Just In
- 3 hrs ago
দুধের সঙ্গে ভুলেও খাবেন না এই খাবারগুলি, শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে!
- 13 hrs ago
শুধু রান্নার কাজেই নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও দারুণ উপকারী অলিভ অয়েল! দেখুন কী ভাবে কাজে লাগাবেন
- 13 hrs ago
Shani Jayanti 2022 : শনিদেবকে তুষ্ট করতে পালন করুন শনি জয়ন্তী, জেনে নিন তিথি ও শুভক্ষণ
- 19 hrs ago
Ajker Rashifal : কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন ২৫ মে-র রাশিফল
কোভিড রোগীরা হোম আইসোলেশনে থাকার সময় কী কী নিয়ম মেনে চলবেন, জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
করোনা আতঙ্ক যেন কাটতেই চাইছে না। যখনই সংক্রমণের সংখ্যাটা নিম্নমুখী হচ্ছে, ঠিক তখনই নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব করোনার গ্রাফকে আবার উর্ধ্বমুখী করে দিচ্ছে। ২০২২ সালের শুরু থেকেই করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ভারতে রোজই লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা, তবে এবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা আপাতত শতাংশের বিচারে আগের চেয়ে কম বলেই জানা যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীকে থাকতে দেখা যাচ্ছে হোম আইসোলেশনে।
বুধবার, ৫ জানুয়ারি একটি নির্দেশিকায় হোম আইসোলেশনের নতুন নিয়ম জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীরা সাত দিন পর হোম আইসোলেশন শেষ করতে পারেন, তবে সেটা কিন্তু শর্তসাপেক্ষে। বাড়িতে থাকতে হলে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, তা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেখে নিন সেই তালিকা -

হোম আইসোলেশনে কারা থাকতে পারবেন?
১) চিকিত্সক যেসব রোগীর লক্ষণ হালকা বা অ্যাসিম্পটোমেটিক বলে জানাবেন, তারাই হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন।
২) কোভিড আক্রান্তকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে একেবারে পৃথকভাবে নিভৃতবাস পালন করতে হবে। রোগীর হোম আইসোলেশনের জন্য এবং পরিবারের সকলে যাতে কোয়ারান্টিনে থাকতে পারে, সেরকম সুবিধা রোগীর বাড়িতে থাকতে হবে।
৩) একজন পরিচর্যাকারী (কোভিড-১৯ টিকার দু'টি ডোজ নিয়েছেন এমন কেউ) ২৪x৭ উপলব্ধ থাকা উচিত, যাতে সর্বদা রোগীর দেখভাল করতে পারে। একজন পরিচর্যাকারী এবং একজন চিকিত্সক হোম আইসোলেশনের পুরো সময়কালের জন্য নিয়োগ থাকবে।
৪) ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের এবং যাদের কো-মর্বিডিটি আছে, যেমন - উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস/লিভার/কিডনি রোগ, সেরিব্রোভাসকুলার রোগ, ইত্যাদি। তাদেরকে চিকিত্সক দ্বারা যথাযথ পরীক্ষার পরেই হোম আইসোলেশনের অনুমতি দেওয়া হবে। .
৫) যাদের ইমিউনিটি খুবই দুর্বল (এইচআইভি, Transplant recipients, ক্যান্সার থেরাপি, ইত্যাদি) তাদের হোম আইসোলেশনের পরামর্শ দেওয়া হয় না। কেবলমাত্র চিকিত্সক যথাযথ মূল্যায়নের পরে অনুমতি দিলে তবেই হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবে।

হোম আইসোলেশনে থাকার নিয়ম
১) যে ঘরে রোগী থাকবেন, সেই ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকে। জানালা খোলা রাখতে হবে।
২) সর্বক্ষণ ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরতে হবে। আট ঘণ্টা অন্তর মাস্ক বদলাতে হবে। অন্য কেউ ঘরে প্রবেশ করলে এন ৯৫ মাস্ক পরতে হবে।
৩) ব্যবহার করা মাস্ক দু'টুকরো করে আবর্জনার ব্যাগে রাখতে হবে ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা। তারপর সেটা ফেলবেন।
৪) ঘন ঘন সাবান-জল দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
৫) রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল, ফলের রস, গরম স্যুপ, চা জাতীয় পানীয় পান করতে হবে।
৬) কোভিড আক্রান্তের ব্যবহৃত বাসন বাড়ির অন্য কারুর ব্যবহার করা চলবে না। রোগী যে ঘরে থাকবেন, সেই ঘরের যেসব জিনিসে বেশি হাত পড়ে, সেগুলি নিয়মিত সাবান-জল বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৭) সময়মতো পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেনের পরিমাণ মাপতে হবে। এছাড়া, প্রতিনিয়ত দেহের তাপমাত্রাও মাপতে হবে। ৩ দিনের বেশি ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রার জ্বর থাকলে, অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৩ শতাংশের কমে গেলে, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

কখন হোম আইসোলেশন বন্ধ করতে হবে?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সংশোধিত নির্দেশিকাতে জানিয়েছে, সামান্য উপসর্গ বা যাদের উপসর্গ নেই তাদের হোম আইসোলেশনে সময়সীমা ১৪ দিন থেকে কমে হল ৭ দিন। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ৭ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। তবে এর মধ্যে টানা তিনদিন যদি জ্বর না আসে তাহলে ৭ দিনেই আইসোলেশন শেষ হয়ে যাবে, এমনটা ধরে নিতে হবে। পুনরায় কোভিড পরীক্ষা করানোরও প্রয়োজন নেই। জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়া চালাতে হবে। মাস্ক পরা চালিয়ে যেতে হবে।
এর আগে আইসোলেশন থেকে বেরোনোর আগে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট নেওয়ার নিয়ম ছিল। তবে এবার নতুন করে পরীক্ষা করানোরও দরকার নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে হোম আইসোলেশন শেষ হলেও, রোগীকে সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হবে।
হালকা উপসর্গ যাদের রয়েছে, তারা একেবারেই স্টেরয়েড ব্যবহার করবেন না। অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩-এর নীচে নামলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজন হলে হাসপাতালে ভর্তি হন।