Just In
- 11 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 15 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 17 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 20 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
ছেলেদের ত্বকের যত্নের জন্য কী কী করবেন
কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার মুখের?
ছেলে হয়েছেন, কাঁধে তাই অনেকরকম দায়িত্ব। সংসার আর অফিস এই দুই সামলাতে গিয়ে মাঝে মাঝে হিমসিম খেয়ে যেতে হয়। তবে এতকিছুর মাঝখানে খেয়াল রাখছেন তো আপনির ত্বকের? আপনার ত্বকই আপনার আত্মবিশ্বাস আর অ্যাটিটিউড ধরে রাখে। পাশাপাশি আপনার কনফিডেন্ট লুক আপনার বাড়ির লোকদেরও ভরসা জোগায়।
অথচ কাজের জন্য রোদ,বৃষ্টি,ঝড়,জল কোনকিছুই মানলে চলে না। কিন্তু এসবের জন্যই মুখের ত্বকে জমতে থাকে ময়লা যা ব্রণ বা ডাল ফেসের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতকিছু সামলেও কীভাবে যত্ন নেবেন আপনার মুখের? আজকের এই প্রতিবেদনে রইল তারই হদিশ।
১। ক্লিনজার
ছেলেদের মুখের ত্বক মেয়েদের ত্বকের তুলনায় শক্ত আর রাফ হয়। তাই যে সে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার কখনই নয়। বরং বাছতে হবে এমন ক্লিনজার যা আপনার ত্বকের গভীরে গিয়ে মৃত কোশগুলোকে বের করে দেবে। একইসঙ্গে ত্বকের উপর লেগে থাকা ধুলোময়লা সমেত জীবাণুও পরিস্কার করবে। তা বলে এমন ক্লিনজার কখনই নয় যা আপনার ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। ত্বকের আর্দ্রতা কোনওভাবেই নষ্ট হয় না, এমন ক্লিনজারই সবসময় ব্যবহার করুন। কখন ব্যবহার করবেন ক্লিনজার? অফিসে বা বাইরে থেকে ফিরে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। দিনের শেষেই আমাদের ত্বক সবচেয়ে ক্লান্ত থাকে। তাছাড়া বাড়ি ফিরে আপনি যখন বিশ্রাম নেন, তখন আপনার ত্বকও কিন্তু বিশ্রাম নেয়। তাই দিনের শেষে বিশ্রামের আগে ক্লিনজার কিন্তু মাষ্ট।
২। শেভ করুন নিয়মিত
দাড়িই কিন্তু ছেলেদের এক্স ফ্যাক্টর। তাই দাড়ির যত্ন না নিলে আপনার লুক মোটেই ইমপ্রুভ করবে না । হাজারও কাজের মাঝে দাড়ি শেভ করতে ভুলে যাওয়া মোটেই কাজের কথা নয়। এবার থেকে নিয়মিত দাড়ি শেভ করা শুরু করুন। দাড়ির গোড়া যথেষ্ট শক্ত হয়। তাই যখন তখন দাড়ি শেভ করলে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। চেষ্টা করুন স্নানের পরে পরে বা স্নানের সময়েই যাতে দাড়ি শেভ করা যায়। কারণ এই সময় দাড়ির গোড়া যথেষ্ট নরম থাকে। স্নানের সময় সম্ভব না হলে দাড়ি শেভ করার সময় অবশ্যই ব্যবহার করুন শেভিং ক্রিম। রেজর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া জরুরি। যে সে রেজর আপনার ত্বকের গঠনের সঙ্গে ফিট নাও করতে পারে। ফলে প্রতিবার দাড়ি শেভ করার পর গাল জ্বালা সমেত ব্যথা হবে। এমন রেজর বাছুন যা গালের জন্য ভালো আর সেটাই সবসময় ব্যবহার করুন।
৩। চোখের তলা
চোখের তলাটা সারা মুখের তুলনায় একটু কালচে রঙের হয়। কারণ এই অংশের আর্দ্রতা সারা মুখের তুলনায় কম হয়। এই কালো অংশতেই বয়স বাড়লে দেখা দেয় বলিরেখা। তাই এখন থেকেই যত্ন নেওয়া শুরু করুন। চোখের তলায় হাইড্রেটিং ক্রিম লাগান নিয়মিত। কখন লাগাবেন? দিনের বেলা ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমোচে যাওয়ার আগে এই দুবার প্রতিদিন নিয়মিত লাগান। দেখবেন চোখের তলার কালোভাব অনেকটা কমে এসেছে।
৪। সানস্ক্রিন মাখুন
মেয়ে হোক বা ছেলে , সূর্য কিন্তু সবার ত্বকেরই সমান ক্ষতি করে থাকে। সেখানে মুখের ত্বক তো আরই সংবেদনশীল। তাই মুখের ত্বককে সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে নিয়মিত সানস্ক্রিন মাখুন। সানস্ক্রিন মুখের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির থেকে বাঁচিয়ে রাখে। তবে কোনধরনের সানস্ক্রিন বাছবেন? সান প্রোটেক্টিং ফ্যাক্টর নামে একটি মাপকাঠি রয়েছে যা দিয়ে সানস্ক্রিনের ক্ষমতা মাপা যায়। ৩০ বা তার বেশি এসপিএফ-এর সানস্ক্রিন মুখের ত্বককে ঠিকঠাক প্রোটেকশন দেয়। তা ই বেছে নিন বেশি এসপিএফ-এর সানস্ক্রিন। তা বলে পুরো ১০০ এসপিএফ-এর সানস্ক্রিন বাজারে মেলে না।