Just In
Don't Miss
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন রাইস ওয়াটার, দেখুন এর উপকারিতা
চাল বা রাইস যে শুধুমাত্র খিদে মেটায়, তা একেবারেই নয়, এটি আমাদের রুপচর্চাতেও কাজে লাগে। রুপচর্চায় চালের গুঁড়ো ব্যবহারের কথা আমরা অনেকেই জানি, কিন্তু চুল ও ত্বকের যত্ন নিতে রাইস ওয়াটার ব্যবহারের কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। বিভিন্ন চর্মরোগ, অকাল বার্ধক্য এবং ত্বকের নানান সমস্যার সমাধান করতে, চমৎকার কাজ করে রাইস ওয়াটার।
রাইস ওয়াটার সম্পূর্ণভাবে কেমিক্যালমুক্ত, যা ত্বককে কোমল এবং মসৃণ করে। ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, এর উপকারিতা কী কী এবং রুপচর্চার জন্য কীভাবে রাইস ওয়াটার তৈরি করবেন।
বাড়িতে কীভাবে রাইস ওয়াটার তৈরি করবেন?
বাড়িতে রাইস ওয়াটার তৈরীর দুটি সহজ উপায় হল -
১) একটি পাত্রে, এক কাপ চাল নিন এবং তাতে দ্বিগুণ পরিমান জল দিয়ে, প্রায় আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই জল, একটি বোতলে ছেঁকে নিন।
২) একটি কুকারে, এক কাপ চাল এবং তার দ্বিগুণ জল নিন। অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে গেলে, সেই আধা সিদ্ধ চালের জল একটি বোতলে ছেঁকে নিন।
টিপস
১) রাইস ওয়াটার তৈরির ক্ষেত্রে অর্গ্যানিক চাল ব্যবহার করুন। ব্যবহারের আগে চাল ভাল করে ধুয়ে নিন।
২) সাদা চাল ব্যবহার করা বেশি ভাল।
৩) একটি জারে রাইস ওয়াটার স্টোর করুন এবং ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় ও শুষ্ক জায়গায় এটি রাখুন।
৪) পাঁচ দিন হয়ে গেলে, পুরানো রাইস ওয়াটার ফেলে দিন। আবার নতুন করে বানিয়ে একই পদ্ধতিতে ব্যবহার করুন।
৫) রাইস ওয়াটার পুরনো হলে ঘন হয়, ফলে যতদিন যাবে, পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে, তারপর ব্যবহার করুন।
রাইস ওয়াটারের উপকারিতা
১) সেনসিটিভ স্কিন, ব্রণ-পিম্পলের সমস্যা দূর করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রদাহ, ব়্যাশ এবং ডার্মাটাইটিসের মতো বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে, দিনে দু'বেলা রাইস ওয়াটার দিয়ে স্নান করা অত্যন্ত উপকারি। এমনকি সেনসিটিভ স্কিনের জন্যও, রাইস ওয়াটার অত্যন্ত কার্যকর। এটি ব্রণ এবং পিম্পলের সমস্যাও দূর করে।
২) সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচায়
রাইস ওয়াটারকে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন বলা হয়। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে, ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। সানবার্ন সারাতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। সানবার্ন-এর জায়গায় এটি প্রয়োগ করুন, দেখবেন দ্রুত সেরে উঠবে!
৩) এটি বার্ধক্য বিরোধী
এটি বার্ধক্য বিরোধী। রাইস ওয়াটারে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই, ফেরুলিক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভনয়েড এবং ফেনোলিক কম্পাউন্ড বর্তমান। এগুলি ত্বকের ক্রিয়াকলাপের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
৪) ত্বকের কমপ্লেকশন ভালো করে
রাইস ওয়াটারের অন্যতম প্রধান কাজ হল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা। ফারমেন্টেড রাইস ওয়াটারে তুলো ভিজিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন, দুর্দান্ত ফল পাবেন! সানস্পট, পিগমেন্টেশন, ফ্রিকেলস, হালকা করতেও বিশেষভাবে কার্যকর।
৫) স্কিন ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে
রাইস ওয়াটার ত্বককে, কোমল এবং মসৃণ রাখতে সহায়তা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রাইস ওয়াটার ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্য বিরোধী হিসেবে কাজ করে।
৬) দেহের ত্বকের জন্যও উপকারি
প্রত্যেকদিন স্নানের জলে, দুই কাপ রাইস ওয়াটার মিশিয়ে স্নান করুন। চাইলে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা, ওই স্নানের জলে মিশিয়ে নিতে পারেন। চমৎকার ফল পাবেন!