Just In
অ্যাভোকাডো : চুলের যত্ন নিতে এর উপকারিতা ও কীভাবে ব্যবহার করবেন
সামনেই পুজো। আর পুজোর আগে সাজগোজ না করলো চলে! বিশেষ করে চুল যদি সুন্দর না থাকে তাহলে পুজোর সময় নানারকম চুলের স্টাইল করা যাবে না। আর সুন্দর চুল কে না পছন্দ করে! কিন্তু, চারিদিকে এত দূষণ, ধুলো আমাদের চুলকে নষ্ট করে দেয়। চুলের সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচানোর সেরা উপায় আমাদের প্রকৃতিতেই আছে। শুধু একটু কষ্ট করে খুঁজে নিতে হবে। বাজারজাত বিভিন্ন ক্যমিকাল আমাদের চুল নষ্ট করে দেয়। তাই পুজোর আগে আপনার চুল সুন্দর, মজবুত করার জন্য রইল কিছু উপায়।
সুন্দর, মজবুত,নরম চুল পেতে চাইলে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে অ্যাভোকাডো। সুন্দর চুল গড়ে তুলতে এর জুড়ি মেলা ভার। হ্যাঁ, নাসপাতির মতো দেখতে অ্যাভোক্যাডোর মধ্যে প্রচুর গুণ আছে যা আমাদের চুল সুন্দর করে তুলতে পারে।
অ্যাভোকাডোয় অবস্থিত ভিটামিন এ, বি-৬, সি এবং ই এবং তামা, পটাসিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ সমৃদ্ধ, এগুলি সবই আমাদের চুলের উপকার করে। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চুলকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যামিনো অ্যাসিড চুলকে ময়েশ্চোরাইজ করে রাখে।
আসুন আমরা জানি যে এটি কতটা উপকারী? চুলের জন্য অ্যাভোকাডোর বিভিন্ন সুবিধা এবং এটি আপনার চুলের যত্নের তালিকায় রাখতে বিভিন্ন উপায়গুলি দেখুন।
১) অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রোটিন রয়েছে যা মাথার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং পুষ্টি সম্পন্ন করে তোলে। অ্যাভোকাডো তেল ক্ষতিগ্রস্থ চুলকে চাঙ্গা করতে খুব কার্যকর।
উপকরণ :
ক)
অর্ধেক
অ্যাভোকাডো
খ)
দু
টেবিল
চামচ
অ্যাভোকাডো
তেল
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক) অ্যাভোকাডোটির পেস্ট তৈরি করুন
খ)
এতে
অ্যাভোকাডো
তেল
যোগ
করুন
এবং
ভালভাবে
মেশান
গ)
আমাদের
মাথার
ত্বকে
এই
মিশ্রণটি
ধীরে
ধীরে
ম্যাসাজ
করুন
এবং
আপনার
পুরো
চুলে
ভালোভাবে
লাগান।
ঘ)
১৫
মিনিট
রেখে
তারপর
আপনার
শ্যাম্পু
করে
নিন
২) নারকেল তেলে ভিটামিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা চুলের উপকারে লাগে। এটি চুলের গভীরে গিয়ে পুষ্টি জোগায়। এটি চুলকে ময়েশ্চোরাইজ করে, মাথার ত্বক ভালো থাকে। এটি অ্যাভোকাডোর সাথে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল সুন্দর হয়।
উপকরণ :
ক)
একটা
পাকা
অ্যাভোকাডো
খ)
দু
টেবিল
চামচ
নারকেল
তেল
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক)
একটি
বাটিতে
অ্যাভোকাডো
নিয়ে
ভালো
করে
ফলটি
মিহি
করে
ফেলুন
খ)
নারকেল
তেল
ভালো
করে
মেশান।
গ)
চুলের
গোড়ায়
এবং
চুলে
ভালো
করে
মাখুন
ঘ)
শাওয়ার
ক্যাপ
দিয়ে
মাথাটি
ঢেকে
রাখুন
ঙ)
৩০
মিনিট
রেখে
ঠাণ্ডা
জলে
শ্যাম্পু
করে
নিন
৩) অ্যাভোক্যাডোতে উপস্থিত ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি চুল উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথার ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন যা চুলের উপকার করে।
উপকরণ :
ক)
একটি
পাকা
অ্যাভোকাডো
খ)
অলিভ
অয়েল
গ)
এক
টেবিল
চামচ
লেবুর
রস
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক)
একটি
বাটিতে
অ্যাভোকাডো
নিয়ে
ভালো
করে
ফলটি
মিহি
করে
ফেলুন
খ)
অলিভ
অয়েল
ও
লেবুর
রস
এতে
ভালো
করে
মেশান
গ)
এরপর,
এই
পেস্টটি
আপনার
চুলে
লাগান
ঘ)
২০
মিনিট
রেখে
শ্যাম্পু
করে
নিন
৪) অ্যাভোকাডো তেল চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটিতে ভিটামিন বি এবং ই রয়েছে, যা চুলকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
উপকরণ :
ক) পরিমাণ মতো অ্যাভোকাডো তেল
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক)
আঙুলে
কিছু
পরিমাণ
অ্যাভোকাডো
তেল
নিন
খ)
ধীরে
ধীরে
মাথার
ত্বকে
ভালো
করে
তেলটি
লাগান
গ)
এক
ঘণ্টা
পর
চুল
ধুয়ে
ফেলুন
৫) অ্যাভোকাডো মাথার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এটি ময়েশ্চোরাইজ রাখে। ডিমের কুসুমে বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন রয়েছে যা চুলের জন্য উপকারী। এগুলি শুকনো চুলকে আর্দ্রতা দেয়।
উপকরণ :
ক)
একটি
পাকা
অ্যাভোকাডো
খ)
একটি
ডিমের
কুসুম
গ)
এক
টেবিল
চামচ
নারকেল
তেল
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক)
একটি
বাটিতে
অ্যাভোকাডো
নিয়ে
ভালো
করে
ফলটি
মিহি
করে
ফেলুন
খ)
এতে
ডিমের
কুসুম
ও
নারকেল
তেল
ভালো
করে
মেশান
গ)
মাথার
ত্বক
ও
চুলে
ভালো
করে
এই
মিশ্রণটি
লাগান
ঘ)
১৫-২০
মিনিট
পর
শ্যাম্পু,
কন্ডিশনিং
করে
নিন
৬) অ্যাভোকাডোর বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথার ত্বকের ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি মাথার ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে এবং খুশকি রোধে সহায়তা করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকি নিরাময়ের জন্য সহায়ক।
উপকরণ :
ক)
দু
টেবিল
চামচ
অ্যাভোকাডো
বীজের
পাউডার
খ)
এক
টেবিল
চামচ
মধু
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক)
অ্যাভোকাডো
বীজের
খোসা
ছাড়িয়ে
বীজগুলি
ছোটো
ছোটো
টুকরো
করুন
খ)
এগুলো
গুঁড়ো
করে
পাউডার
তৈরি
করে
নিন
গ)
দু
টেবিল
চামচ
এই
পাউডার
ও
মধু
ভালো
করে
মিশিয়ে
নিন
ঘ)
সুন্দর
করে
এই
মিশ্রণটি
আপনার
চুলে
লাগান
এবং
কিছুক্ষণ
ম্যাসাজ
করুন
ঙ)
এরপর,
উষ্ণ
জলে
ধুয়ে
ফেলুন
৭) মেয়নেজ, ভিনিগার এবং তেল অ্যাভোকাডোর সাথে মেশালে এটি চুলকে গভীরভাবে পুষ্ট করে এবং নরম ও মসৃণ করে তোলে।
উপকরণ :
ক)
অর্ধেক
পাকা
অ্যাভোকাডো
খ)
এক
কাপ
মেয়নেজ
ব্যবহারের পদ্ধতি
ক)
একটি
বাটিতে
অ্যাভোকাডো
নিয়ে
ভালো
করে
ফলটি
মিহি
করে
ফেলুন
খ)
এরপর,
এর
সাথে
মেয়নেজ
মিশিয়ে
নিন
গ)
এই
মিশ্রণটি
আপনার
মাথার
ত্বকে
ও
চুলের
শেষ
অবধি
লাগান
ঘ)
২০
মিনিট
রেখে
ঠাণ্ডা
জলে
শ্যাম্পু
ও
কন্ডিশনিং
করে
নিন
ঙ)
চুল
শুকিয়ে
নিন