Just In
চুলের যত্নের সময় এই ৭টি ভুল মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে স্ক্যাল্প ও চুলের
অতিরিক্ত দূষণ, ধুলো-ময়লা এবং সঠিক যত্নের অভাবে চুলের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। ফলে চুল পড়া, রুক্ষ-শুষ্ক হওয়া এবং খুশকির মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সব সমস্যা থেকে বাঁচতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কিন্তু তবুও কোনও পরিবর্তন দেখা যায় না, কেন জানেন? কারণ আমরা অনেকেই চুলের যত্ন নেওয়ার সময়, নিজেদের অজান্তেই কিছু ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলি। তাই সব রকম চেষ্টার পরেও, চুলের সমস্যা কমার বদলে আরও বেড়ে যায়।
তাহলে জেনে নিন, চুলের যত্নের ক্ষেত্রে সাধারণত আমরা কী কী ভুল করে থাকি -
১) গরম জল দিয়ে চুল ধোওয়া
আমরা অনেকেই শ্যাম্পু করার সময় বা মাথা ধোওয়ার সময় হালকা গরম জল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, এতে চুল ও স্ক্যাল্পের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে? চুলের গোড়ায় একধরণের প্রাকৃতিক তেল নির্গত হয়, যা চুলের গোড়া শক্ত রাখতে, চুলের বৃদ্ধিতে ও চুলকে ময়েশ্চার করতে সাহায্য করে। আর, ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মাথা ধুলে সেই প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয় এবং চুলকে রুক্ষ-শুষ্ক, নিস্তেজ করে তোলে।
গরম জল দীর্ঘদিন ধরে যদি মাথার ত্বকে ব্যবহার করেন, তাহলে স্ক্যাল্পে জ্বালা-চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ত্বক শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।
২) হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার ব্যবহার
ঘন ঘন হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকানো হলে, চুল ও মাথার তালু আর্দ্রতা হারায়। এর থেকে আসা তাপ, চুল ও চুলের গোড়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই প্রাকৃতিকভাবে চুল শুকানোই ভাল।
হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার এবং বিভিন্ন ধরনের স্টাইলিং সরঞ্জাম থেকে তাপ নির্গত হয়, যা চুল ও স্ক্যাল্পের মারাত্মক ক্ষতি করে। চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়, যার ফলে চুল রুক্ষ-শুষ্ক, নিস্তেজ হয়ে ওঠে।
৩) ঘন ঘন চুল ধোওয়া বা শ্যাম্পু করা
মাথার ত্বক থেকে যে তেল উৎপাদিত হয়, তা স্ক্যাল্প এবং চুলকে শুষ্ক হওয়া থেকে বাঁচায়। তাই ঘন ঘন চুল ধোওয়া বা শ্যাম্পু করা হলে, এই তেল পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে চুল ও মাথার তালু, তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায় এবং শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকি চুলের গোড়াও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সপ্তাহে দুই-তিন দিন চুল ধোওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঝলমলে সুন্দর চুল পেতে ব্যবহার করুন বিয়ার হেয়ার মাস্ক! দেখে নিন কীভাবে তৈরি করবেন
৪) শ্যাম্পু করার নিয়ম
সর্বপ্রথমে, আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু বেছে নেওয়া উচিত। তাতে চুলের ক্ষতি কিছুটা হলেও কম হবে। এছাড়াও, ক্ষতি এড়াতে চুলে শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়মও জানা উচিত। শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ানো জরুরি। মাথার ত্বক পরিষ্কারের জন্য ভাল করে চুলের গোড়ায় শ্যাম্পু করা উচিত, তবে খুব বেশি শ্যাম্পু প্রয়োগ করবেন না, কারণ এতে চুলের আর্দ্রতা হ্রাস পাবে।
৫) কেমিক্যাল যুক্ত পণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার
চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে, স্ক্যাল্প ও চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যার ফলে খুশকি হওয়া এবং চুল উঠে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই চুল সুরক্ষিত রাখতে কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। সালফেট মুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন। এছাড়া, ঘন ঘন চুলে রং করা বা হাইলাইট করানোর অর্থও হল, বারবার কেমিক্যাল লাগানো।
৬) চুলে চিরুনির ব্যবহার
অত্যধিক চুল আঁচড়ানোর ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষত, চুল ধোওয়ার পরপরই চিরুনি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে পারেন।
৭) ঘুমানোর সময় চুল খোলা রেখে শোওয়া
আমরা অনেকেই ঘুমানোর সময় চুল খোলা রাখি, কিন্তু এটা করা একেবারেই উচিত নয়। ঘুমানোর সময় চুল বেঁধে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে চুলে খুব একটা জট পড়ে না। আর, চুল বেঁধে না রাখলে চুল পড়াও অনেকটাই বাড়ে।