Just In
Skin Care Tips: রূপচর্চায় এই উপাদানগুলি ব্যবহার করেন? ত্বকের বিরাট ক্ষতি হওয়ার আগে সাবধান হোন!
প্রত্যেকেরই ত্বকের কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে, কারও ব্রণ-পিম্পলের, কারও দাগ-ছোপ, কারও বা ট্যানের সমস্যা। এই সব সমস্যা দূর করতে অনেকেই ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হন। নেট ঘেঁটে বিভিন্ন পদ্ধতি জেনে আমরা ঘরে বসেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। অনেক ক্ষেত্রে সফল হলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা কমার পরিবর্তে আরও বেড়ে যায়।
আমাদের ত্বক খুবই সেনসিটিভ হয়, বিশেষ করে মুখের ত্বক। তাই ভাল করে না জেনে যে কোনও পদ্ধতি প্রয়োগ করা ত্বকের বিরাট ক্ষতি করতে পারে। আজ আমরা আপনাদের এমনই কিছু বিউটি হ্যাকস সম্পর্কে জানাব, যেগুলি কখনই ত্বকে চেষ্টা করা উচিত নয়, অন্যথায় আপনার ভুলের খেসারত আপনার ত্বককে বহন করতে হতে পারে।
ব্রণের দাগ কমাতে টুথপেস্টের ব্যবহার
ইন্টারনেট ঘেঁটে অনেকেই ব্রণ-পিম্পলের দাগ কমাতে টুথপেস্ট প্রয়োগ করেন। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, এতে আপনার ত্বকের বিরাট ক্ষতি হতে পারে। টুথপেস্ট কখনই ত্বকের জন্য উপযোগী নয়। টুথপেস্ট ত্বকের pH ব্যালেন্স ব্যাহত করে এবং ত্বকে জ্বালাপোড়া, ব়্যাশের কারণ হতে পারে। তাই, যে জিনিসটা যার জন্য তৈরি হয়েছে সেটা সেই ভাবেই ব্যবহার করুন।
ত্বক ফর্সা করার জন্য বেকিং সোডা
অনেকেই বলেন, বেকিং সোডা ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটা ঠিক যে, বেকিং সোডা কিছুক্ষণের জন্য ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারে, কিন্তু এটি আপনার ত্বকের pH ব্যালেন্স নষ্ট করে। এছাড়াও, বেকিং সোডা ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও দূর করে, ফলে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এটি প্রয়োগ না করাই ভাল।
ব্ল্যাকহেডস অপসারণ করা
ব্ল্যাকহেডস মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। তাই অনেকেই বাড়িতে ব্ল্যাকহেডস অপসারণের চেষ্টা করেন। কিন্তু এর ফলে জ্বালা, দাগ-ছোপ হয়ে যেতে পারে এবং ত্বকে খুব ব্যথাও হতে পারে। ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হল পেট্রোলিয়াম জেলি। অনেকেই পেট্রোলিয়াম জেলির সাহায্যে ব্ল্যাকহেডস তোলার চেষ্টা করেন। পেট্রোলিয়াম জেলি লাগানোর পর ব্ল্যাকহেডসের ওপরে একটি গরম তোয়ালে রাখতে হয়। কিন্তু এতে ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল কোনও বিউটি এক্সপার্টের সাহায্য নেওয়া।
লেবুর রস ব্লিচ হিসেবে ব্যবহার করা
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় লেবুর রস ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে লেবুর রস দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকের নানা সমস্যায় কাজে লাগে। কিন্তু লেবু কখনই ত্বকে সরাসরি লাগানো উচিত নয়। অনেকেই মুখ, বগল ও ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে ব্লিচ হিসেবে লেবু ব্যবহার করেন। কিন্তু লেবু দিয়ে স্ক্রাব করলে ত্বকে লালচে ভাব এবং জ্বালাপোড়া হতে পারে।
মুখে ওয়াক্সিং করা
মুখে ওয়াক্সিং করাতে হলে ভাল পার্লারে যান, কখনই বাড়িতে নিজে নিজে ট্রাই করবেন না। হোয়াইটহেডস, ডেড স্কিন বা ট্যান-এর মতো সমস্যাগুলি ঠিক করতে নিজেই নিজের মুখে ওয়াক্সিং করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এর ফলে ত্বকে জ্বালা, লালচে ভাব এবং দাগ-ছোপ হতে পারে। তাছাড়া, মুখের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়, তাই মুখে ওয়াক্সিং না করাই ভাল।
লেবুর রস এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
অনেকেই লেবুর রস এবং অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার টোনার হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করেন। কিন্তু এই দু'টি উপাদানই অ্যাসিডিক প্রকৃতির এবং ত্বকের অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে পারে, আর pH ব্যালেন্স ব্যাহত করতে পারে। লেবু এবং ভিনেগার সরাসরি প্রয়োগ করলে ত্বকে জ্বালা, ব়্যাশ এবং শুষ্কভাব দেখা দিতে পারে।