Just In
- 14 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 18 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 20 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 22 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
অপরূপ সুন্দরি হয়ে উঠতে চান কি আপনি?
অপরূপ সুন্দরি হয়ে উঠতে চান কি আপনি?
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, দূষণ এবং ত্বকের রোগ, নানা কারণে আজকাল সৌন্দর্য যেন কোনও এক দূরের স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই প্রবন্ধে আলোচিত ফেস মাস্কগুলি নিয়মিত ব্যবহার করলে কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগের হাত থেকেও নিস্তার মিলবে। তাই তো একবার চোখ রাখতেই হবে এই লেখায়।
ত্বককে সুন্দর করতে বাজার চলতি বিউটি প্রডাক্ট বা কসমেটিক সার্জারির সাহায্য নিতে পারেন। কিন্তু ভুলে যাবেন না এই সব আধুনিক চিকিৎসাগুলির কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতির কিন্তু কোনও সাইড এফেক্ট নেই, কিন্তু ফল মেলে একেবারে ১০০ শতাংশ। তাই সিদ্ধান্ত আপনার, আধুনিক চিকিৎসার উপর ভরসা রাখতে চান, কি পরখ করে দেখতে চান ঘরোয়া পদ্ধতির উপকারিতা।
প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে ত্বকের পরিচর্য়া করলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাওযার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বয়স কমে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, একাধিক ত্বকের রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়।
এখন তাহলে প্রশ্ন করতেই পারেন, এতক্ষণ ধরে ঘরোয়া পদ্ধতির সপক্ষে এত কথা বললেও কী উপাদান ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে তো একবারও রা কাটলেন না! একদম ঠিক বলেছেন, এবার সময় এসেছে সেই প্রকৃতিক উপাদানটির সম্পর্কে জানানোর, ত্বকের পরিচর্যায় যার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
সেই উপকারি প্রকৃতিক উপাদনটি হল ডিমের সাদা অংশ। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা নানাভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তাই তো আজ, বোল্ডস্কাই বাংলায় ডিমের সাদা অংশ নিয়ে কীভাবে ফেস প্যাক বানাতে হয়, সে প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল, যা প্রতিদিন মুখে লাগালে ফল মিলবে একেবারে হাতে নাতে।
১. ডিমের সাদা অংশ এবং গাজরের রস:
সবেমাত্র বানানো গাজরের রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটা পেস্ট। তারপর সেটি পুরু করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। যখন দেখবেন ফেস মাস্কটা শুকিয়ে গেছে, তখন গরম জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে মাত্র একবার এই পেস্টটি মুখে লাগালেই দেখবেন আপনার ত্বক ফর্সা হতে শুরু করেছে।
২. ডিমের সাদা অংশ এবং ওটমিল:
১ চামচ ওটমিলের সঙ্গে একটা ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রনটি ধীরে ধীরে মুখে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার অল্প করে ময়েসচারাইজার নিয়ে ভাল করে মুখটা মাসাজ করুন।
৩. ডিমের সাদা অংশ এবং মধু:
ত্বকের বয়স কমাতে এই পদ্ধতিটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কীভাবে বানাতে হবে ওই প্যাকটি? একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে ভাল করে সারা মুখে লাগিয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট রেখে মুখটা ধুয়ে নিন।
৪. দই এবং ডিমের সাদা অংশ:
একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ১ চামচ দই মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ফেলুন। কিছু সময় রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন এই পদ্ধতির সাহায্যে নিলে ত্বক নরম হয়, সেই সঙ্গে ঔজ্জ্বলতাও বাড়ে।
৫.ময়দা এবং ডিমের সাদা অংশ:
১ চামচ ময়দার সঙ্গে একটা ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। যখন দেখবেন উপকরণ দুটি ভাল করে মিশে গেছে, তখন মিশ্রনটি সারা মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে একবারের বেশি এই ফেস প্যাকটি মুখে লাগাবেন না যেন!
৬. মুলতানি মাটি এবং ডিমের সাদা অংশ:
একটা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ১ চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে তৈরি করতে হবে এই ফেস মাস্কটি। এটি কম করে ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে একবার এই ফেস প্যাকটি মুখে লাগালেই দেখবেন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো।
৭. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং ডিমের সাদা অংশ:
এক্ষেত্রে প্রয়োজন পরবে ১ চামচ ভিনিগার এবং একটা ডিমের সাদা অংশের। দুটি উপকারণ ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি সারা মুখে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিন। যখন দেখবেন পেস্টটা শুকিয়ে গেছে তখন হালকা গরম জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।
৮. লেবুর রস এবং ডিমের সাদা অংশ:
১ চামচ লেবুর রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রনটি মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। সপ্তাহে একবার এটি মুখে লাগালেই দেখবেন উপকার পেতে শুরু করেছেন।