Just In
- 11 min ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 24 min ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 17 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 19 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
ব্রাউন সুগার না টেবিল সুগার? সাদা বা বাদামি চিনির কোনটা শরীরের জন্য ভালো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা চিনি বা বাদামি চিনি— দুটোতেই ক্যালোরির পরিমাণ সমান।
ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় গেলে সাদা চিনি এড়িয়ে চলেন? চিনির দরকার হলে বাদামি চিনি বা ব্রাউন সুগার চেয়ে নেন? ইদানীং মুদির দোকান বা মল থেকে চিনি কিনতে গেলেও সাদার বদলে ব্রাউন সুগার কিনছেন? এবং ভাবছেন, এতে আপনার স্বাস্থ্যের অপকার কম হচ্ছে? বা পরিবারের শিশু এবং বয়স্কদের স্বাস্থ্যকর চিনি খাওয়াচ্ছেন? তাহলে আপনার জেনে নেওয়া উচিত, বিষয়টা একেবারেই তা নয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা চিনি বা বাদামি চিনি- দুটোতেই ক্যালোরির পরিমাণ সমান। কিন্তু তারপরেও দুটো চিনির মধ্য কিছু পার্থক্য আছে। সেগুলো জেনে রাখা দরকার। এবং সেই অনুযায়ী আপনি বেছে নিতে পারেন, কোন চিনিটা আপনার জন্য ভালো হবে।
১। তৈরির পার্থক্য :
বাদামি চিনি ব্রাউন সুগার হল কাঁচা বা র' সুগার। সেখানে সাদা চিনি বা টেবিল সুগার হল রিফাইনড সুগার। চিনি কীভাবে তৈরি হয়, তা সকলেই জানেন। আখ থেকে রস বের করে তাকে ফুটিয়ে তিনি তৈরি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে যে চিনি তৈরি হয়, তার রং হয় বাদামি বা লালচে। সেটাই ব্রাউন সুগার হিসেবে বিক্রি হয়। এর মধ্যে মোলাসেস থাকে। এই চিনিকে আরও রিফাইন করা হলে, তা ক্রিস্টাল তৈরি করে এবং সেটা সাদা চিনি বা টেবিল সুগার। এক্ষেত্রে দুই চিনির মধ্যে পার্থক্য হল ওই মোলাসেস। পর্যাপ্ত পরিমাণে মোলাসেস শরীরের জন্য ভালো। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের উপকার করে। কিছু সামান্য পুষ্টিগুণও থাকে। কিন্তু চিনির মধ্যে মোলাসেসের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। ফলে ব্রাউন সুগার বেশি খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
২। রঙের পার্থক্য :
বাদামি চিনি বা ব্রাউন সুগার অনেক কম রিফাইন করা। ফলে এই চিনির মধ্যে তাকা ক্রিস্টালের মাপ অনেক বড় সাদা চিনির ক্রিস্টালের চুলনায়। সেই কারণে এই চিনির চেহারা অনেক বেশি অরগ্যানিক এবং রংটাও বাদামি। এইচিনিকে দেখলে সেই কারণে অনেক বেশি 'ন্যাচরাল' বলে মনে হয়। এই চিনি কোনও রান্নায় ব্যবহার করলে সেই পদটির রংও অনেকটাই বাদামি হয়ে যায়। এই কারণে বাদামি বা লালচে রঙের কোনও পদ রাঁধতে ব্রাউন সুগার ব্যবহার করা হয়। এটি এর অন্যতম একটা কার্যকারিতা।
৩। খনিজ পদার্থ বা মিনারেলস :
ব্রাউন সুগার বা বাদামি চিনিতে মোলাসেস থাকে- এই কথা আগেই বলা হয়েছে। এই কারণেই এই চিনির মধ্যে কিছু পরিমাণে খনিজ বস্তু বা মিনারেলস থাকে। মোলাসেসের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম ব্রাউন সুগারের মধ্যে থেকে যায়। কিন্তু যখনই সেই চিনিকে রিফাইন করা হয়, তখনই মোলাসেস বেরিয়ে যায় চিনি থেকে। তাই সাদা চিনির মধ্যে কোনও খনিজ বস্তু বা মিনারেলস থাকে না। তবে এটা থেকে ভাবার কিছু নেই যে, ব্রাউন সুগার আপনার শরীরের মিনারেলস চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তার কারণ ব্রাউন সুগারে থাকা মোলাসেসের মধ্যে মিনারেলস থাকলেও তার পরিমাণ অত্যন্ত কম। এক চামচ ব্রাউন সুগারে যে পরিমাণে মোলাসেস থাকে, তাতে মাত্রা ০.০২ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। সেখানে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন ৮ মিলিগ্রাম আয়রন দরকার। আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দরকার প্রায় ১৮ মিলিগ্রাম। তাই এই চিনি থেকে মিনারেলস চাহিদা পূরণ হবে না। কিন্তু সাদা চিনির থেকে এই চিনি সামান্য হলেও মিনারেলস উপস্থিতির বিচারে এগিয়ে থাকবে।
৪। স্বাদের পার্থক্য :
যাঁরা নিয়মিত দুই ধরনের চিনিই খেয়ে থাকেন, তাঁরা জানেন, দু'টি চিনির স্বাদ কিছুটা হলেও আলাদা। ব্রাউন সুগারের স্বাদ অনেক বেশি র'। এর কারণও সেই চিনির মধ্যে থাকা মোলাসেস। ঠিক এই কারণেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাদা চিনির বদলে ব্রাউন সুগার ব্যবহার করা হয়। যেমন কফির ক্ষেত্রে অনেকেই ব্রাউন সুগার ব্যবহার করেন, সাদা চিনি ব্যবহার করতে চান না। ঠিক তেমনই চা-এর ক্ষেত্রে এর উল্টোটাই বেশি চোখে পড়ে।