Just In
দুর্গা পুজো তো এসে গেল তাই চুল অনুযায়ী থাকলো কিছু স্টাইল টিপস
যাদের চুল এরকম ধরণের, তাঁরা অনায়াসেই ব্লান্ট কাট রপ্ত করতে পারেন।
চুলের সমস্যা নেই, এমন নারী খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। ভারতবর্ষের নারীদের ক্ষেত্রে নানা ধরণের চুলের বৈশিষ্ট্য চোখে পরে। কারও ছোট, কারও বড়, আবার কারও মাঝারি। এছাড়াও চুলের গোছেরও অনেক তারতম্য দেখা যায়। তবে চুল যেমনই হোক, তাকে কিভাবে ট্রেন্ডি বানানো যায়, সেটা সত্যিই ভাববার বিষয়। তবে চুলের স্টাইল মানেই কোনও ধারণা ছাড়াই একগাদা টাকা খরচ করা নয়। তাই আজ বোল্ডস্কাই এমন কিছু চুলের স্টাইলের কথা বলবে, যা সবরকম চুলের অধিকারিণীদের অবশ্যই পড়ে দেখতে হবে।
১. লম্বা গোছ যুক্ত চুল
যাদের চুল এরকম ধরণের, তাঁরা অনায়াসেই ব্লান্ট কাট রপ্ত করতে পারেন। একদম নীচের দিকে কয়েকটি ধাপ সহ ব্লান্ট কাট করলে দেখতে সত্যি খুব ভাল লাগবে। এছাড়াও চুল সমান ভাবে কাটলে আপনার চুলের গোছ বজায় থাকবে এবং আপনার চুলে সহজে জট পড়বে না। তাই বলি খুব ছোট করে ব্লান্ট কাট দেবেন না। এতে মনে হবে যেন আপনি মাথায় উইগ পড়েছেন।
২. কাঁধ ছাড়ানো ঝাঁকড়া চুল
ঝাঁকড়া চুল সামলানো সত্যিই খুব কঠিন। সবথেকে ভালো হয় যদি এই ধরণের চুল কাঁধের একটু নিচ অবধি হয়। কারণ এই ধরণের চুল খুব ছোট হলে যেমন ঝামেলা, তেমনি খুব বড় হলেও জট পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও ভাল হেয়ার স্টাইলিশ দিয়ে চুলের কোনও বিশেষ স্টাইলও করতে পারেন।
৩. পাতলা চুল
পাতলা চুলও কিন্তু বেশ সমস্যার। আসলে চুল খুব পাতলা হলে তা দেখতে মোটেও ভালো লাগে না। তাই যখনই পার্লারে চুল কাটবেন, চেষ্টা করবেন চুলে বেশ কয়েকটি ধাপ বা স্টেপ তৈরি করতে। অথবা চুলের শেষের দিকটা কিছুটা কুঁকড়ে এবং ফুলিয়ে নিতে, যাতে চুল দেখতে খুব ঘন মনে হয়।
৪. কোঁকড়ানো চুল
কোঁকড়ানো চুল সামলানো বেশ চাপের। সেক্ষেত্রে কোঁকড়ানো চুল ত্রিকোণ করে কাটতে পারেন। আর চেষ্টা করতে হবে, যাতে চুলের একেবারে নীচের দিকে যেন পাতলা গোছ থাকে। এর ফলে এই ধরণের চুল সামলানো খুব সহজ হয়ে যাবে। তবে কোঁকড়ানো চুল খুব ছোট বা খুব বড় রাখা একেবারেই উচিত নয়।
৫. ঢেউ খেলানো চুল
ঢেউ খেলানো চুলে সবথেকে ভাল স্টাইল হল লং লেয়ার কাট করা। এতে চুল এবং লুক দুই-ই খুব ট্রেন্ডি লাগে। এছাড়াও ঢেউ খেলানো চুল যেহেতু সব সময়ই প্রচণ্ড গোছযুক্ত দেখতে লাগে, তাই লং লেয়ার কাট দিলে তাতে চুলের ভার অনেকটা কমে এবং সহজে সামলানো যায়।