকা না গুরুতর, বুঝবেন কীভাবে? জেনে নিন
দেশে করোনার পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগও বাড়ছে। সাধারণ সর্দি-জ্বর, পেটের গোলমাল হলেও কি কোভিড টেস্টের প্রয়োজন? কোনটা সাধারণ জ্বর আর কোনটা করোনা? এসব ভেবে নাজেহাল সকলেই। তাই এই সংক্রমণের উপসর্গগুলি সঠিকভাবে সনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। কোনটা হালকা সংক্রমণ এবং কোনটা মাঝারি বা গুরুতর সংক্রমণ, তার লক্ষণগুলি এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলেই সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।
বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রে, প্রথম দিন একই রকম লক্ষণ দেখা দেয়। তাই কখন সংক্রমণ গুরুতর হয়ে উঠছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই বিভ্রান্তিমূলক হতে পারে। মহামারী বাড়ার সাথে সাথে আরও নতুন নতুন উপসর্গ লক্ষ্য করা গেছে, যা হালকাভাবে নেওয়া কখনই উচিত নয়। সংক্রমণের প্রকৃতি হালকা না গুরুতর তা আগে থেকেই সনাক্ত করতে পারলে, সংক্রামিত ব্যক্তি সঠিক যত্ন ও চিকিৎসায় খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে।
হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে কী কী উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৮০ শতাংশ কোভিড কেসই হালকা প্রকৃতির। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই কোভিডের হালকা লক্ষণ আছে। তারা হোম আইসোলেশনের মাধ্যমে, বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করেই, সেরে উঠছে।
হালকা সংক্রমণের উপসর্গ
শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, সর্দি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
হালকা জ্বর
অত্যন্ত ক্লান্তি
গন্ধ ও স্বাদ চলে যাওয়া
শরীরে ব্যথা হওয়া ও মাথা যন্ত্রণা করা
ডায়রিয়া, বমি ভাব বা বমি
এছাড়াও, হালকা বা মাঝারি সংক্রমণের ক্ষেত্রে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, এই ধরনের লক্ষণগুলিও দেখা দিতে পারে।
গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে কী কী উপসর্গ দেখা যায়?
কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীরে কী কী উপসর্গ দেখা দেবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপরে। যাদের বয়স বেশি এবং কো-মর্বিডিটি, দুর্বল ইমিউনিটি, স্থূলতা, ক্রনিক রেসপিরেটরি ইস্যু রয়েছে বা আগে থেকেই কোনও রোগে ভুগছেন, তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। এক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলি দেখা দেয় -
অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করা
বুকে ব্যথা হওয়া
ত্বকে জ্বালা, ব়্যাশ
শ্বাসকষ্ট হওয়া
দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের প্রদাহ, হজমের সমস্যা
বিভ্রান্তি
খিচুনি বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি
উপরিউক্ত উপসর্গগুলি, গুরুতর সংক্রমণের সূচনা হতে পারে এবং এই উপসর্গগুলি সময়ের সাথে সাথে আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
কোন দিনগুলির দিকে বেশি নজর দিতে হবে?
একজন করোনা রোগীর প্রায় ১৪ দিন সময় লাগে, সুস্থ হয়ে উঠতে। যাকে ইনকিউবেশন পিরিয়ড বলা হয়। বলা হচ্ছে যে, কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১,৩,৫,৭ এবং ১০ম দিনে লক্ষণগুলির তীব্রতার দিকে বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন।
যদি পঞ্চম দিনের মধ্যে উপসর্গগুলির কোনও উন্নতি না হয়, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।
হালকা উপসর্গ থেকে গুরুতর উপসর্গে পরিণত হলে কী করা উচিত?
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, হালকা সংক্রমণ গুরুতর সংক্রমণে পরিণত হচ্ছে। সংক্রমণের পঞ্চম দিনের মধ্যে যদি কোনও উন্নতি না হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং এই লক্ষণগুলি নজরে আসলে রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করুন -
ঠোঁট এবং ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
৯০-এর নীচে অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে আসা
হাই ফিভার
নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ।
হাইপক্সিয়া
হার্ট রেট ওঠানামা করা
খিদে না হওয়া