Just In
বয়সের ছাপ পড়ছে ত্বকে? জেনে নিন এর কারণ এবং প্রতিরোধের উপায়
ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ুক, এটা আমরা কেউই চাই না। কিন্তু আজকালকার অগোছালো জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে, অল্প বয়সেই ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে, যাকে বলে অকাল বার্ধক্য। বিশেষ করে তিরিশ কিংবা তিরিশের পর থেকেই ত্বকে বলিরেখা এবং ফাইন লাইনস-এর মতো সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
তবে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই যদি অকাল বার্ধক্যের কারণ এবং লক্ষণগুলিকে চিহ্নিত করে, এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তাহলে খুব সহজেই অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক, অকাল বার্ধক্যের মূল কারণগুলি কী কী এবং এটি প্রতিরোধ করার উপায়।
অকাল বার্ধক্যের কারণ এবং লক্ষণ গুলি কী কী?
বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ত্বকের স্বাভাবিক কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে ত্বক ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারাতে শুরু করে। তাছাড়া অত্যধিক দূষণ, রাসায়নিক যুক্ত পণ্যের ব্যবহার, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ডিহাইড্রেশন, ঘুমের অভাব, ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবেও দ্রুত বার্ধক্যের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
অকাল বার্ধক্যের সাধারণ লক্ষণ গুলি হল - ত্বক কুঁচকে যাওয়া, ত্বকে বলিরেখা এবং ফাইন লাইনস প্রকট হওয়া, পিগমেন্টেশন হওয়া এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস পাওয়া, প্রভৃতি।
অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করার কয়েকটি সহজ উপায়
১) অকাল বার্ধক্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা
অগোছালো জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে, অসময়েই ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণগুলি প্রকট হতে শুরু করে। এছাড়া পঁচিশের পর থেকে, ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা কম হতে শুরু করে। তাই বর্তমানে কুড়ি বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিদের অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে অকাল বার্ধক্য সম্পর্কে সচেতনতা হতে, চর্ম বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
২) অ্যান্টি এজিং থেরাপি করা
অ্যান্টি-এজিং থেরাপি, যেমন অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল, ত্বকের পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়া, লেজার স্কিন রিসারফেসিং, অ্যাডভান্স এক্সফোলিয়েশন পদ্ধতি, ত্বকের হারানো তারুণ্যতা ফিরিয়ে দিতে সহায়ক। এই সকল অ্যান্টি-এজিং স্কিনকেয়ার থেরাপিগুলি অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
৩) অ্যান্টি-এজিং পণ্যের ব্যবহার
অ্যান্টি-এজিং থেরাপির পাশাপাশি, CTM রুটিন অনুসরণ করাও অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সহায়ক। যেমন - নিয়মিত ২-৩ ঘন্টা পর পর সানস্ক্রিনের ব্যবহার করা, অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার করা, প্রভৃতি। এই সকল পণ্যগুলি বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে, ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে, ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
৪) ডায়েট ঠিক রাখা
অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে, বাহ্যিক পরিচর্যার পাশাপাশি আভ্যন্তরীণ যত্নেরও প্রয়োজন। তাই বেশি করে জল পান করুন এবং খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
এছাড়া, সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করা, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো, অতিরিক্ত ধূমপান এবং মদ্যপান করা এড়িয়ে চলা, স্ট্রেস কম নেওয়া, যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করাও অকাল বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।