Just In
- 23 min ago প্রেম জীবনে উত্তেজনা মেষ-তুলার, সতর্ক থাকতে হবে ৩ রাশিকে, দেখুন আজকের রাশিফল
- 16 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 17 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 20 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
Don't Miss
বাজার চলতি রং থেকে অ্যালার্জি হয়? তাহলে এবার বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন প্রাকৃতিক রং!
বাজার চলতি রং থেকে অ্যালার্জি হয়? তাহলে এবার বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন প্রাকৃতিক রং!
রঙের উৎসবে মেতে ওঠার প্রস্থুতি শুরু হয়ে গেছে নিশ্চয়! কিন্তু আপনার তো রং লাগলেই অ্যালার্জি বেরয়, কী করবেন তাহলে? কোনও চিন্তা নেই! বোল্ড স্কাই থাকতে আপনি হলির উৎসবে আংশ নিতে পারবেন না, তা আবার হয় নাকি!
এবার থেকে আপনিও রঙের উৎসবে অংশ নেবেন, তবে বাজার চলতি রং নিয়ে নয়, বাড়িতে বানানো প্রকৃতি রং হবে আপনার সঙ্গী। ভাবছেন, বাড়িতে আবার রং বানানো যায় নাকি! আলবাত যায়। আর সেগুলি বানানো যে খুব কষ্টকর, তাও নয়। তাহলে অপেক্ষা কিসের। অ্যালার্জির কথা ভুলে ঝটপট বন্ধুদের নিয়ে বানিয়ে ফেলুন হোয়াটস অ্যাপে একটা কমিউনিটি। আর সবাই মিলে শুরু করে দিন প্রাকৃতিক রং বানানোর প্রস্থুতি।
প্রকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি মানে তাতে এই রং-গুলি ফ্যাকাশে হবে, এমন নয় কিন্তু! আপনাকে বলে না দিলে আপনি বুঝতেও পারবেন না, কোনটা বাজার চলতি রং আর কোনটা প্রকৃতিক। তাছাড়া প্রাকৃতিক রং দিয়ে হলি খেললে অ্যালার্জিসহ একাধিক ত্বকের রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সেই সঙ্গে শ্বাস কষ্ট, মাথা ঘোরা, এমনকী চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও আর থাকবে না। প্রসঙ্গত, বাজার চলতি সিন্থেটিক রঙে মাত্রতিরিক্ত টক্সিক উপাদান থাকে, যা প্রকৃতিক উপাদান দিয়ে বানানো রঙে থাকে না। ফলে আনন্দের পরে রোগে ভোগার আশঙ্কাও থাকে না।
১. আমলকি:
কালো রং বানাতে প্রয়োজন পরবে এটির। যতটা রং বানাতে চান, সেই মতো আমলকি কিনে প্রথমে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগিুলি সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে সারা রাত রেখে দিয়ে পরদিন জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। দেখবেন কালো রং তৈরি হয়ে গেছে। আরেক ভাবে কালো রং বানাতে পারেন। কালো আঙুরের জুস সংগ্রহ করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলেই কালো রং তৈরি হয়ে যাবে।
২. জাফরান:
অল্প করে জাফরান নিয়ে জলে কয়েক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর জলে ভেজা সেই জাফরানকে পিষে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্টটা জলে ভিজিয়ে রাখলেই রং তৈরি হয়ে যাবে।
৩. বিটরুট:
পরিমাণ মতো বিটরুট নিয়ে ব্লেন্ডারে পিষে নিন। তারপর সেটি জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন অথবা সেদ্ধ করে নিতে পারেন। এমনটা করলেই গাড় মেরুন রং তৈরি হয়ে যাবে।
৪. জবা ফুল:
লাল রং বানাতে চান? কোনও চিন্তা নেই। পরিমাণ মতো জবাফুল নিয়ে জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তাহলেই দেখবেন লালা রং তৈরি হয়ে যাবে। আরেকভাবে লাল রং বানাতে পারেন। ২ চামচ লাল চন্দন গুঁড়ো নিয়ে জলে মিশিয়ে সেই জলটা ফুটিয়ে নিনি। লাল রং তৈরি হয়ে যাবে।
৫. হলুদ:
এই মশলাটা আপনাকে সাহায্য করবে হলুদ রং বানাতে। ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো নিন। তার সঙ্গে ৪-৫ চামচ ময়দা মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করুন। এই হলুদ রং মুখে লাগলে অ্যালার্জি হওয়ারও ভয় থাকবে না। প্রসঙ্গত, আরেক ভাবেও হলুদ রং বানাতে পারেন। পরিমাণ মতো গাঁদা ফুল জলে দিয়ে সেই জলটা ফুটিয়ে নিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে উঠে দেখবেন আপনার হলুদ রং তৈরি।
৬. মেহেন্দি পাউডার:
৩-৪ চামচ মেহেন্দি পাউডার নিয়ে জলে ভিজিয়ে নিন। ভাল করে নারাতে থাকুন জলটা। যখন দেখবেন মেহেন্দি পাউডারটা জলে ভাল করে মিশে গেছে, তখন মিশ্রনটা আলাদা করে সরিয়ে কয়েক ঘন্টা রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে আপনি গাড় সবুজ রঙ বানাতে পারবেন। প্রসঙ্গত, পালং সাক দিয়ে সবুজ রং বানানো যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে পরিমাণ মতো পালং শাকের পাতাকে পিষে নিতে হবে প্রথমে, তারপর সেই পেস্টটা জলে মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে সবুজ রং।
৭. জাম:
নীল রং বানাতে আপনার প্রয়োজন পরবে জাম ফলের। পরিমাণ মতো জাম ফল সংগ্রহ করে পিষে নিন। তারপর সেই পেস্টটা জলে ভিজিয়ে নিলেই দেখবেন আপনার প্রাকৃতিক নীল রং তৈরি ব্যবহারের জন্য।