Just In
শীতকালে ঠোঁটের যত্নের জন্য ১০টি সুপার হাইড্রেটিং উপায়
শীত আসছে! আর তেমনি আসছে শুষ্ক ও জৌলুস-হীন ত্বকের ঋতু। যদিও আসল সমস্যার অঞ্চল হল ঠোঁট। এগুলি শুষ্ক, চলটা ওঠা, চামড়া ঝুলতে থাকে মাঝেমাঝে তো সাথে একটা খোলা রক্ত ঝরা ক্ষতও থাকে।
আর আপনি যখন আহ-কি দারুণ ম্যাটি লিপস্টিকটা লাগাবেন, মনে হবে যেন শুকনো কাদা দিয়ে তৈরি কেক, হ্যাঁ, আমরাও এর মধ্যে দিয়ে গেছি! আর্দ্রতাকে লক করতে ও ফাটা ত্বকের কোষ মেরামত করতে, আপনার যা চাই তা হল একটি সুপার হাইড্রেটিং উপায়, সঠিক ভাবে বলতে গেলে যার জন্য আপনি আজ এখানে এসেছেন!
যদিও আমরা ময়েশ্চারাইজিং লিপ বাম হাতে রাখি; শীতকালে এটা যথেষ্ট না এবং আমাদের ঠোঁট খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়, আঁট হয়ে যায় ও অবশেষে ফেটে যায় যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতের আকার নেয়।
এই ভেষজ লিপ মাস্কগুলি সম্পর্কে আরও জানার আগে, ঠোঁটের যত্ন সম্পর্কে কিছু নিয়ম আছে, যা আপনার মনে রাখা প্রয়োজন।
নিয়ম ১- কখনোই ঠোঁট কামড়াবেন না, যদি আপনার ঠোঁটের চামড়া উঠতে থাকে আর আপনাকে খুবই ইচ্ছা করে, তাও না।
নিয়ম ২- ঠোঁট চাটা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে আপনার ঠোঁট শুকিয়ে যায়, সাথে এটা আপনার ঠোঁটকে কালো করে দিতে পারে।
নিয়ম ৩- ঠোঁট ছোঁবেন না।
নিয়ম ৪- সবশেষে, সবসময় এমন একটা লিপ বাম কিনুন যাতে বাইরের তত্ত্বগুলি থেকে রক্ষা করার জন্য এস.পি.এফ (SPF) বৈশিষ্ট্য আছে।
আর এর সাথে পোষণের জন্য এখানে ঠোঁটের জন্য ১০টি সুপার হাইড্রেটিং উপায় রইল। আসুন দেখে নেওয়া যাক।
মধু
+
পেট্রোলিয়াম
জেলি
১
চা
চামচ
পেট্রোলিয়াম
জেলির
সাথে
সমপরিমাণ
মধু
নিন।
ভালভাবে
মিলে
যাওয়া
পর্যন্ত
মেশান।
চলটাগুলিতে
আঘাত
করার
আগে
মিশ্রণটি
ঠোঁটে
ভালভাবে
মাসাজ
করুন।
সকালবেলায়,
একটা
ব্রাশের
সাহায্যে
হালকা
হাতে
ঠোঁট
থেকে
ঘষে
মৃত
কোষের
পরত
তুলে
ফেলুন!
মধু আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম (humectant) ও পেট্রোলিয়াম জেলি খুব ভাল ময়েশ্চারাইজার হওয়ায়, আপনার ঠোঁটকে সারা দিন ধরে সতেজ রাখতে পারে।
মৌচাকের
মোম
(Beeswax)
+
আমন্ড
অয়েল
কম
আঁচে
১
টেবিল
চামচ
মোমকে
(Beeswax)
গলিয়ে
নিন।
ঠাণ্ডা
হতে
দিন।
গলানো
মোমের
মধ্যে
১
টেবিল
চামচ
মধু
ও
১
টেবিল
চামচ
আমন্ড
অয়েল
মেশান।
একটা
কাঁটা
চামচের
সাহায্যে
খুব
ভাল
করে
ফেটিয়ে
নিন।
একটি
ছোট
বয়ামে
বামটি
ভরে
রাখুন।
আর
যখনই
ঠোঁট
খসখসে
মনে
হবে,
তখনই
এটি
ঠোঁটে
মাসাজ
করুন।
ভিটামিন-বি, হিউমিক্যান্ট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, ঠোঁটের মেরামত করার এই DIY মাস্ক, আপনার হাতে থাকা অন্য যেকোনো বামের থেকে ১০ গুণ বেশি ভাল কাজ করবে।
ওয়াশের
কাপড়
একটা
পুরানো
মসলিন
ওয়াশের
কাপড়
নিন
ও
গরম
জলে
ভেজান।
অতিরিক্ত
জল
ঝরিয়ে
নিয়ে,
সামান্য
ঠাণ্ডা
হতে
দিন।
এরপর
কাপড়টি
দিয়ে
আপনার
ঠোঁটে
চাপ
দিন।
কয়েক
সেকেন্ডের
জন্য
ঐভাবেই
চেপে
রাখুন।
১
থেকে
২
মিনিটের
জন্য
এইটা
করুন।
এরপর
আপনার
নিয়মিত
ব্যবহারের
ময়েশ্চারাইজার
লাগিয়ে
নিন।
এই
সহজ
ট্রিক্সটি
সারাদিন
ধরে
আপনার
ঠোঁটকে
মসৃণ
ও
নরম
রাখবে!
চিনি
+
অলিভ
অয়েল
১
টেবিল
চামচ
চিনির
সাথে
১/২
টেবিল
চামচ
অলিভ
অয়েল
মিশিয়ে
নিন।
এটাকে
একটা
দানাদার
পেস্টের
মতন
করে
মেশান।
মিশ্রণটিকে
আপনার
ঠোঁটে
লাগিয়ে,
সার্কুলার
মোশনে
ঘোষুন।
১
থেকে
২
মিনিটের
জন্য
এটি
করুন।
পরে
পরিষ্কার
জলে
ধুয়ে
ফেলুন।
এই
মাস্কটি
আপনার
ঠোঁটকে
শুষ্ক
না
করেই,
মৃত
ত্বকের
কোষকে
সরিয়ে
দেয়!
কোকো
বাটার
+
নারকেলের
তেল
এই
প্রাকৃতিক
উপাদানগুলি
ঠোঁটকে
শুধু
পরিপোষণই
দেয়
না
বরং
ফাটা
ঠোঁট
উপশম
করে
ও
সারিয়ে
তোলে!
১ চা চামচ কোকো বাটারের সাথে কয়েক ফোঁটা নারকেলের তেল মেশান। একটা পাতলা মসৃণ পেস্ট না পাওয়া পর্যন্ত ভালভাবে মিশিয়ে নিন। আপনার ঠোঁটে এটি মাসাজ করুন ও সারা রাতের জন্য ওইভাবেই রেখে দিন।
বরফ
ঘষা
ঠোঁটে
বরফের
কিউব
দিয়ে
মাসাজ
করলে
তা
শুধু
ঠোঁটের
ক্ষত
প্রশমনই
করে
না
বরং
এটি
ঠোঁটকে
ভাল
করে
আর্দ্রতা
শুষে
নিতে,
রক্ত
সঞ্চালনকে
উদ্দীপিত
করতে
সাহায্য
করে
যা
পরবর্তী
সময়ে
ঠোঁটকে
নরম
ও
সতেজ
করে
দেয়।
আরও
পরিপোষণের
আনতে
আপনি
সাধারণ
বরফের
বদলে
গোলাপ
জলের
বরফ
ব্যবহার
করতে
পারেন।
দুধের
সর
+
জাফরান
আধা
চা
চামচ
দুধের
সরের
সাথে,
২
টো
জাফরান
মিশিয়ে
নিন।
মেশাতে
থাকুন
যতক্ষণ
না
ঠোঁটের
এই
ভেষজ
মাস্কটির
রং
পরিবর্তন
হয়ে
যায়।
এবার
এটিকে
ঠোঁটে
মাসাজ
করুন।
সারারাত
ঐভাবেই
থাকতে
দিন
ও
সকালে
ভালভাবে
ধুয়ে
ফেলুন!
এই মাস্কে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড ঠোঁটকে শুধু আর্দ্রই করে না বরং নির্দিষ্ট সময়ে পিগমেন্টেশনও কমিয়ে দেয়!
শিয়া
বাটার
+
অলিভ
অয়েল
+
বীটের
রস
১
চা
চামচ
শিয়া
বাটারকে
গলিয়ে
নিয়ে
তাতে
সমপরিমাণ
অলিভ
অয়েল
ও
কয়েক
ফোঁটা
বীটের
রস
মিশিয়ে
নিন।
রাতে
শুতে
যাওয়ার
আগে
এই
মিশ্রণটি
আপনার
ঠোঁটে
মাসাজ
করে
নিন।
সকালে
নরম
ও
পরিষ্কার
তোয়ালে
দিয়ে
ঘষে
তুলে
ফেলুন।
বেশি পরিমাণে ময়েশ্চারে সমৃদ্ধ এই বাম আপনার ঠোঁটের ক্ষত সারায়, মেরামত করে ও পুনর্নব করে!
শসা
খোসা
ছাড়িয়ে,
ঘষে
শসার
রস
বের
করে
নিন।
ঠাণ্ডা
করার
জন্য
১৫
মিনিট
রেফ্রিজারেটরে
রেখে
দিন।
একটা
তুলোর
প্যাডকে
এই
রসে
ডুবিয়ে
আপনার
ঠোঁটে
লাগান।
স্বাভাবিক
ভাবেই
শুষে
নিতে
দিন।
এই
প্রক্রিয়াটিকে
দিনে
একাধিক
বার
পুনরাবৃত্তি
করুন।
জল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এই সহজ ট্রিক্সটি আপনার ঠোঁটকে আর্দ্র করবে ও চলটা উঠে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে।
জল
পান
করা!
শুষ্ক
ও
খসখসে
ঠোঁটকে
H20
যেভাবে
মাত
দিতে
পারে
তেমন
আর
কিছুই
পারে
না।
সবসময়
সাথে
এক
বোতল
জল
রাখুন
আর
যখনই
সময়
পাবেন
জল
পান
করতে
থাকবেন।