Just In
সৌন্দর্য বাড়াতে সরষের তেল
ত্বক এবং চুলকে ভালো রাখতে এই তেলটির কোনও বিকল্প নেই। সরষের তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে এখনই পড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটি।
সরষের তেল ত্বক ভালো রাখে, এমন কথা তো কখনও শুনিনি! বিশ্বাস না হলেও একথা সত্য়ি যে আমাদের নিত্য় দিনের সঙ্গী এই তেলটির এত গুণ যে সেটি নিয়মিত ব্য়বহার করলে ত্বকের অনেক সমস্য়াই দূরে পালায়, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সৌন্দর্যতা বাড়ে। সরষের তেলে ওমেগা-ত্রি এবং সিক্স ফ্য়াটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকায় সেই আদি কাল থেকেই ত্বক এবং চুলকে সুন্দর করতে এটির ব্য়বহার হয়ে আসছে।
মুখে সরষের তেল আবার কেউ লাগায় নাকি! এমন ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে আপনি নিশ্চয় এতদিন সরষের তেলকে নিজের বিউটি রেজিমে জায়গা দিতে চান নি। কি ঠিক তো? তাই তো এই প্রবন্ধে সরষের তেলের বিষয়ে এমন কিছু জানানো হল, যা পড়ার পর আপনি আর কোনও দিন এই তেলটি ব্য়বহার করতে দুবার ভাববেন না।
তাহলে এবার জেনে নিন সরষের তেলের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
১. সানসক্রিন হিসাবে কাজে লাগে:
এই তেলে প্রচুন পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকায় এটি রোদ এবং পরীবেশের ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে আপনার ত্বককে বাঁচাতে আগ্রগন্য় ভূমিকা পালন করে। তাই তো বাজার চলতি সানসক্রিনের প্রতি ভালোবাসা কমিয়ে আজ থেকেই গুরুত্ব দিতে শুরু করুন সরষের তেলকে। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে পরিমাণ মতো সরষের তেল নিয়ে মুখে ভালো করে মাসাজ করে নিন, তাহলেই কেল্লাফতে!
২. ফাটা ঠোঁটের সমস্য়া কমায়:
শীত কালে ঠোঁট ফাটার সমস্য়া কমাতে সরষের তেল দারুন কাজ দেয়। তাই আপনার লিপ বাম যদি ঠিক মতো কাজে না আসে তাহলে সরষের তেলে আঙুল চুবিয়ে সামান্য় ঠোঁটে লাগিয়ে দিন। এটি প্রকৃতিক ময়েসচারাইজারের কাজ করে। ফলে ফাটা ঠোঁটের সমস্য়া কমে।
৩. মুকের ছোপ কমায়:
রোজ মুখে মাসাজ করুন এই তেল। অল্প দিনেই দেখবেন মুখের ছোপ কেমন কমতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে সরাসরি সরষের তেল ব্য়বহার না করে বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে একটা থকথকে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এরপর সেটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এমনটা রোজ করলে দেখবেন মুখের কালো দাগ সব কমে গেছে।
৪. চুলকে পাকতে দেয় না:
সরষের তেলে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রপাটিজ থাকায় এটি চুল পাকতে দেয় না। তাই প্রতিদিন সম পরিমাণে অলিভ অয়েল এবং সরষের তেল নিয়ে মাথায় লাগান। তারপর গরম দলে ভিজিয়ে একটি টাওয়াল মাথায় বেঁধে বাঁধুন। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থেকে শ্য়াম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তাহলেই দেখবেন চুল পাকার হার তো কমবেই, সেই সঙ্গে নানা ধরনের সংক্রমণ হওযার আশঙ্কাও দূর হবে।
৫. চুল ভালো করে:
লম্বা চুল আপনার অনেক দিনের স্বপ্ন? চিন্তা কিসের আজ থেকেই কাজে লাগিয়ে দিন না সরষের তেলকে। অল্প দিনেই দেখবেন আপনার চুল কেমন কোমর ছুঁয়েছে। এই তেলে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্য়ারোটিন, আয়রন, ফ্য়াটি অ্যাসিড, ক্য়ালসিয়াম এবং ম্য়াগনেশিয়াম থাকায় এটি চুলের গ্রোথ ভালো করার পাশাপাশি হেয়ার ফলিকেলসকে শক্ত-পোক্ত করতে দারুন কাজে আসে।
৬. দাঁত সাদা করে:
সরষের তেলে সামান্য় লেবুর রস মিশিয়ে দাঁতে লাগান। এমনটা করলে দাঁত সাদা হওয়ার পাশাপাশি দাঁতে পোকা হাওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৭. স্কাল্পের স্বাস্থ্য় ভালো করে:
সরষের তেলে অ্যান্টিব্য়াকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ থাকায় এটি নিয়মিত মাথায় লাগালে স্কাল্প খুব ভালো থাকে। সেই সঙ্গে খুশকির সমস্য়াও দূর হয়।
৮. ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য় করে:
ত্বকে জমে থাকা ময়লা দূর করতে সরষের তেলের কোনও বিকল্প নেই। এখানেই শেষ নয়। এই তেল শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন এবং অপ্রয়োজনীয় নুন বের করে দিতে সাহায্য় করে। তাই অপেক্ষা কিসের ত্বক ও শরীর ভেতর থেকে ভালো রাখতে আজ থেকেই বন্ধু বানিয়ে ফেলুন না রান্না ঘরের বাসিন্দা এই তেলটিকে। দেখবেন অল্প দিনেই আপনরা ত্বকের সমস্য়া কেমন কমতে শুরু করে।