Just In
Don't Miss
Omicron Symptoms: এই ১৪টি উপসর্গের মধ্যে একটি দেখা দিলেই কোভিড টেস্ট করান! হতে পারেন ওমিক্রনে আক্রান্ত
সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা এখন ঘরে ঘরে। গা ম্যাজম্যাজে ভাব, দুর্বলতা লেগেই রয়েছে। বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলেই ভুগছে এই সব সমস্যায়। আর শীতকালে ঠান্ডা লাগা, জ্বর হওয়াটাও খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর হলেই সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। দিনের পর দিন সংক্রমিতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি হওয়া, মানুষের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে, Omicron ভ্যারিয়েন্ট আগমনের পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তরতরিয়ে বাড়ছে। ভারতে ইতিমধ্যেই দৈনিক দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার ডেল্টা রূপের থেকে ওমিক্রনের সংক্রমণ একেবারেই আলাদা ধাঁচের। এটি তুলনামূলকভাবে হালকা এবং পরিচালনাযোগ্য। ওমিক্রন আপার রেসপিরেটরি সিস্টেমকে প্রভাবিত করে, যার ফলে ঠান্ডা লাগার মতো হালকা লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্ট ফুসফুসের কম ক্ষতি করে বলেই মনে করা হচ্ছে।
করোনার এই আবহে মানুষ বেশ ধোঁয়াশায়। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা কি সাধারণ ঠান্ডা লাগা নাকি করোনার লক্ষণ, বুঝেই উঠতে পারছেন না বেশিরভাগ মানুষ। বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রন সংক্রমণের ১৪টি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে রোগীদের মধ্যে। তাহলে চিনে নিন ওমিক্রনের ১৪টি লক্ষণ। কোনটি কত বেশি দেখা যাচ্ছে, তাও জেনে নিন।
ওমিক্রনের ১৪টি লক্ষণ
বিজনেস ইনসাইডার সম্প্রতি UK-এর Zoe COVID Symptom Study-র ডেটা ব্যবহার করে একটি চার্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে ওমিক্রনের সবচেয়ে হালকা থেকে সবচেয়ে ভারি পর্যন্ত লক্ষণগুলিকে দেখানো হয়েছে। যারা একটি নির্দিষ্ট উপসর্গে ভুগছেন, তাদের শতাংশও এখানে হাইলাইট করা হয়েছে।
- সর্দি বা নাক দিয়ে জল পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ৭৩ শতাংশের ক্ষেত্রে।
- মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে ৬৮ শতাংশের।
- ক্লান্তি, দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে প্রায় ৬৪ শতাংশের মধ্যে।
- হাঁচি হচ্ছে ৬০ শতাংশ রোগীর।
- গলা ব্যথাও ৬০ শতাংশের দেখা যাচ্ছে।
- ক্রমাগত কাশি হচ্ছে ৪৪ শতাংশের।
- গলা ভেঙে যাচ্ছে ৩৬ শতাংশের।
- ঠান্ডা লাগছে বা কাঁপুনি হচ্ছে ৩০ শতাংশ রোগীর।
- ২৯ শতাংশের জ্বর হচ্ছে।
- মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম ২৮ শতাংশের ক্ষেত্রে।
- মস্তিষ্কে ধোঁয়াশার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ২৪ শতাংশের।
- পেশীতে ব্যথা ২৩ শতাংশের।
- ১৯ শতাংশ রোগীর মধ্যে গন্ধ চলে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
- বুকে ব্যথাও হচ্ছে ১৯ শতাংশের ক্ষেত্রে।
কখন আপনার টেস্ট করানো উচিত?
সাধারণত করোনা ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড হল, যখন আপনি সংক্রমিত হন এবং যখন আপনার শরীরে লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তার মধ্যেকার দিনগুলির সংখ্যা, সেটা ১-১৪ দিনের মধ্যে হতে পারে। সাধারণত প্রায় পাঁচ দিনের মধ্যে এমনটা ঘটতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে একজন ব্যক্তির মধ্যে উপসর্গ দেখাতে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লাগে, যদিও এটি ১৪ দিন পর্যন্ত সময়ও নিতে পারে।
আপনি যদি কোভিডে আক্রান্ত কোনও রোগীর সংস্পর্শে আসেন বা আপনার মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে, তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে নিজের করোনা পরীক্ষা করান।
রেজাল্ট পজিটিভ আসলে কতদিন নিজেকে আইসোলেট করে রাখবেন?
সিডিসি অনুসারে, যদি আপনি পজিটিভ হন, তবে আপনার পজিটিভ রেজাল্ট আসার তারিখ থেকে শুরু করে কমপক্ষে ৫ দিনের জন্য নিজেকে আলাদা করে রাখা উচিত (কোনও লক্ষণ না থাকলে)। আর কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে, আপনার লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার তারিখ থেকে কমপক্ষে ৫ দিনের জন্য নিজেকে আলাদা করে রাখুন। ICMR বলেছে যে, উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন সমস্ত ধরনের কোভিড রোগীরাই ১০ দিনের পরিবর্তে সাত দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে পারেন।
ওমিক্রনকে উপেক্ষা করবেন না
বিশেষজ্ঞরা নতুন COVID ভ্যারিয়েন্টকে হালকাভাবে না নেওয়ার কথা বলছেন। ওমিক্রন হালকা হতে পারে, তবে এর উচ্চ সংক্রামক হার বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এই সময়ে কোভিডের সমস্ত নিয়মাবলী মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক পরুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলুন, ঘন ঘন হাত ধোওয়া এবং অকারণে বাইরে বেরোনো এড়িয়ে চলুন। ঘন ঘন যেসব জায়গাগুলি স্পর্শ করা হয় সেগুলিকে স্যানিটাইজ করা, আপনাকে ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়া থেকে এবং ভাইরাস ছড়াতে বাধা দিতে পারে।